Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
আলোচনা

মণিপুরী নৃত্যে গুরুবন্দনা

প্রয়াত গুরু বিপিন সিংহের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর সুযোগ্য প্রাক্তন ছাত্রীরা দু’দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন গুরু শ্রীমতী কলাবতী দেবী ও গুরু শ্রীমতী দর্শনা ঝাভেরি।

নৃত্যের ছন্দে: গুরু বিপিন সিংহের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে ‘খুরুমজারি’ নৃত্যোৎসব

নৃত্যের ছন্দে: গুরু বিপিন সিংহের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে ‘খুরুমজারি’ নৃত্যোৎসব

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

সম্প্রতি গুরু বিপিন সিংহ ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিক্যাল ডান্স ফোরাম আয়োজিত দু’দিন ব্যাপী ‘খুরুমজারি’ নৃত্যোৎসব অনুষ্ঠিত হল সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়াম আইসিসিআর-এ। প্রয়াত গুরু বিপিন সিংহের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর সুযোগ্য প্রাক্তন ছাত্রীরা দু’দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন গুরু শ্রীমতী কলাবতী দেবী ও গুরু শ্রীমতী দর্শনা ঝাভেরি। মণিপুরী নৃত্য একটি ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যকলা। দু’দিন ব্যাপী এই ‘খুরুমজারি’ নৃত্যোৎসবের প্রথম দিনের প্রথম অনুষ্ঠান ছিল ‘মঙ্গলাচরণ’। এই সম্মিলিত নৃত্যে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রীতি, শ্রুতি, কুহেলিকা, সোমা, পৌষালি, রিখিয়া, পূর্বিতা, ইন্দ্রাণী, লতাসানা, মৌসুমি, নীলাঞ্জনা, সুচরিতা, তমান্না, শাশ্বতা ও শ্রাবণী। দক্ষ এই নৃত্যশিল্পীরা মঙ্গলাচরণ অনুষ্ঠানে তাঁদের লীলায়িত ভঙ্গিমায় ‘লাস্য’ এবং দৃপ্ত পদক্ষেপে ‘তাণ্ডব’ পরিবেশন করেন। এই নৃত্যের উৎকর্ষ দর্শককে মুগ্ধ করেছে।

‘পন্থা-জগোই’ নৃত্যে দেখা যায় মণিপুরী নৃত্যের লাস্য ও তাণ্ডবের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। নিত্য রাস থেকে নেওয়া একটি পর্যায়, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধিকার মধ্যে নৃত্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, সেখানে দৃপ্ত পদক্ষেপ ও লাবণ্যময় নৃত্য-ভঙ্গিমায় ‘তাণ্ডব’ পরিবেশন মন কাড়ে। লীলায়িত ভঙ্গি ও পদক্ষেপে ‘লাস্য’ পরিবেশন এবং পন্থা-জগোই নৃত্য পরিবেশনাও মনোগ্রাহী।

‘স্বরপ্রবন্ধ’ নৃত্যে সখী ললিতার নৃত্যশৈলী দেখে মণিপুরী নৃত্যে তাঁর মুনশিয়ানার পরিচয় পাওয়া যায়। মণিপুরী নৃত্যের লীলায়িত ভঙ্গিমায় শ্রীরাধার ‘অভিসারিকা’ নৃত্য প্রশংসনীয়। ‘পুং বাদন’ও প্রভূত প্রশংসার দাবি রাখে। ‘অনঙ্গক্ষেপ’ নৃত্যে রাধার নৃত্য ও চোলম-তাণ্ডব আঙ্গিকে তাঁর দৃপ্ত পদক্ষেপে পরিবেশিত নৃত্যে পরিপূর্ণ হয় ‘তাণ্ডব’। ‘কৃষ্ণের রূপ বর্ণন’ একটি অতি উৎকৃষ্ট নৃত্য পরিবেশনা, যা দর্শককে মোহিত করে। কবি জয়দেবের গীতগোবিন্দ থেকে নেওয়া অষ্টাপদী যুগল নৃত্যটি দক্ষতার সঙ্গে পরিবেশিত।

প্রথম দিনের সর্বশেষ নিবেদন ছিল ‘খুবাক ই সৈ’ বা করতালি দেওয়া নৃত্য। এই নৃত্যটি পরিবেশিত হয় রথযাত্রার সময়। মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে এই নৃত্যে যোগদান করেন। গুরু বিপিন সিংহের সুযোগ্য ছাত্রীরা এই নৃত্যটি অত্যন্ত পারদর্শিতার সঙ্গে পরিবেশন করেছেন।

‘খুরুমজারি’ নৃত্যোৎসবের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘মণ্ডলীবদ্ধ নর্তন’ দিয়ে। খুবই সুন্দর ছিল এই পরিবেশনা। মুগ্ধ করল ‘রাধা রূপ বর্ণন’ নৃত্যটিও। কবি গোবিন্দ দাসের পদের সঙ্গে নৃত্য সহযোগে শ্রীরাধার রূপ বর্ণনা যেন চমৎকার রূপ পেয়েছিল এই গুণী শিল্পীদের নৃত্যে। শ্রীকৃষ্ণের ‘ননী চুরি’র উপাখ্যান সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে নৃত্যে।

‘বাজিকর খেল’ নৃত্য উপস্থাপনায় ‘চোলম তাণ্ডব’-এর প্রভাব দেখতে পাওয়া যায় এবং ‘বাগলেই’ ধরনের অনেক রকম শারীরিক কসরত এই নৃত্য পরিবেশনাটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। ‘শুকসারি দ্বন্দ্ব’ নৃত্যের উপস্থাপনাও মনোগ্রাহী। ভাল লাগল ‘গোপরাস’। যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর সহচরেরা ছোট ছোট লাঠি নিয়ে অপূর্ব নাচলেন তাণ্ডব নৃত্যশৈলীতে। দক্ষতার সঙ্গে মঞ্চস্থ হল ‘তানুম’। এ দিনও ‘পুং বাদন’ দর্শকদের মন ভরিয়ে দেয়। শেষ নৃত্যানুষ্ঠান ছিল ‘মহা রাস’। এই নৃত্য দর্শকের মন জয় করে নেয়। দু’দিন ব্যাপী এই নৃত্য-উৎসবের নৃত্য ও সংগীত পরিকল্পনা ছিল গুরু বিপিন সিংহের এবং সমগ্র নৃত্য-উৎসবটি পরিচালনা করেন গুরু কলাবতী দেবী ও গুরু দর্শনা ঝাভেরি। অনুষ্ঠানের সংগীত সহযোগিতা করেন কলাবতী দেবী, অতসী চট্টোপাধ্যায় ও দ্রৌপদী দেবী।

জয়শ্রী মুখোপাধ্যায়

সাধারণকে ভেঙে এগোনোর প্রয়াস

মুখোশের আড়ালে: মানস রায়ের কাজ

স্টার থিয়েটারের নটী বিনোদিনী মেমোরিয়াল আর্ট গ্যালারিতে ইউনিক-এর তরুণ সদস্যরা আয়োজন করেছিলেন ষষ্ঠ বার্ষিক প্রদর্শনীর। কিন্তু চিত্র প্রদশর্নীর কাজের সঙ্গে সংস্থার নাম মানানসই হলে চোখেরও আরাম হত। যদিও তা একেবারেই হয়নি। তবে দর্শকের চোখ ও মনকে আহত না করলেও প্রদর্শনীর ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছবির মান নিয়ে সদস্যদের আরও ভাবা উচিত ছিল। কাজগুলির পিছনে নিষ্ঠার অভাব না থাকলেও পরিণত শিল্পবোধ ও শিল্প রচনার অনুষঙ্গের অভাব কিছু কিছু ক্ষেত্রে সে সৃষ্টিগুলিকে সম্পূর্ণতা দেয়নি। তাঁদের সামগ্রিক প্রয়াসকে তবুও এক সময় দর্শককুল ‘ইউনিক’ বলে বাহবা দিলে ভবিষ্যতের রুপোলি রেখার এক আভাস পাওয়া যেতেই পারে।

মানস রায় ‘সার্কাস’ ও ‘জোকার’ সিরিজ নিয়ে কাজ করেছেন। ক্যানভাস-স্পেসকে ছোট অনুষঙ্গে ভেঙে, রচনা এগিয়েছে নিজস্ব গতিতে। সীমিত রঙের অনুজ্জ্বলতা রচনার আবহকে কিন্তু এক সর্বজনীনতার মাত্রা দিয়েছে।

সুমিতা সাহুর কাজে ধারাবাহিকতার অভাব। ড্রয়িং দুর্বল। ছবি তৈরির অস্থিরতা রচনাকে দানা বাঁধতে দেয়নি। বাসের টিকিট পেস্ট করে ফর্ম তৈরি, তাকে ড্রয়িংয়ে সাজানো। শিল্পশিক্ষার পাঠযোগ্য ব্যবহার এক-একটি কম্পোজিশনের মাত্রাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে। এখানে তা অনুপস্থিত। উদ্দেশ্যহীন ইনস্টলেশন দেওয়ালের শুভ্রতাকে যেন ক্ষুণ্ণ করেছে।

বিশ্বরূপ পাল মিশ্রমাধ্যমে কিছু অলৌকিক আধিভৌতিক মুখাবয়ব এঁকেছেন। ড্রয়িংভিত্তিক কাজগুলিতে চারকোলের প্রাধান্য, প্যাস্টেলের টান ও রং রয়েছে। রং সীমিত। ছবি তৈরির সীমিত ভাবনায় এ সব কাজে কোনও গভীরতাই প্রকাশ পায়নি।

শর্মিষ্ঠা বিশ্বাসের কাজ দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে হয় অনেক স্থির, পরিণত, সীমাবদ্ধ। যদিও তা নয়। নিসর্গপ্রধান ছোট জলরং। জল আকাশ পাহাড় গাছ জমি দিগন্ত নৌকা নিয়ে বিস্তৃত পটভূমি। ব্রাশিং ও জলরঙের যে মায়াবী ব্যঞ্জনা ভেজা হ্যান্ডমেড কাগজের দৌলতে এক ধরনের মোহ তৈরি করে— বিদেশি পুরু কাগজের সারফেসের সাহায্য পেয়েও তা ব্যবহার করতে পারেননি শিল্পী।

সঞ্জীব মাহাতার অ্যাক্রিলিকে করা দু’টি ছবির একটি কালো পটভূমিতে গাঢ় সবুজ ফুলপাতা ও গাছপালা সংবলিত গর্ভবতী নারীর পার্শ্বাবয়ব। অন্যটি ধনেশ জাতীয় এক পাখির। ভাবনায় শৃঙ্খলার অভাব দেখা গিয়েছে।

গৌরব ঘোষাল উজ্জ্বল দু’টি চিত্রে মাদার টেরেসার মুখ এঁকেছেন। মাথায় জড়ানো শাড়ির নীল বড্ড প্রকট। দু’টি মুখেরই সবটা জুড়ে রুক্ষ টেক্সচার। পরে অতিরিক্ত রঙের গুঁড়ো মিশিয়ে ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণতাকে শিল্পী যে ইচ্ছে করেই নষ্ট করেছেন, তা কি মুখের বলিরেখাকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্যই? অ্যাক্রিলিক হোয়াইট ও স্প্যাচুলার ব্যবহারই প্রাধান্য পেয়েছে ছবিতে।

মনীষা হাজরার কয়েকটি পেন অ্যান্ড ইংক-এর কাজ ছিল। সাদাকালো ড্রয়িংগুলির মাধ্যমে শিব-পার্বতীর জীবনভিত্তিক রচনা ঠিক বোঝা গেল না। তিন-চারটি আপাত রঙিন ছোট কাজ ছিল। বরং ফুল লতা পাতার কাজটি অন্যগুলির তুলনায় আলাদা।

বিপ্লব সর্দার তাঁর ক’টি ক্যানভাসে ঠিক কোন আধ্যাত্মিক দর্শনকে ব্যক্ত করেছেন? স্পেস নষ্ট হয়েছে অনাবশ্যক। বড্ড বেশি সমতলীয়, অযথা কনটেন্ট তৈরির ভ্রান্ত দিকনির্দেশ।

তাপস হালদার যদি মালভর্তি চটের বস্তা বাস্তব থেকে স্টাডি করে কম্পোজিশনকে ধরার চেষ্টা করতেন, তা হলে ভাল হত। অন্ধকারাচ্ছন্ন পটভূমির ডান দিকে একগুচ্ছ নক্ষত্রের পাশে একটি মেয়ের কৌতূহলী মুখটি রচনা হিসেবে মন্দ নয়। ক্যানভাসে প্রায় মনোক্রোমের এই ছবিতে বিষণ্ণতাও আত্মগোপন করে আছে।

দেবযানী দত্ত ছোট কাগজে পেন, প্যাস্টেল, অ্যাক্রিলিকে ছবি এঁকেছেন। ছোটদের, বিশেষত বিদেশি গল্পের বইতে যেমন সচিত্রকরণ থাকে, অনেকটা সে রকম। শিশুসুলভ ছবি। মাছ, পাখি, বিভিন্ন আকারের ছোট এই কাজগুলো কোনও ভাবেই একটি পূর্ণাঙ্গ পেন্টিং হয়ে ওঠেনি।

প্রদর্শনীর একমাত্র আমন্ত্রিত শিল্পী অতনু পালের রঙিন আলোকচিত্রটি সাবজেক্ট হিসেবে মন ও চোখকে আরাম দেয়। ঘাস, থান ইট, পাথর, চ্যাপ্টা ছোট্ট একটি কৌটো, সামান্য জঞ্জাল-পরিবৃত অঞ্চলে পড়ে থাকা অর্ধচ্ছিন্ন রবারের দু’টি দস্তানা—এই হল শিল্পীর খুঁজে পাওয়া বিষয়। আপাতদৃষ্টিতে সামান্য মনে হলেও তা প্রখর বাস্তব। গোটা প্রদর্শনীর এটি অন্যতম সুন্দর কাজ। যা হয়তো মনে করিয়ে দেয়, সাধারণকে ভেঙে, অনেক গতিশীল গড়নের দিকে এগোনোই হচ্ছে শিল্পের আসল লক্ষ্য।

অতনু বসু

যে প্রেমের পরিণতি নেই

মানিকতলা দলছুট-এর ‘ভালবাসার গতিবিধি’ সত্যি এক নির্মল হাসির নাটক। এক প্রৌঢ় ব্যক্তি ইন্দ্রজিৎ সিংহ একাকিত্ব কাটাতে মজেছেন মুখ-পুস্তিকায় অর্থাৎ ফেসবুকে। তবে তাঁর নিজস্ব প্রোফাইলে নয়, তাঁর শ্যালকের ছেলে রুদ্রনীল করের প্রোফাইল দিয়ে। সেই সূত্রেই আলাপ হয় ত্র্যম্বকেশরী নামে এক যুবতীর সঙ্গে। এক বছর ধরে চলতে থাকে গভীর প্রেমালাপ। এ বার সেই যুবতী বায়না ধরে ইন্দ্রজিতের মুখোমুখি হতে। তখনই ফাঁপড়ে পড়ে যান ইন্দ্রজিৎ। অগত্যা বন্ধু কৃষ্ণময়ের শরণাপন্ন হন তিনি। ইন্দ্রজিৎ সেজে বন্ধুই পার্কে দেখা করেন সেই যুবতীর সঙ্গে। তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। দুই ঘুষখোর পুলিশ হাতেনাতে পাকড়াও করে তাদের।

শুরুতে কনস্টেবলের কয়েকটি বিসদৃশ আচরণ ছাড়া অন্য কোনও ভাঁড়ামো নেই। সে জন্য পরিচালক মিঠু দে-কে ধন্যবাদ। নাটকে গানের ব্যবহার ভাল। অভিনেতারা চমৎকার। শুরুতে ইন্দ্রজিৎ আর কৃষ্ণময় যে সমস্যার ইঙ্গিত দিয়ে দর্শকদের আকৃষ্ট করলেন, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। ইন্দ্রজিতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিল্বদল চট্টোপাধ্যায়, কৃষ্ণময় চরিত্রে অনুপ ঘোষ। এ ছাড়াও ভাল অভিনয় করেছেন প্রিতম চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কুশা সরকার, রাজা দে, কিশলয় মাঝি প্রমুখ। নাটকে যেখানে দু’টি সিংগল সোফায় কাজ চলে যায়, সেখানে ডাবল সোফাটি অনাবশ্যক। বিশেষত যখন তা একবার সরিয়ে ফিরিয়ে আনার ব্যাপার আছে।

সুকোমল ঘোষ

অনুষ্ঠান

• সম্প্রতি তপন থিয়েটারে আলিঙ্গন মঞ্চস্থ করল নাটক ‘মনশ্চৌর্যম’। নাটকটি লিখেছেন গৌতম রায়। নির্দেশনা দিয়েছেন সনৎ চন্দ্র।

• কামারহাটি নজরুল মঞ্চে বেলঘরিয়া বৈতানিক আয়োজন করেছিল ‘কবিতার জন্য’ অনুষ্ঠানের। ‘দেবী চণ্ডী’ পরিবেশনা করেন বেলঘরিয়া সুচেতন। ‘নিষ্পত্তি’ রম্যরচনাও উপস্থাপিত হয়।

• সম্প্রতি ধূমকেতু পাপেট থিয়েটার রবীন্দ্র সদনে আয়োজন করেছিল ‘পুতুল নাচ’ নামে একটি অনুষ্ঠানের। শুরুতে ‘বেঙ্গল স্কুল অব পাপেট্রি’ নিয়ে বেশ কিছু কথা আলোচনা হয়। এর পর অনুষ্ঠিত হয় ‘সংস্কৃতি ও বন্ধনের সেতু’, ‘ভূতের দেশে’, ‘জীবন খুঁজে পাবি’। শেষে পরিবেশন করা হয় ‘রাজা প্রজা পরিবেশ’।

• সম্প্রতি জ্ঞান মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল রবীন্দ্রসংগীতের অনুষ্ঠান ‘বিরহ-মিলন কথা’। আয়োজন করেছিল রবিশ্রুতি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সঙ্ঘমিত্রা গুপ্ত। সংগীত পরিবেশন করেন অলোকা রায়, শিখা চৌধুরী, শর্মিলা পাল, রিকা দত্তগুপ্ত, রেখা চক্রবর্তী, শকুন্তলা কুমার, দেবযানী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন গৌতম রায়, অভ্র চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চানন বড়াল।

• মোহরকুঞ্জে রশ্মিকলা কেন্দ্র আয়োজন করেছিল ‘বসন্ত আলাপন’। সংগীতে অংশগ্রহণ করেন সুদেষ্ণা ভট্টাচার্য, অন্বেষ পুরকায়স্থ। নৃত্যে সুমিতা ঘোষ, সুরতালের শিল্পীবৃন্দ এবং অভিরূপ সরকার। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সুজিত দাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dance Drama Theatre
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE