Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

পোষা ফোঁস

অনেক লোকই আছেন, সাপ দেখলেই বাপ বলেন না। তাদের যত্ন করে পোষেন। খুব ভালবাসেন। অবশ্য রোজ দুধকলা খাওয়ান কি না, জানা নেই।আইন: সাপ পোষা মানা। নির্মম সত্য: সাপ পোষ মানে না। তবুও সাপ না পুষলে অনেকেরই ঘুম আসে না। ‘পর্বতশৃঙ্গে উঠলে যেমন ভয়ংকরকে জয় করার স্বাদ, তেমনই কি পান সাপ পুষেও?’ ‘শুনুন, তুলনাটা ভুল। সাপ ভয়ংকর তো না-ই, একেবারে আলাভোলা, ভিতু প্রাণী!’ বলছিলেন সিঁথির বাসিন্দা বছর চল্লিশের অসীম মান্না। একটা সময় সাপ-সাপ করে পাগল ছিলেন। তাঁর বাড়ির একটা ঘরে এখনও কয়েকটা কাচের বাক্স পর পর সাজানো, ধুলো-পড়া, ফাঁকা।

নীলার্ণব চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৫ ০১:০৫
Share: Save:

আইন: সাপ পোষা মানা। নির্মম সত্য: সাপ পোষ মানে না। তবুও সাপ না পুষলে অনেকেরই ঘুম আসে না। ‘পর্বতশৃঙ্গে উঠলে যেমন ভয়ংকরকে জয় করার স্বাদ, তেমনই কি পান সাপ পুষেও?’ ‘শুনুন, তুলনাটা ভুল। সাপ ভয়ংকর তো না-ই, একেবারে আলাভোলা, ভিতু প্রাণী!’ বলছিলেন সিঁথির বাসিন্দা বছর চল্লিশের অসীম মান্না। একটা সময় সাপ-সাপ করে পাগল ছিলেন। তাঁর বাড়ির একটা ঘরে এখনও কয়েকটা কাচের বাক্স পর পর সাজানো, ধুলো-পড়া, ফাঁকা। ‘নেশা ধরে গিয়েছিল, জানেন। লেখাপড়া, প্রেমিকা: এ-সব পাত্তা না দিয়ে সাপের পিছন পিছন ছুটেছি। কোনও এলাকায় সাপ বেরিয়েছে খবর পেলেই ছুটে গেছি। মানুষ তো সাপ দেখলেই মেরে ফেলে, আমি সাপ রেসকিউ করে এনে ঘরে যত্নে রেখেছি।’ কথা বলতে বলতে একটা বড় কাচের বাক্সের কাছে গেলেন অসীম। ‘এখানে দুটো কালনাগিনী একসঙ্গে থাকত। একটা মেয়ে, একটা পুরুষ। কালনাগিনী নির্বিষ, অপরূপ দেখতেও, একেবারে লক্ষ্মীমন্ত সাপ— আমার সবচেয়ে প্রিয়! মেয়ে কালনাগিনীটা ছিল আমার পোষা প্রথম সাপ। নাম দিয়েছিলাম কালসুন্দরী। একটা আলাদা টান ছিল ওর ওপর। ওকে না দেখে কোনও শুভকাজে বেরোতাম না। এক দিন সকালে খাবার দিতে এসে দেখি, সাপটা মরে গেছে। হাউহাউ করে কাঁদতে লাগলাম। কী ভাবে মরে গেল? শেষে বুঝলাম— ওর সর্দি হয়েছিল। সাপ তো মানুষ নয় যে সর্দি হলে রুমাল দিয়ে নাক ঝেড়ে নিতে পারবে, বা গলার কফ ফেলে দিতে পারবে! সাপের সর্দি বুঝে আপনাকে ওর গলা-মুখ থেকে কফ বার করে দিতে হবে। না হলে নিশ্বাসের ভীষণ কষ্ট হয় ওদের, মরেও যেতে পারে। সে সময় আমি বুঝতে পারিনি কালসুন্দরীর সর্দি হয়েছে, আমার অবজারভেশনের ভুলে...’ দেখলাম কাচের বাক্সটার উপরে ধুলোর আস্তরণে আনমনে আঁকাবাঁকা দাগ কেটেছেন অসীম। ‘কিন্তু সাপ পোষা ছেড়ে দিলেন কেন?’ ‘কিছু দিন ধরেই মনে হচ্ছিল, বন্যেরা বনে সুন্দর। আমি এ রকম কাচের বাক্সে ওদের আটকে রাখতে পারি না। কালসুন্দরীর মৃত্যুর পর থেকে আরও বাড়তে লাগল এই গিল্ট। তার পর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে এক দিন পোষা ছ’টা সাপই ছেড়ে দিলাম। ফেরার সময় কেবলই মনে হচ্ছিল, ওরা আমার পিছু পিছু চলে আসছে, বার বার পিছনে তাকাচ্ছিলাম— না, কেউ নেই তো, হতেও পারে না— তবুও কেমন যেন— আর হঠাৎ-হঠাৎ মাঝরাতে আমি চলে আসি এই ঘরে, দেখতে পাই সব কাচের বাক্সে সাপ রয়েছে ঠিক আগের মতোই, ঘোঁ-ও ঘোঁ-ও শব্দ করে ওঠে পোষা বড় দাঁড়াশটা, যাকে ডাকতাম নাগপঞ্চম বলে...’

আনোয়ার শাহ রোডের বাসিন্দা সুতনু গুহ (নাম পরিবর্তিত) শোনাচ্ছিলেন দাঁড়াশের হাতে হেনস্থা হওয়ার কাহিনি। ‘এক বার সাপের খোঁজে নদিয়ার ফুলিয়া এলাকায় ঘুরছি। খবর পেলাম, কাছেই একটা বিরাট দাঁড়াশ দেখা গেছে। প্রায় দৌড়ে পৌঁছলাম। দেখি প্রায় সাত ফুটের দাঁড়াশ শুয়ে আছে মাটির রাস্তার মাঝ-বরাবর। কী খেয়েছে কে জানে, নড়াচড়া করতেও পারছে না। চার দিকে ভিড়, চিৎকার-চেঁচামেচি। আমি সাপ ধরতে পারি জানিয়ে, লোকজন সরিয়ে এগোলাম। দাঁড়াশের তো বিষ নেই, তাই মরার ভয় নেই— কিন্তু অত বড় সাপটা, একটু ভয়-ভয়ই করতে লাগল। হয়তো ভয়ের জন্যই, ধরতে গিয়ে ভুল হয়ে গেল। সাপটা আমার হাতে দিল কামড়ে। সে কী জোর কামড়! আবার দাঁতগুলো বাঁকানো, সহজে ছাড়ানোও যাবে না। গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে, ভীষণ ব্যথাও করছে। হাতটা আলতো করে এগিয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে ছাড়ালাম। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি, কিন্তু প্রায় দেড় সপ্তাহ ভুগেছি।’ তার পর নিজের পোষা জলঢোঁড়ার বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘এই সাপটাও আমায় এক বার কামড়েছে, জানেন।’ স্নেহ মেশানো স্বর সুতনুর, ‘এক দিন মাছ খাওয়াতে গিয়ে খেলাম এর কামড়। সে দিন শনিবার। অনেকে বিশ্বাস করে শনি-মঙ্গলবারে নাকি নির্বিষ সাপের বিষ গজায়, আমার বাড়ির লোকজনও তখন সেটাই ভাবত। তাই সাপটা কামড়ানোর পর কান্নাকাটি পড়ে গেল। কিন্তু আমার কিছু হল না দেখে ওরা বুঝতে পারল ওটা কুসংস্কার, এটাই লাভ।’ পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুতনুর স্ত্রী, হাসছিলেন মিটিমিটি।

সাপ পোষার কথা শুনেই ফোঁস করলেন স্নেক-লাভার শিবাজি মিত্র। ‘এত কষ্ট দেয় ওরা সাপকে, আমি কিছুতেই মানতে পারি না। আমিও প্রয়োজনে সাপ রেসকিউ করেছি, কিন্তু নিজের কাছে কক্ষনও রাখিনি, রিলিজ করে দিয়েছি। তা ছাড়া, ১৯৭২-এর ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে সাপ পোষা, ধরা, মারা, তাড়ানো, কেনাবেচা— সব বারণ।’ হঠাৎ আমায় প্রশ্ন করলেন, ‘সাপের টেরিটোরিয়াল ডান্স সম্পর্কে কিছু জানা আছে আপনার?’ আমি তো হাঁ। ‘সংগম-নৃত্যও বলতে পারেন। দাঁড়াশ, গোখরো, কেউটের মতো কয়েক ধরনের সাপের মধ্যে দেখা যায়। মেটিং সিজনে এদের ফিমেল-রা যে এলাকায় ঘোরাফেরা করে, মিলনের জন্য সেখানে এসে হাজির একাধিক মেল। এ বার প্রতিযোগিতা— কে পাবে মেয়েটিকে। শুরু হয়ে যায় লড়াই। যে জেতে, সে-ই ফিমেলটার সঙ্গে সেক্স করতে যায়। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায়, সব গোলমাল হয়ে গেছে। যখন এরা লড়াইয়ে মগ্ন, তখন ফিমেলটা অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক করে হাওয়া। বা এমনিই পগার পার! ভুল করে সাপ হোমোসেক্সেও জড়িয়ে পড়ে, জানেন তো?’ আমি আরও হাঁ। ‘মেটিং সিজনে ফিমেল সাপের একটা গ্রন্থি থেকে রস বেরোয়, তার গন্ধ পেয়ে হুড়মুড়িয়ে চলে আসে মেল সাপ, আর তার পর শঙ্খ-লাগা। সেক্সের পর পুরুষটার গায়ে কিন্তু ওই রস লেগেই আছে, ফলে অন্য পুরুষ-সাপেরা ওই পুরুষটিকে অনেক সময় মেয়ে ভেবে ফেলে, আর মিলনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে, তবে কিছু ক্ষণেই ভুল ভেঙে যায়— বাঁচোয়া!’

সিরাজ গিরি (নাম পরিবর্তিত) তাঁর সল্ট লেকের ফ্ল্যাটে নানা রকমের সাপ পোষেন। প্রথমেই সাপের ‘খাওয়া দেখা’র একটা অভিজ্ঞতা শোনালেন। ‘এক বার বন্ধুরা মিলে গেছি বেথুয়াডহরিতে।

উঠেছি বনবাংলোয়। আমরা যে সাপপ্রেমী, সেটা মোটামুটি চাউর হয়ে গেছে এলাকায়। এক দিন সন্ধেবেলা দেখি আমাদের ডাকাডাকি করছে কিছু লোক। কী হয়েছে, না একটা সাপ শিকার ধরেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাজির। দেখি একটা পাইথন, লালচে ময়ূরকণ্ঠী ও কালো মেশানো, বিশাল, একটা আড়াই ফুটের হরিণ ধরেছে। পায়ের দিক থেকে। আমরা যাওয়ামাত্র চেয়ার-টেয়ার পেতে দেওয়া হয়েছে, এসে গেছে ফ্রুট জুসও। সাপটা হরিণটাকে গিলছে আস্তে আস্তে। বসে বসে, জুস খেতে খেতে দেখছি, যেন সিনেমা। শিং-সহ গোটা হরিণটাকে গিলে ফেলল সাপটা। লাগল আড়াই ঘণ্টা। হরিণটার কী আর্তনাদ! পর দিন আমরা ফিরে এলাম কলকাতায়। পরে জেনেছিলাম, আট দিন সেখানেই পড়ে ছিল সাপটা, হরিণটাকে হজম করার জন্য।’ ‘আর আপনি নাকি কিং কোবরা পুষতেন?’ শুনে মুখে একটা ছায়া পড়ল সিরাজের। ‘হুঁ, তবে সেটার বিষদাঁত ভাঙা ছিল। ওই ভাঙতে গিয়েই বোধহয় ইনফেকশন হয়ে যায়। বেশি দিন বাঁচেনি।’ ছোট পজ। ‘তবে একটা কথা, কিং কোবরা বা শঙ্খচূড় সত্যিই কিং, রাজা-সাপ। ওরা আপনাকে সহজে কামড়াবে না, প্রথমে ভয় দেখিয়ে ফোঁস করবে, তাতেই অনেকের ইয়ে হয়ে যাবে। যদি দেখে তার পরেও ভয় না পেয়ে কেউ ওকে ডুয়েলে চ্যালেঞ্জ করছে, তখন কামড়াবে, কিন্তু বিষ ঢালবে না। কারণ, ওরা বিষের মাহাত্ম্য বোঝে। আর কামড় খেয়েও যদি আপনার হুঁশ না ফেরে, তখন বিষ-ঢালা দংশন। আর কিং কোবরার বিষ তো জানেনই!’ সিরাজ আরও বললেন, ‘ফিমেল কিং কোবরা ডিম পাড়ার পর নিজের বাসা থেকে নড়ে না। ডিমে তা দেয়, পাহারাও দেয়। তার পর ডিম যখন ফুটবে-ফুটবে, তখন বাসা ছেড়ে চলে যায়। কেন? কারণ, কিং কোবরার প্রধান খাদ্য সাপই। কিন্তু নিজের সদ্যোজাত সন্তানদের ওরা খেতে চায় না। এ জন্যও সাপটাকে শ্রদ্ধা করি।’

মধ্যমগ্রাম স্টেশন থেকে প্রথমে ভ্যান বা রিকশায় চৌমাথা, তার পর অটোয়— মোট মিনিট কুড়িতে বাদু। হেঁটে অল্প এগোলেই পর পর দুটো স্নেক পার্ক। একটি দীপক মিত্রের, অন্যটি তাঁরই ভাই রামপ্রসাদ মিত্রের। বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত কাজে সব সময়ই ব্যস্ত দীপকবাবু। তাঁকে না পেলেও রামপ্রসাদবাবুর সঙ্গে মোলাকাত। রামপ্রসাদ ১২টি প্রজাতির ১৫১টি সাপের সঙ্গে দিন কাটান। কোথাও কোনও সাপ বিপদে পড়েছে জানলেই বন দফতরের পারমিশন নিয়ে সেখানে হাজির হন। সাপ ধরতে পারেন খুব দ্রুত। তাই রেসকিউ— এবং দরকারে শুশ্রূষা। ‘বার আষ্টেক বিষধর সাপের কামড় খেয়েছি। আর নির্বিষ সাপ কামড়েছে অগুনতি বার। বছর তিন আগে, শেষ যে কামড়টা খেলাম, চন্দ্রবোড়ার। কামড়েছিল আমার বাগানেই।’ আমায় নিয়ে স্নেক পার্কে ঘুরতে ঘুরতে বলছিলেন রামপ্রসাদ। কোথাও কাচের বাক্সে, কোথাও জালের ঘেরাটোপে, কোথাও মাটির চার ধারে পাঁচিল দিয়ে সাপ রাখা। ‘অনেক সময় দেখা যায়, সাপের গায়ের কোনও কোনও অংশ থেকে খোলস ঝরে পড়ে না, সেই খোলস বসে গিয়ে সাপের গায়ে ঘা হয়ে যেতে পারে। সে বার চন্দ্রবোড়াটার তেমনই হয়েছিল। খুব কষ্ট পাচ্ছিল। আমি ওষুধ-টষুধ লাগিয়ে সাপটাকে ছেড়ে বেরিয়ে আসছি, তখন আমার মুভমেন্ট ফলো করে কামড়াল এসে পায়ে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে। কিন্তু অ্যান্টিভেনম সিরাম দেওয়ার শুরুর পরেই প্রচণ্ড গ্যাস ফর্ম করে গেল। ভয়ানক কষ্ট হতে লাগল— পেট একেবারে জয়ঢাক— আর একটু হলে হার্ট অ্যাটাক করে যেতে পারত।’ হাঁটতে হাঁটতে সর্পোদ্যানের একটা জাল-ঘেরা এলাকার সামনে দাঁড়ালেন। ‘এই যে দেখছেন, এগুলো চন্দ্রবোড়া।’ তার পর স্নেক-হুক দিয়ে একটা চন্দ্রবোড়া তুলে বিশেষত্ব বোঝাতে বোঝাতে ঢুকলেন আর এক কাহিনিতে, ‘তখন শীত সবে পড়েছে। একটা প্রোগ্রামে যাচ্ছি, ভদ্রেশ্বরে গিয়ে শুনতে পেলাম, কাছেই একটা জায়গায় সাপ বেরিয়েছে। আমি আবার এ সব শুনলে না গিয়ে পারি না। গিয়ে দেখি, লোকালিটির মধ্যেই একটা ভাঙাচোরা দোতলা বাড়ি— চার পাশে ঝোপঝাড়। ঢুকে পড়লাম। কিছুটা এগিয়েই শুনি হিসিং সাউন্ড। অনেকটা প্রেশার কুকারের মতো, মানে— চন্দ্রবোড়া। পিছু নিলাম, কিছু ক্ষণ বাদেই দর্শন মিলল, কিন্তু কায়দা করতে পারছিলাম না কিছুতেই। যত বার ধরতে যাই, পালায়। এক বার ধরে, কামড় খেতে খেতে বাঁচলাম! আমার তখন জেদ চেপে গেছে, ধরতে হবেই। প্রায় দেড়-দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আমার জেদের কাছে চন্দ্রবোড়াটাকে হার মানতে হল। কিন্তু সাপটাকে পাকড়াও করার পর শুনি আর একটা হিসিং, এবং এটাও চন্দ্রবোড়া। ফের লুকোচুরি শুরু। অবশ্য দ্বিতীয়টাকে ধরতে বেশি বেগ পেতে হল না। প্রথমটা ছিল পুরুষ আর দ্বিতীয়টা দেখলাম— মেয়ে।’ ‘তার পর?’ ‘তার পর আর কী, ওদের ছেড়ে দিয়ে এলাম দূরের একটা জঙ্গল-জলা এলাকায়। তবে একটা প্রশ্ন এল মনে, শীতের সময় চন্দ্রবোড়া বের হলেও, এটা তো মেটিং সিজন নয়। তা হলে কেন ওরা এত কাছাকাছি এসেছিল?’ আমি বললাম, ‘হয়তো এমনি এমনি।’ উনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘হ্যাঁ, ঠিকই— তবে মানুষের কাছাকাছি অ্যাদ্দিন ধরে আছে তো, হয়তো ওরাও ডেটিং শিখে গেছে!’

nilarnab1@gmail.com

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE