Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
আলোচনা

গভীর প্রকৃতিপ্রেমিক

তুলির আলতো ছোঁয়ায় ভেজা জমিতে রং ভাসিয়ে এ সবই তিনি অতি অনায়াস গতিতে করেছেন। যাতে ছবিগুলিতে একটা কোমল আভা, ভিজে ভাব তৈরি হয়েছে। শিল্পী গভীর ভাবে প্রকৃতিপ্রেমিক।

নিসর্গ: অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে অনুষ্ঠিত বাদল পালের প্রদর্শনীর একটি ছবি

নিসর্গ: অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে অনুষ্ঠিত বাদল পালের প্রদর্শনীর একটি ছবি

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭ ০০:০১
Share: Save:

অবচেতন মনে যে ছবি বিমূর্ত অবস্থায় থাকে, শিল্পী তাকেই প্রকাশ করেন বস্তুজগতের অনুষঙ্গে, রঙে রেখায়, তুলির টানে। এ রকমই এক মনোরম প্রদর্শনী করলেন শিল্পী বাদল পাল, অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে। তুলির আলতো ছোঁয়ায় ভেজা জমিতে রং ভাসিয়ে এ সবই তিনি অতি অনায়াস গতিতে করেছেন। যাতে ছবিগুলিতে একটা কোমল আভা, ভিজে ভাব তৈরি হয়েছে। শিল্পী গভীর ভাবে প্রকৃতিপ্রেমিক। ফলে সমগ্র চিত্রপটে অনেকটা ওয়াশের কাজের মতো এক ধরনের কোমল ঔজ্জ্বল্য তৈরি হয়েছে। নিসর্গ প্রকৃতির বিভিন্ন ঋতু ও সময় তাঁর শিল্পী মানসের অনুরণন। এই চিত্রগুলিতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, বর্ষাস্নাত প্রান্তর, ঝাপসা হওয়া দিগন্ত, মেঘের ফাঁক দিয়ে এসে পড়া আলো তাঁর প্রিয়।

বেশ কয়েকটি ছবিতে আকাশ জলে এসে মিশেছে। যা উপভোগ্য। শিল্পী এক বিশাল চরাচরকে রং ও আলোতে ধরেছেন তুলির ছোঁয়ায়। অ্যাক্রিলিক ও জলরঙের বিভিন্ন টোন ও স্নিগ্ধ স্বচ্ছতায় মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করেছেন। যদিও মস্তিষ্কচর্চার কোনও সুযোগই ছবিগুলিতে নেই। বেশির ভাগই আবেগের তাৎক্ষণিকতায় করা—চন্দ্রালোকে উচ্ছ্বল নদী, বর্ষাস্নাত বিস্তীর্ণ প্রান্তর, কুয়াশা ভেজা ভোর ইত্যাদি। ছবিতে সাদা জমি ছেড়ে দেওয়া, হাইলাইট, পরিমিতিবোধের পরিচায়ক। শিশিরভেজা সকাল ছবিটিতে শিল্পী যে বিশালত্বের অনুভব এনেছেন, তাতে শূন্য ও প্রকৃতি পরস্পরের পরিপূরক। নীচে হলদে রং শেষ হয়ে একটু সাদা সমস্ত ছবিটিতে অন্য ডাইমেনশন আনলেও দুটি নৌকা ও ক’জন মানুষ বড়ই বেমানান। ‘সূর্যের জলকেলি’, ‘ঝাপসা আলোয়’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য কাজ। অনেকগুলি ছবিতে আনুভূমিক তুলি সঞ্চালন যে বুনন তৈরি করেছে, তাতে দুটি রঙের মিশে যাওয়ায় কোথাও কোথাও আপনি রেখা এসে গিয়েছে। জলরঙের রীতিনীতি বজায় রেখেই একটি নিজস্ব শৈলী এনেছেন, যা কাগজ ও ক্যানভাসে সমান ভাবে প্রযোজ্য। এখানেই তাঁর নিজস্বতা প্রকাশ পেয়েছে।

শমিতা নাগ

মন কাড়ে

সম্প্রতি শিশিরমঞ্চে ব্যারাকপুর মুদ্রা আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংবর্ধনা দেওয়া হয় মমতা শঙ্করকে। প্রথমার্ধে তিমির রায়ের নৃত্য পরিবেশিত হয়। তাঁর রচিত ও সুরারোপিত ‘শ্রাবণের রিমঝিম’ গানটি দর্শকের খুবই ভাল লাগে। পরে শাস্ত্রীয় নৃত্যে গিরিধারী নায়কের পরিচালনায় সমবেত ওড়িশি নৃত্য প্রশংসার দাবি রাখে। ওড়িশি ও ভরতনাট্যম নৃত্যে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন অনন্যা, পারমিতা, শ্রুতি, স্বয়ংসিদ্ধা। সব শেষে তিমিরের পরিচালনায় সহশিল্পীদের ভরতনাট্যম মন জয় করে। সঞ্চালনায় ছিলেন ধীমান শঙ্কর।

অভিনব

সম্প্রতি আইসিসিআর-এ আশাভরী মজুমদার নিবেদন করলেন কনটেম্পোরারি নৃত্যের আঙ্গিকে কত্থক। যা উপভোগ্য। শাস্ত্রীয় নৃত্যে কিছু বাঁধাধরা নিয়ম থাকে। কিন্তু কনটেম্পোরারি নৃত্যে কোনও ব্যাকরণগত নিয়ম থাকে না। শিল্পী খুব সুন্দর ভাবেই তা মিলিয়ে দিয়েছেন। অনুষ্ঠানের শেষ নিবেদন ছিল ‘কোন গলি গ্যয়ি শ্যাম’।

পলি গুহ

অনুষ্ঠান

পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র পূর্বশ্রীতে আয়োজন করেছিল রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, দ্বিজেন্দ্রলাল, অতুলপ্রসাদ ও রজনীকান্ত সেনের গানের অনুষ্ঠান ‘স্মরণিকা’। তিন দিনে বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে শোনা গেল বেশ কিছু নির্বাচিত গান। ভাল লেগেছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ভাষ্যপাঠ ও নন্দিনী চৌধুরীর গান ‘উত্তরণ’।

যাদবপুর সাহানা ইন্দুমতী সভাগৃহে আয়োজন করেছিল ‘কথায় ও সুরে’। রামকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় সংস্থার শিল্পীরা গান শোনালেন। নৃত্য পরিবেশিত হল লিলি পালের পরিচালনায়। অন্যান্য শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন রিতা চক্রবর্তী, দীপক কর্মকার, সোনালি বর্ধন প্রমুখ।

রবীন্দ্রতীর্থে মেলোডিজ উইদাউট বাউন্ডারিজ নিবেদিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনালেন শ্যামশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, সমীর মুখোপাধ্যায়, মঞ্জুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে সেতারবাদনে ছিলেন দীপাঞ্জন গুহ। পাঠে ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

দমদম ছন্দকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’ অবলম্বনে শ্রুতিনাটক। নির্দেশনায় স্বপন গঙ্গোপাধ্যায়। অভিনয়ে ছিলেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ ঘোষ, কাকলি ঘোষাল, পাপিয়া চক্রবর্তী প্রমুখ। গানে রাজা রায়, শুক্লা বিশ্বাস, প্রবীর ভাদুড়ি, অনিন্দিতা গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Painting Dance Shows
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE