Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভালবাসতেন মাছ ধরতে

সুর ধরেছেন খালবিল, এমনকী রেস্তোরাঁতেও! শহরে তাঁর স্মৃতিকুটির আজ অনাদারে, অবহেলায়। শচীন দেববর্মনের কথা বলছেন শ্যালক অভিজিৎ দাশগুপ্ত ভরদুপুরবেলা। সাউথএন্ড পার্কে দাদাবাবুর বাড়ি। তার লোহার গেট ঠেলে সে দিন যে মানুষটি ঢুকে এসেছিলেন, তাঁর নাম গুরু দত্ত!

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

ভরদুপুরবেলা। সাউথএন্ড পার্কে দাদাবাবুর বাড়ি। তার লোহার গেট ঠেলে সে দিন যে মানুষটি ঢুকে এসেছিলেন, তাঁর নাম গুরু দত্ত!

দাদাবাবু। মানে, দুনিয়া যাঁকে চেনে শচীন দেববর্মন নামে। ওঁর স্ত্রী মীরা দেববর্মনকে আমি ডাকতাম ‘দিদিমণি’। দিদিমণির মা ছিলেন আমার বাবার বোন। ওঁদের ছেলে, রাহুলদেব, বাড়ির সকলের টুবলু। আমার টুলাঙু। আমার চেয়ে ছ’বছরের বড়।

ও পাড়ায় আমাদের আর দাদাবাবুদের বাড়ি একেবারে পাশাপাশি। একটা অন্যটার রেপ্লিকা। প্রথম যখন ও বাড়িতে যাই, তখন ইলেকট্রিক ছিল না। রাতে শেয়াল ডাকত। আখের খেত চার পাশে। একটু দূরে রেললাইন। তার দু’ধারে ধু-ধু চাষ জমি।

হঠাৎ গুরু দত্ত এসে পড়ায় দাদাবাবু হাঁক পাড়ল আমায়। আমার তখন কত আর বয়স। হাফপ্যান্টবেলা কাটেনি।

সারাটা দুপুর আমি, টুলাঙু সে দিন ওদের দু’জনের সঙ্গে কী করে কাটালাম বলুন তো? অ্যাক্সিডেন্ট-অ্যাক্সিডেন্ট খেলে! ঘরের চার কোণে চারজন পা মুড়ে মাটিতে বসে, যে- যার হাতে ধরা খেলনাগাড়ি মেঝেতে গড়িয়ে দিয়ে সে কী হুল্লোড়, হুটোপুটি!

দাদাবাবু এমনই। ছোটদের দুঃখ-দুঃখ মুখ কিছুতেই সহ্য করতে পারত না। টুলাঙুর একটা ঘটনা মনে পড়ে।

ও তখন বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে সেভেন কি এইটে। পরীক্ষায় ডাহা ফেল করে গোমড়া মুখে ঘরে বসে। যে ছেলে সারাক্ষণ ‘মকারি’ করে বেড়ায়, সাঁতার কাটে, এয়ারগান দিয়ে গ্যাসবাতির ‘ম্যান্টল’ ভাঙে, স্কেটিংয়ে কি সাইকেলে পাড়া মাত করে, তার অমন থমথমে মুখ দেখে তার বাবা পড়ল চিন্তায়, ‘‘কী হইসে তর?’’ কারণটা শুনে বলল, ‘‘আরে ছাড় তো তগো পরীক্ষা! আমার সাথে চ।’’ ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে একটা র‌্যালে সাইকেল আর ম্যাক্সপ্লাই র‌্যাকেট কিনে দিল। তাতে ছেলের কী হাসি!

দাদাবাবুর স্বভাবটাই এমন! ওর চমকে দেওয়া গল্প যেন শেষ হওয়ার নয়। সান্ট্রাক্রুজে ওদের লাল দোতলা বাড়ির একটা ঘটনা মনে পড়ছে।

কলকাতা থেকে মা-বাবাকে নিয়ে গাড়ি করে সবে গিয়ে পৌঁছেছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই দিদিমণিকে দাদাবাবু বলল, ‘‘রাণাভাই (আমার ডাকনাম), মুরগি খুব ভাল খায়! তো, অরে একটু ডাইক্যা লই, কী কও!’’

ভাবলাম, বুঝি স্পেশাল কোনও রাঁধুনিকে ডাকবে। হ্যাঁ, ‘স্পেশাল রাধুনি’ই বটে! তবে তাঁর নাম মহম্মদ রফি। রফিসাব দুর্দান্ত রান্না জানতেন। জমিয়ে মুরগি রাঁধলেন। সাপটেসুপটে খেলাম আমরা।

কিশোর রাহুলকে নিয়ে

খুব মাছ ধরতে ভালবাসত দাদাবাবু। সেখানেও এক কাণ্ড! যাদবপুরে একটা ঝিল। মাছ ধরবে। সঙ্গে আমরাও। বহুক্ষণ চেষ্টাচরিত্র করেও একটা পুঁটিও উঠল না সে দিন। এ বার তো প্রেস্টিজ কা সওয়াল! বাড়িতে বড় মুখ করে বলে এসেছে! মাছ নিয়ে না ফিরলে চলে! বাজার থেকে এই-সা বড় একটা মাছ কিনে বাড়ি ফিরল গদগদ হয়ে। যেন এটাই ঝিলে ধরা মাছ! দাদাবাবু আড়াল হলেই দিদিমণি বলল, ‘‘মাছ যখন ধরল, দেখলি?’’ আমি সত্যিটা বলে দিলাম। তাতে দাদাবাবুর সে কী লজ্জা!

এমন কত রকমের ছেলেমানুষি, সরলতা দেখেছি ওর মধ্যে! অমন এক মাপের মানুষ, অথচ সকালে যখন হাঁটতে বেরোত, এ পাড়ার লোকজন চেয়ে চেয়ে দেখত, শচীনকর্তা চলেছেন হাঁটু অবধি খেটো একটা পাজামা আর ফতুয়া পরে।

অথচ এই মানুষটারই কিনা জন্ম ত্রিপুরার রাজপরিবারে! বিলাস, বৈভবের মধ্যে। কিন্তু কোথায় একটা বাউলমন ওকে ছোট থেকেই দলছুট করে রেখেছিল। গুরুজনদের কড়া নজর, ছেলে যেন যার-তার সঙ্গে না মেশে। কিন্তু সে যে বাপের ধারায় তৈরি! বাড়িছাড়়া। বাপ তার সেতার বাজায়। ধ্রুপদ গায়। মূর্তি গড়ে। যথেচ্ছ তার মেলামেশা।

আর ছেলে? টিপরাই বাঁশি হাতে মাঠেঘাটে ঘুরে বেড়ায়। কখনও বুড়ো বটগাছটার নীচে, কখনও ধর্মসাগর দিঘির পাড়ে, কখনও গোমতী নদীর ধারে।

ভৃত্য মাধবের রামায়ণ পাঠে সে মোহিত হয়, আনোয়ারের কাছে মাছ ধরা শেখে। রাতে দোতরা বাজিয়ে আনোয়ার যখন ভাটিয়ালি গায়, তার পড়াশোনা মাথায় ওঠে।

ছেলেবেলায় গায়ের রং খুব ফরসা ছিল বলে ধাই-মা ডাকত ডালিমকুমার। তার কাছেই ছিল তার নাওয়াখাওয়া সব কিছু। ধাই-মা তার ডালিমকে চোখে হারাত। ডালিম যখন কলকাতা চলে আসে, তখন ধাই-মাও ছিল তার সঙ্গী।

বিএ পাশ করার পর কলকাতায় দাদাবাবুর বাবা তাকে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করে দেন। ত্রিপুরা প্যালেসে থেকে এমএ পড়তে শুরু করে দাদাবাবু।

এক বছর বাদেই পড়াশোনার পাঠ উঠিয়ে দিল। শুরু করল কৃষ্ণচন্দ্র দে’র কাছে উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শেখা। বাবা রেগেমেগে ত্রিপুরা থেকে এসে ছেলেকে ফের ভর্তি করে দিলেন ল’ কলেজে। ছেলেকে তত দিনে গান পেয়ে বসেছে। শেষে বাবাই হার মানলেন। পড়া বাদ। গানই সর্বক্ষণের পাঠ।

এ দিকে কৃষ্ণচন্দ্রর অনুমতি নিয়ে দাদাবাবু গেলেন বাদল খানের কাছে। তার পর তো একে একে কত জনের সঙ্গে পরিচয়, গান শেখা। শ্যামলাল ক্ষেত্রী, ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তী, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান।

এলাহাবাদ কনফারেন্সে যাওয়ার আগে গিয়েছিল ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। দিদিমণির সঙ্গে ওখানেই আলাপ। এলাহাবাদে দু’জনেই ‘ফার্স্ট’ হল। তার পর থেকেই ওদের ঘনিষ্ঠতা। বিয়ে।

বিয়ে নিয়ে তো তুমুল কাণ্ড রাজপরিবারে। নতুন বউ নিয়ে দাদাবাবু গিয়েছিল আগরতলায়। একে তো রাজকুমার হয়েও এখানে সেখানে দাদাবাবুর গান গাওয়া রাজপরিবারের কোনও দিনই পছন্দ ছিল না, তার ওপর আবার অ-ক্ষত্রিয় মেয়েকে বিয়ে!

ফলে অভ্যর্থনা তো দূরঅস্ত, জুটল তাচ্ছিল্য আর গ়ঞ্জনা। দাদাবাবুর তাতে এত মানে লেগেছিল যে, এর পর থেকে যত বার আগরতলায় গিয়েছে, রাজবাড়ির ত্রিসীমানা মাড়ায়নি।

পরের বছরই ওস্তাদ ফৈয়াজ খান দাদাবাবুকে বুকে টেনে নিলেন!

কলকাতায় বেঙ্গল মিউজিক কনফারেন্স। রবীন্দ্রনাথ উদ্বোধন করে গেলেন। ওস্তাদ ফৈয়াজ খান ধরলেন ঠুংরি, ‘ঝন ঝন ঝন ঝন পায়েল বাজে’। ওস্তাদের গান শেষে দাদাবাবু। ওই একই বন্দিশ তখনই বাংলা তর্জমা করে গাইলেন, ‘ঝন ঝন ঝন মঞ্জিরা বাজে’। আপ্লুত, স্তম্ভিত ওস্তাদজি জড়িয়ে ধরলেন দাদাবাবুকে।

এ রকমই কাছাকাছি একটা ঘটনা কুন্দনলাল সায়গলকে নিয়ে।

কোনও এক জলসা। সায়গল গান শেষ করে যখন উঠলেন, তখনও শ্রোতারা অনুরোধ জানিয়ে চলেছেন। সায়গলের এ দিকে আর অপেক্ষা করলে চলে না। অন্যখানে ফাংশনে যেতে হবে। স্টেজ থেকে নেমে গুছিয়েগাছিয়ে তিনি যখন বেরোতে যাবেন, তখন দাদাবাবু গান ধরেছে, ‘আমি ছিনু একা বাসর জাগায়ে’। সায়গল মুহূর্তকালের জন্য থমকে গেলেন! এ কী, হুবহু তারই গান ‘কৌন বুঝায় রামা’! শুধু গঠনটা গিয়েছে বদলে, কথা, সুর একই খাতে। কান্না, হাহাকারের বোল উঠছে যেন! সায়গল ধুপ করে বসে পড়লেন উইংয়ের ধারেই
একটা চেয়ারে!

দুই মহানের মুগ্ধতার গল্প তো শুনলেন, এক্কেবারে সাধারণ মানুষজন দাদাবাবুকে কী চোখে দেখতেন, একটু বলি।

ঘটনাটি পুববাংলার। আগরতলা থেকে ফেরার পথে, দাদাবাবু যাবেন করমপুরের দরগা মেলায়। নৌকায়। ফুরফুরে হাওয়া বইছে। আকাশে চাঁদ, ঠিক যেন রুপোর থালাটি। দাঁড় টেনে মাঝি নৌকা বাইছে, আর গাইছে, ‘ওরে সুজন নাইয়া’।

দাদাবাবু হাঁ। এ যে তারই গান! গান শেষে মাঝিকে বলল, ‘‘ইডা করা গান তুমি জাননি?’’

‘‘জানি, আমরার কর্তার গান।’’

‘‘তুমি তারে দেখছনি?’’

‘‘না, দেখছি না। দেখা পাইলে পাও জড়াইয়া ধইরা কইতাম, কী গলাই না পাইছেন কর্তা! মনে হইতাছে, গলার মইধ্যে যেন কোকিলে হাইগ্যা থুইছে। বাইচ্যা থাকেন কর্তা।’’

দাদাবাবুর চোখে জল। পরিচয় দিল মাঝিকে। আকাশে জ্যোৎস্নার জোয়ার। গান ধরল দাদাবাবু, ‘পদ্মার ঢেউ রে...’! গলুই থেকে হাত সরে গেল মাঝির। কর্তার পায়ের কাছে শরীর লুটিয়ে পড়ল। কেঁদে ভাসাল সে! ফিল্মের গান তৈরিতে দাদাবাবুর একটাই জপমালা। যে গান বেয়ারা, মুচি, পানওয়ালায় না গুনগুন করে, সে গান হিট হয় না।

শশধর মুখোপাধ্যায়ের ছবির কাজে যখন মুম্বই গেল, প্রথম ছবি ‘শিকারি’-তেই এমন কাণ্ডটা হল। ধন্য ধন্য করল রসিকজনে। কিন্তু আম-পাবলিক গাইল কই! ফলে মন ভরেনি। ‘শিকারি’র পরেই শ্রীযামিনী দেওয়ানের ‘রতন’। লোকের মুখে মুখে গান ঘুরল। ফিল্মিস্তানে নিজের ঘরে বসে হারমোনিয়ামে একদিন অন্য একটা গানের মকশো করতে করতে শুনল, বেয়ারা ছোকরাটা চা তৈরি করতে গিয়ে গাইছে, ‘যব তুমহি চলে পরদেশ’। ‘রতন’-এর গান। এর কিছু দিন বাদে যখন ‘দো ভাই’-এর সুর করছে, ‘মেরা সুন্দর স্বপ্ন বীত গ্যয়া’, মিরাক্যল আবার! পাশের ঘরে একজন রুমবয় গানটা গলায় ধরে নিয়ে গাইছে! হিট গানের ফরমুলাটা মাথায় বসল। কালোয়াতি চলবে না। সোজাসাপটা হতে হবে সুর। তবে রসায়ন জেনে গেলেও যে প্রথম থেকেই মুম্বইয়ে খুব জোরে ঘোড়া ছুটিয়েছে দাদাবাবু, তা নয়। বরং একটা সময়ে তো ফিরেও আসতে চেয়েছিল কলকাতায়। অনেক বুঝিয়েসুঝিয়ে পথ আটকান অশোককুমার। তার পর কী কী না করল! চোখ ছিল জহুরির। মন ছিল খাঁটি সোনা। কানে সুরের আহ্লাদ!

রেকর্ডিং-এর সময় লতা ও রাহুলের সঙ্গে কর্তা

গীতা দত্তকে ইন্ডাস্ট্রিতে আনা, রফি-তালাত-মুকেশের রমরমে জমানায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে ‘ইয়ে রাত ইয়ে চাঁদনি ফির কাঁহা’ গাওয়ানো, কিশোরকুমারকে গানসাগরে ভাসানো!

‘তালাশ’-এর সময় মান্না দে-কে বাজি ধরল। পরিচালকের ইচ্ছে, মুকেশকে দিয়ে গাওয়াবেন।

দাদাবাবু ‘তেরি নয়না তলাস করকে’ সুর করেছে। স্পষ্ট বলে দিল, ‘‘মুকেশ এ গান পারবে না।’’

জবাব এল, ‘‘এমন গান বাঁধেন কেন, যেটা মুকেশ গাইতে পারবে না।’’ দাদাবাবু ঝাঁঝিয়ে উঠল, তালাশ-এ যদি এসডি সুর দেয়, তো এই গানটাই থাকবে। গাইবে মনাই (মান্না দে)। পছন্দ না হলে অন্য পথ দেখতে পারেন তিনি! পরিচালক আর ঘাঁটাননি। গানও সুপার হিট।

যেটা মনে করত ঠিক, তার সঙ্গে কোনও দিন আপস করেনি। নইলে লতা মঙ্গেশকরকে ছেঁটে দেয়!

ছবির নাম, ‘সিতারোঁ সে আগে’। গান ‘সাঁইয়া ক্যায়সে ধরু ধীর’। লতাকে দিয়ে রেকর্ড করিয়েও মনে হল, আবার ‘টেক’ হলে ভাল হয়। এ দিকে লতাজির সময় নেই। ব্যস, ছেঁটে দিল। আশাকে ডেকে গাওয়ালো। আর ওর সুর খোঁজার গল্প? আজও অবিশ্বাস্য গল্পকথার মতো লাগে!

‘রূপ তেরা মস্তানা’। কত কাল আগে এক কিশোরীর গলায় শুনেছিল, ‘কালকে যাব শ্বশুরবাড়ি/ আহ্লাদে খাই গড়াগড়ি/ দেখব তোরে প্রাণভরে সুন্দরী।’

শক্তি সামন্ত নাকি বলেছিলেন, গানে একটু যৌন আবেদন রাখতে হবে। দাদাবাবু বলেছিল, ‘‘শক্তির কথা শুননের পর এই গানডার কথা আমার হঠাৎ মনে পইড়া গেল। ঠিক কইরা ফালাইলাম, গানডার লয়ডারে কমাইয়া কিশোরারে গাইতে কমু। আর কমু জোরে জোরে একটু নিশ্বাস ফালাইতে। তাইলেই তো সেক্সের গান হইয়া যাইব।’’

তো, এই রকম একজন গানপাগল মানুষ ষাটের দশকে কী দুঃখটাই না পেল, ইন্ডাস্ট্রিতে তার চেনা-পরিচিতদের কাছ থেকে। হার্ট অ্যাটাকের পর তখন বাড়িতে। গানে সুর করেও কাজ করতে পারছিল না। আর দেখছিল, একে একে সবাই কেমন পাশ থেকে সরে যাচ্ছে!

এখন যখন একা-একা বাড়িটার দিকে তাকাই, তখনকার গল্পগুলোই বেশি করে মনে পড়ে। আর নির্জন নিঝুম ঝোপেঝাড়ে ঢাকা তার ভঙ্গুর দশা কেমন যেন পাকড়ে ধরে আমায়! বাড়ির নীচে কারা বেশ গোডাউন বানিয়েছে। চুন-সুরকির। দুপুর হতেই যেখানে জুয়োর আড্ডা জমে! এ বাড়ি নাকি আবার ‘হেরিটেজ’! যে পাড়ায় শ্বাসপ্রশ্বাসে মিশে আছে প্রবাদপ্রতিম বাবা-ছেলের আস্ত জীবনের অনেকটা, তার নামটাও তো ওদের মনে করে বদলে যেতে পারত! যায়নি।

এ শহরের কাছে এতটাই কি অনাদার পাওনা ছিল ওদের!

অনুলিখন: দেবশঙ্কর মুখোপাধ্যায়

ঋণ: খগেশ দেববর্মন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

S. D. Burman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE