ঋতুবদলের সঙ্গে সঙ্গে মনের সম্পর্ক প্রায় অবিচ্ছেদ্য। মানে প্রকৃতির রঙে যেমন আপনি রঙিন হয়ে ওঠেন, তেমনই অবিরাম বারিধারায় মন নেচে ওঠে। আর যদি এই শীতের ধূসরে নেমে আসে অকাল বর্ষণের একঘেয়েমি, তখন আপনার মনও নিশ্চয়ই খারাপ হবে। কিন্তু সেই মনখারাপও কাটিয়ে ওঠা যায় বাড়ির অন্য রকম সাজে। সারা দিনের ব্যস্ততার পরে হা-ক্লান্ত হয়ে যখন বাড়ি ফেরেন, তখন উষ্ণতা আসতে পারে আপনার অন্দরমহলের সাজেই। অর্থাৎ রোজকার একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে নতুন রং যোগ করুন ঘরের সাজে।
•শুরু করা যাক বেডরুম দিয়েই। হলুদ, কমলা কিংবা সবুজ রঙের বিছানার চাদরে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে আপনার বেডরুম। সাদা বা বেজ রঙের লিনেন বাছাই থেকে বিরত থাকুন। বেডশিটের সঙ্গে মানানসই রঙিন পিলো কভার রাখুন।
•সোফার কুশন ঘরের সাজ বদলে দিতে পারে এক লহমায়। তাই পুরনো কুশন সরিয়ে লালচে, উজ্জ্বল গোলাপিরঙা কিংবা রঙিন সুতোর কাজওয়ালা কুশন রাখুন।
•ঘরের পরিবেশ বদল করতে সবচেয়ে জরুরি আলোর খেলা। তাই বাইরের আলো যেন উন্মুক্ত ভাবে প্রবেশ করতে পারে অন্দরে। পরদা ব্যবহারেও সচেতন হওয়া জরুরি। ভারী, কালচে পরদার পরিবর্তে ব্যবহার করুন হালকা ড্রেপ। বাইরের হাওয়ার নাচন ড্রেপে লেগে আপনার অন্দরমহলকে এক মুহূর্তে করে তুলবে উচ্ছল।
•সাইডটেব্লে রাখা ল্যাম্প শেডটা বদলানোরও সময় এসেছে নিশ্চয়ই। কাচের জার বা বোতলের উপর রঙিন কারুকাজ করা ল্যাম্প শেড এখন ট্রেন্ডি। এগুলো আপনার ঘরের কোণকে শুধু আলোকিতই করবে না, করে তুলবে বাহারিও।
•বদলে ফেলুন ঘরের ডোরম্যাট আর বাস্কেটগুলোও। সেই সঙ্গে মনে রাখুন, কার্পেটের রং, মেটিরিয়াল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কাজের শেষে যদি নরম তুলতুলে শ্যাগ রাগে পা ডুবিয়ে বসেন, ক্লান্তি এক নিমেষে উধাও!
•কালার থেরাপির মতো ফুলও ঘরের সাজ বদলে দিতে পারে। রঙিন ফুল উজ্জ্বল করে তুলবে আপনার ঘরকে।
•জানালার বা বারান্দার পাশে ঝুলিয়ে রাখুন উইন্ডচাইম বা ড্রিম ক্যাচার। হাওয়ার দুলুনিতে চাইমের টুংটাং শব্দে আপনার মন ভাল হয়ে যেতে বাধ্য!
•ঘরের আলো তো বদলে নতুন হল। ডিনার করতে বসে যদি টেব্লে জ্বালিয়ে দেন কিছু সুগন্ধী মোমবাতি, মনখারাপ কোথায় উধাও হবে! বাতির সঙ্গে বাতিদানটিও যেন বাহারি হয়।
ঘরের সাজবদলের প্রাথমিক উপাদানগুলো হল আলো, রং, সুবাস। পছন্দের জিনিস কিনে নিন। অথবা রোজকার বিছানার চাদর, কুশন কভার, ল্যাম্প শেড, পরদা বদলে ফেলুন। মনখারাপ পালানোর পথ পাবে না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy