Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

রাখাল ছেলে মোহর পেলে

মাটির নীচে তামার ঘটিতে রাখা ছিল গুপ্তযুগের স্বর্ণমুদ্রা। দেড় হাজার বছরের পুরনো সেই সব মুদ্রার কোনওটায় বাঘ বা গন্ডার শিকার করছেন প্রথম কুমারগুপ্ত, কোথাও বীণা বাজাচ্ছেন সমুদ্রগুপ্ত। কোনও মুদ্রায় খোদাই চক্রধারী বিষ্ণু। ১৯৪৭-এর অগস্টে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশীয় ও করদ রাজ্যগুলিকে গভীর সঙ্কটের মুখে পড়তে হল। কিন্তু মহারাজা সওয়াই ব্রজেন্দ্র সিংহ আলতেকরকে আশ্বস্ত করলেন, উঁচু মানের ক্যাটালগ প্রকাশের জন্য যত খরচ হবে, তা তিনি বহন করতে প্রস্তুত।

দুর্লভ: মুদ্রায় চক্রধারী বিষ্ণু।

দুর্লভ: মুদ্রায় চক্রধারী বিষ্ণু।

অশোককুমার দাস
শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৮ ০০:০২
Share: Save:

জানুয়ারি, ১৯৪৬। এক কনকনে শীতের দিনে ভরতপুরের মহারাজা সওয়াই ব্রজেন্দ্র সিংহ বায়ানা শহরের ১১ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে হল্লানপুরা গ্রামে ইয়ার-দোস্তদের নিয়ে শিকার করতে এসেছিলেন। এক মাস পরে তাঁদের ফেলে যাওয়া কার্তুজের খোল খুঁজছিল পাশের গ্রাম নাগলাছেলার তিন রাখাল— দিতামল, বাবু ও তুলসী। পতিত জমির উঁচু আলের কাছে, ঝোপের তলায় হঠাৎ তাদের নজরে এল কলসির কানার মতো ধাতব একটা বস্তু। তিন বন্ধুর খোঁড়াখুঁড়িতে বেরিয়ে এল একটা ভারী, বড় নলওয়ালা, ঘটির মতো পাত্র। তার ভিতরে যা রাখা, সেগুলো মুদ্রার মতো দেখতে। রাখাল ছেলেদের মনে হয়েছিল, এগুলি বুঝি বিবর্ণ পিতলের বোতাম। গ্রামে ফিরে বড়দের দেখাতেই তাঁরা বুঝে গেলেন, এগুলি মোটেই বোতাম নয়, পুরনো কালের সোনার মুদ্রা। তার পর যেমন হয়, ২৫৮টি মুদ্রা বিলি করা হল গ্রামের লোকেদের মধ্যে। ক’দিনের মধ্যে স্যাকরারা গলিয়ে তৈরি করে ফেলল সোনার গয়না।

গ্রামবাসীরা পাঁচকান করতে না চাইলেও খবরটা ঠিক পৌঁছে গেল মহারাজার কানে। তিনি তৎক্ষণাৎ বিশ্বস্ত লোকেদের পাঠিয়ে উদ্ধার করে আনালেন স্বর্ণমুদ্রায় ভরা সেই তামার ঘটি। গুনে দেখা গেল, তার মধ্যে অল্পস্বল্প নয়, মোট ১৮২১টি মুদ্রা রয়েছে। স্থানীয় বিদ্যালয় ও মিউজিয়মের কর্মীরা মহারাজকে জানালেন, এগুলি নিঃসন্দেহে প্রাচীন যুগের স্বর্ণমুদ্রা। বিচক্ষণ মহারাজা এই আবিষ্কারের গুরুত্ব অনুভব করলেন এবং তখনই স্থির করলেন, উপযুক্ত মুদ্রাবিশেষজ্ঞদের ডেকে পরীক্ষা করিয়ে এই মুদ্রাভান্ডারের ইতিহাস সঠিক ভাবে নিরুপণ করা দরকার। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলেন, পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অনন্ত সদাশিব আলতেকর এ বিষয়ে যোগ্যতম ব্যক্তি। মহারাজের আমন্ত্রণে ১৯৪৭-এর মে মাসে আলতেকর এই স্বর্ণমুদ্রার ভান্ডার দেখে তাঁকে জানালেন, স্বর্ণমুদ্রাগুলি পনেরো-ষোলোশো বছর আগে গুপ্ত সম্রাটদের প্রচলন করা, ঐতিহাসিক দিক দিয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ। মহারাজার উৎসাহে ও অর্থানুকূল্যে অধ্যাপক আলতেকর ভাল করে মুদ্রাগুলি পরীক্ষা করে তাঁর মতামত জানাতে দু’বছর সময় চাইলেন। সেই মতো ১৯৪৮-৪৯, দু’বছর সহকারী মুদ্রাবিশেষজ্ঞ পরমেশ্বরীলাল গুপ্তকে নিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করলেন ১৮২১টি মুদ্রা। আলতেকরের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণের ডিরেক্টর জেনারেল মর্টিমার হুইলার ও ন্যাশনাল মিউজিয়মের সুপারিন্টেন্ডেন্ট বাসুদেবশরণ অগ্রবাল তাঁদের মুখ্য আলোকচিত্রী গোবিন্দ তিওয়ারিকে মুদ্রাগুলির ছবি তুলতে পাঠালেন। আলতেকরের অনুরোধে কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়মের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যক্ষ কলম্বুর শিবরামমূর্তি মুদ্রার সাংকেতিক চিহ্ন ও সম্রাট-সম্রাজ্ঞী-কুলদেবীর অবয়বের রেখাচিত্র আঁকলেন। আর এক দিকপাল, বোম্বাইয়ের প্রিন্স অব ওয়েলস মিউজিয়মের নির্দেশক মোতি চন্দ্র এঁকে দিলেন মুদ্রায় উৎকীর্ণ সম্রাট-সম্রাজ্ঞীর পোশাকআশাক, অস্ত্রশস্ত্র, আসবাব ইত্যাদির বাস্তবানুগ ছবি। ১৯৪৯ সালের শেষাশেষি আলতেকর তাঁর ক্যাটালগ তৈরির কাজ শেষ করে ফেললেন।

এ দিকে ১৯৪৭-এর অগস্টে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশীয় ও করদ রাজ্যগুলিকে গভীর সঙ্কটের মুখে পড়তে হল। কিন্তু মহারাজা সওয়াই ব্রজেন্দ্র সিংহ আলতেকরকে আশ্বস্ত করলেন, উঁচু মানের ক্যাটালগ প্রকাশের জন্য যত খরচ হবে, তা তিনি বহন করতে প্রস্তুত। ছোট আকারের মুদ্রার খুঁটিনাটি ‘ডিটেল’ প্রচলিত আর্ট পেপারে ভাল ভাবে ছাপা যায় না বলে আলতেকরের বাছাই করা ৪৪৯টি মুদ্রার ছবি পাঠানো হল লন্ডনের চিজ়উইক প্রেস-এ, বিশেষ ধরনের কাগজে কলোটাইপ পদ্ধতিতে ছাপাবার জন্য। এই পদ্ধতিতে এক হাজার কপির বেশি ছাপা যায় না বলে ক্যাটালগের সংখ্যা এক হাজারেই নির্দিষ্ট হল। ৩৬ পৃষ্ঠার মুখবন্ধ, ১৫৮ পৃষ্ঠার দীর্ঘ ভূমিকা ও ৩৬৩ পৃষ্ঠা জুড়ে প্রত্যেকটি মুদ্রার বিশদ বিবরণ ও ৪৮টি প্লেট-সহ (যার ৩২টি প্লেটে কলোটাইপ পদ্ধতিতে ছাপা ৪৪৯টি স্বর্ণমুদ্রার প্রতিরূপ) এই ক্যাটালগ ইলাহাবাদের ল’ জার্নাল প্রেস-এ ছাপা হয়। ১৯৫১ সালের গোড়ায় সেটি তৈরি হয়ে গেল। মার্চে মহারাজা দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের হাতে সদ্য তৈরি ন্যাশনাল মিউজিয়মে গবেষক ও সাধারণ মানুষজনের দেখার জন্য বাছাই করা ২০৯টি স্বর্ণমুদ্রা তুলে দিলেন। তাঁকে উৎসর্গীকৃত ক্যাটালগটি প্রকাশিত হল ১৯৫৪ সালে। এক বিদ্যোৎসাহী ইতিহাসপ্রেমী মহারাজা ও এক মুদ্রাবিশেষজ্ঞ ইতিহাসবিদের অনলস প্রচেষ্টায় এ দেশের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্বর্ণমুদ্রার ভান্ডারের বিস্তারিত ও সচিত্র বিবরণ সকলের কাছে পৌঁছে গেল।

প্রথম কুমারগুপ্ত গন্ডার শিকার করছেন।

আলতেকরের পরামর্শ অনুযায়ী মহারাজা সওয়াই ব্রজেন্দ্র সিংহ ভরতপুর দরবারের জন্য ৭৮টি স্বর্ণমুদ্রা রেখে, আরও ৭৮টি স্বর্ণমুদ্রা বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারত কলা ভবন মিউজিয়মে, ২০টি প্রিন্স অব ওয়েলস মিউজিয়মে, ১৮টি পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ৫৯টি পটনা মিউজিয়মে স্থানান্তরিত করেন। বাকি মুদ্রার সঠিক হিসাব আমার জানা নেই, তবে জয়পুর সিটি প্যালেস মিউজিয়মে কাজ করার সময় জয়পুর মহারাজার সংগ্রহে একটি বিশেষ ক্যাবিনেটে বায়ানা ভান্ডারের প্রায় ১০০টি স্বর্ণমুদ্রা দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। সঙ্গে আলতেকরের লেখা তালিকা। কিন্তু মুদ্রাবিশেষজ্ঞ নই বলে সংগ্রহের গুরুত্ব সম্বন্ধে অবহিত হয়েও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারিনি।

হল্লানপুরা বা নাগলাছেলা গ্রামের ধারেপাশে পুরনো আমলের কোনও মন্দির বা অন্য ধরনের স্থাপত্য নিদর্শন বা ভাস্কর্যের সম্ভার পাওয়া যায়নি। হল্লানপুরার ১১-১২ কিমি উত্তর-পশ্চিমে বিজয়গড়ে গুপ্ত আমলের দুটি শিলালেখ আবিষ্কৃত হয়েছে। একটি আনুমানিক ৩০০ খ্রিস্টাব্দে উৎকীর্ণ করা যৌধেয় বংশের কোনও শাসনকর্তার লেখা, অন্যটি ৩৭২ খ্রিস্টাব্দে উৎকীর্ণ রাজা বিষ্ণুবর্ধনের শিলালেখ। অনুমান করা যায় যে এই বিজয়গড়ের কোনও রাজা বা রাজপুরুষ সম্রাট স্কন্দগুপ্তের রাজত্বের প্রথম দিকে আক্রমণকারী হুনদের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য স্বর্ণমুদ্রার এই ভান্ডার মাটির নীচে পুঁতে রেখেছিলেন। হয়তো যুদ্ধে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল, তাই দীর্ঘ দেড় হাজার বছর এই বিপুল ধনরাশির কথা কেউ মনে রাখেনি। নাগলাছেলার তিন রাখাল বালকের হাত ধরে তার পুনরাবিষ্কার হল।

মুদ্রাগুলির প্রাথমিক পরীক্ষার সময় আলতেকর লক্ষ করেছিলেন, এই ভান্ডারে গুপ্ত সম্রাট ক্রমাদিত্য বা স্কন্দগুপ্তের রাজত্বের প্রথম দিককার একটি স্বর্ণমুদ্রা ছাড়া গুপ্তবংশের শেষের দিকের কোনও সম্রাটের মুদ্রা নেই। অর্থাৎ মুদ্রাগুলি ক্রমাদিত্য/স্কন্দগুপ্তের রাজত্বের প্রথম দিকেই বোধহয় মাটির নীচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। মুদ্রাগুলির আনকোরা অবস্থা ও ঔজ্জ্বল্য দেখে, এবং সম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্ত থেকে প্রথম কুমারগুপ্তের সময়কার মাত্র দু’রকম মুদ্রা ছাড়া বাকি সব রকমের মুদ্রা এই ভান্ডারে থাকায় আলতেকারের মনে হয়েছিল যে এই মুদ্রাভান্ডার কোনও মন্দির, মঠ, ধনী শ্রেষ্ঠী বা রাজপুরুষের জমানো সম্পদ নয়, হয়তো কোনও রাজপুরুষের সংগ্রহ, গুপ্তযুগের প্রচলিত সব ক’টি স্বর্ণমুদ্রা সম্বন্ধে যাঁর সম্যক জ্ঞান ছিল।

বায়ানার স্বর্ণমুদ্রাভান্ডারে সম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্তের ১০টি, সমুদ্রগুপ্তের ১৮৩টি, কাচ-এর ১১টি, দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের ৯৮৩টি, প্রথম কুমারগুপ্তের ৬২৮টি আর ক্রমাদিত্য/স্কন্দগুপ্তের একটি স্বর্ণমুদ্রা রয়েছে। সমুদ্রগুপ্তের ১৮৩টি স্বর্ণমুদ্রার মধ্যে ১৪৩টি ‘স্ট্যান্ডার্ড’ শ্রেণির। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের ৯৮৩টি স্বর্ণমুদ্রার মধ্যে ৭৯৮টি ধনুর্ধারী শ্রেণির, আর প্রথম কুমারগুপ্তের ৬২৮টি মুদ্রার ৩০৫টি অশ্বারোহী ও ১৮৩টি ধনুর্ধারী শ্রেণির। অর্থাৎ মুদ্রা প্রচলনের ক্ষেত্রে গুপ্ত সম্রাটেরা দু’রকম পদ্ধতি অবলম্বন করতেন: ‘ডেফিনিটিভ’, যা সাধারণ ভাবে প্রচলিত ছিল, আর ‘কমেমোরেটিভ’ বা স্মারক— কোনও বিশেষ ঘটনা, অনুষ্ঠান, উল্লেখনীয় বিজয়লাভ ইত্যাদি উপলক্ষে। যেমন সমুদ্রগুপ্ত ও প্রথম কুমারগুপ্তের অশ্বমেধ শ্রেণির মুদ্রা, সমুদ্রগুপ্ত ও প্রথম কুমারগুপ্তের বাঘ শিকার, দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ও প্রথম কুমারগুপ্তের সিংহ শিকার কিংবা প্রথম কুমারগুপ্তের গন্ডার শিকারের মুদ্রা। এই বিশেষ ধরনের মুদ্রাগুলি কি সম্রাট যখন বাঘ, সিংহ বা গন্ডার অধ্যুষিত অঞ্চলে বিজয়ী হয়েছিলেন, তখন তৈরি হয়েছিল? তবে সমুদ্রগুপ্ত ও প্রথম কুমারগুপ্তের বীণাবাদনরত ছবি-সহ স্বর্ণমুদ্রা বোধহয় তাঁদের রাজ্যে সঙ্গীতে অনুরাগ প্রদর্শনের জন্য নির্মিত হয়েছিল।

বীণাবাদনরত সমুদ্রগুপ্ত

মুদ্রাতত্ত্বের বিচারে এই স্বর্ণমুদ্রাভান্ডারের বিভিন্ন ধরনের মুদ্রায় অনেক ছোটবড় পার্থক্য দেখা গিয়েছে, যা গুপ্তযুগের মুদ্রা বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের খুব প্রয়োজনীয়। তবে বায়ানা ভান্ডারের একটি বিরল উদাহরণ হল দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের ‘চক্রবিক্রম’ শ্রেণির মুদ্রাটি, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। আরাধ্য দেবতা হিসেবে চক্রলাঞ্ছিত বিষ্ণুর আবির্ভাব এই প্রথম। আরও অনেক নতুন ধরনের মুদ্রা বায়ানার মুদ্রাভান্ডারে পাওয়া গিয়েছে যা ইতিহাসবিদদের কাছে মূল্যবান।

স্বর্ণমুদ্রার ছোটবড় অনেক ভান্ডার এ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগে আবিষ্কৃত হয়েছে, আলতেকর তাঁর ক্যাটালগে তার তালিকা দিয়েছেন ও আলোচনা করেছেন। এখানে বলা দরকার, এর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো আবিষ্কার হল কলকাতার কালীঘাট অঞ্চলে ১৭৮৩ সালে পাওয়া তামার পাত্রে সঞ্চিত আনুমানিক ২০০টি স্বর্ণমুদ্রার ভান্ডার। সম্প্রতি সুস্মিতা বসু মজুমদার এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ মোনোগ্রাফ প্রকাশ করেছেন।

শেষে একটি কথা জানানো দরকার: হল্লানপুরা ও নাগলাছেলার গ্রামবাসীদের মহারাজা বাহাদুরকে আইনমতো না জানিয়ে ২৮৫টি স্বর্ণমুদ্রা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে ও গলিয়ে ফেলার অপরাধে রীতিমতো জরিমানা করা হয়, প্রতিটি মুদ্রার জন্য ৪৫ টাকা হিসেবে মোট ১২,৬৮০ টাকা রাজকোষে জমা দিতে হয়! অবশ্য এই ২৮৫টি মুদ্রার সঙ্গে জড়িত আরও কত মূল্যবান তথ্য চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে, তার কোনও হিসাব নেই। ১৮২১টি স্বর্ণমুদ্রা যে তাঁরা গলিয়ে ফেলেননি, সে জন্য গ্রামবাসীদের কুর্নিশ প্রাপ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Coinage Gupta Coins
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE