শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই হয়তো ভবিষ্যৎ। মাটি ছাড়া বাগান তৈরির এই পদ্ধতিকে বলে হাইড্রোপোনিক গার্ডেনিং।
মাটি লাগে না বলে স্বাভাবিক বাগানের চেয়ে এই বাগান নোংরা হয় কম। ফলে বাড়িতে এই বাগান করলে পরিষ্কার করার বা গাছের পোকামাকড় মারার চিন্তাভাবনা থাকবে না। জায়গাও লাগবে কম। এই বাগানের গাছের খাবারের মূল উৎস হল জল আর জলের নিউট্রিয়েন্টস। এ ধরনের বাগানে গাছের গোড়ায় জল আর প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেওয়া হবে, যাতে গাছ দিনের পর দিন বেঁচেও থাকবে, বাড়বেও তাড়াতাড়ি। এ বার দেখে নেওয়া যাক কয়েক রকম হাইড্রোপোনিক বাগান। তা হলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বিষয়টা।
উইক সিস্টেম: নারকেল ছোবড়া বা পারলাইটের (ছোট পাথর) মাধ্যমে জলের রিজার্ভয়ারের উপর এই ধরনের বাগান করা হয়। নারকেলের ছোবড়া বা পারলাইট এখানে জল টেনে গাছের শিকড়ে সরবরাহ করে। রিজার্ভয়ারের জলে গাছের দরকারি পুষ্টিগুণ দেওয়া থাকে।
ড্রিপ সিস্টেম: এই সিস্টেমে শুধু একটা ছোট পাম্প আর টাইমার লাগবে। গাছের গোড়ায় ড্রিপ লাইনের মাধ্যমে জল চলে আসে। গাছের শিকড় শুকিয়ে গেলে টাইমার সিগন্যাল দেবে পাম্প চালানোর। পাম্প চলতে শুরু করলেই গাছের গোড়ায় নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন পৌঁছে যাবে।
এরোপোনিক সিস্টেম: এ ক্ষেত্রে গাছের শিকড় বাতাসের উপর নির্ভরশীল। ক্রমাগত মিস্টের মাধ্যমে গাছের গোড়ায় নিউট্রিয়েন্ট সলিউশন দেওয়া হয়। ভাল স্প্রে দিতে হয় এই পদ্ধতিতে।
নিউট্রিয়েন্ট ফিল্ম টেকনিক: বড় বড় চ্যানেলে যেখানে জলের নিয়মিত সরবরাহ থাকে, তার মধ্যে গাছ তৈরি করা হয়। জলের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য টাইমার ও পাম্প লাগে।
এব অ্যান্ড ফ্লো সিস্টেম: এই পদ্ধতিতে একটি ট্রে-তে ছোট পাথর রেখে, তার মধ্যে নিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ জল দেওয়া হয়। ট্রে-র গাছ তখন সেই জল থেকে তার খাদ্য পায়।
দিনে দিনে এই গার্ডেনিং এত জনপ্রিয় হচ্ছে যে, আজকাল অনলাইন সাইটেও সহজেই এ রকম বাগান তৈরির উপকরণ পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy