Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
AirAsia

কলকাতা থেকে জহর বাহরু যাওয়া এ বার আরও সহজ

এই নিজস্বতাই মালয়েশিয়ার বাকি শহরগুলির থেকে জহর বাহরুকে আলাদা করে তুলেছে। চলুন জেনে নি জহর বাহরু-তে গিয়ে আপনি কী কী করতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন ক্রোড়পত্র
শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ২০:০৫
Share: Save:

জহর বাহরু। কলকাতাবাসীর অনেকের কাছেই হয়তো নামটা অচেনা। আবার অনেকে হয়তো বেশ ভালভাবেই চেনেন এই শহরটিকে। সে যাই হোক না কেন, দেশের দক্ষিণে অবস্থিত মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হল এই জহর বাহরু। মালয়েশিয়ার অন্যান্য শহরগুলির থেকে একটু আলাদাই এই শহরটি। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ও বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। আর এই নিজস্বতাই মালয়েশিয়ার বাকি শহরগুলির থেকে জহর বাহরুকে আলাদা করে তুলেছে। চলুন জেনে নি জহর বাহরু-তে গিয়ে আপনি কী কী করতে পারবেন।

জহর বাহরু-তে গিয়ে যে জায়গাগুলিতে না গেলেই নয়।

• লেগোল্যান্ড

২০১২-তে প্রথম এই পার্কটি চালু হয়। গোটা মালেশিয়াতে এটাই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক স্তরের থিম পার্ক। পার্কটি অবস্থিত নুসা ক্যামেরল্যাং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায়। ৪০টির বেশি আকর্ষণীয় রাইড এবং শো আপনি এখানে দেখতে পাবেন। ২০১৩-তে এখানে ওয়াটার পার্কও চালু হয়। শুধু তাই নয়, আপনি চাইলে এখানে থাকতেও পারেন।

সৌজন্যে: http://www.m-suites.com

• জহর বাহরু সিটি স্কোয়্যার

জহর বাহরু বেড়াতে গেলে এই সিটি স্কোয়্যার আপনার চোখে পড়তে বাধ্য। শহরের ঠিক মধ্যিখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই মলটি। ২০০টিরও বেশি বিভন্ন দোকান রয়েছে এখানে। যদি শপিং আপনার ভাল লাগে, তবে এই জায়গা আপনার জন্য আদর্শ।


সৌজন্যে: https://i0.wp.com

• দ্য লিটল বিগ ক্লাব

এটিও একটি থিম পার্ক যেখানে আপনি আপনার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করবেন। বাচ্চাদের জন্য তো এই পার্কটি আদর্শ। পিঙ্গু থেকে অ্যাঞ্জেলিনা ব্যালেরিনা, রয়েছে হরেক কিসিমের কস্টিউমও। আর রয়েছে বব দ্য বিল্ডার জোন যেখানে বাচ্চারা ববকে সাহায্য করবে বাড়ি তৈরি করতে।

সৌজন্যে: https://i.ytimg.com

• জহর ওল্ড চাইনিজ মন্দির

শুধুমাত্র চাকচিক্যই নয়, পুরাতনও ঠাঁই পেয়েছে এই শহরে। যেমন ধরুন জহর ওল্ড চাইনিজ মন্দির। ১৯৯০ সালের এটি মন্দিরটি যেন নতুনের মাঝে পুরাতনকে তুলে ধরেছে। এই মন্দিরটি পাঁচটি চাইনিজ সম্প্রদায়কে এক করেছে।

সৌজন্যে: https://3.bp.blogspot.com

এ তো জহর বাহরু শহরের কথা। তবে জহর বাহরুতে আসবেন আর আশেপাশের আইল্যন্ডে ঘুরতে যাবেন না, তা কি হয়! জহর বাহরুর সমুদ্র সৈকত কিংবা আইল্যান্ড আপনার মন ভোলাতে বাধ্য। জহর বাহরু থেকে বোটে চেপে আপনি এই আইল্যান্ডগুলিতে পৌঁছতে পারবেন।
চলুন এবার, জহর বাহরুর আশেপাশের দ্বীপগুলির সন্ধান করা যাক।

• ডেজারু সৈকত

জহর বাহরুর সবথেকে কাছে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতটি পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। সারা বছর ধরেই এই সৈকতে ভীড় লেগে থাকে। কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, সমস্ত বয়সের মানুষের মনোরঞ্জনের জন্যেই এখানে বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। তবে স্রেফ সমুদ্র সৈকত হিসেবেই বিখ্যাত নয় ডেজারু। সৈকতের কাছেই রয়েছে ডেজারু ফ্রুট ফার্ম। যেখানে আপনি পেয়ে যাবেন না না ধরনের মরসুমি ফলের সম্ভার।

সৌজন্যে: http://www.holidaygogogo.com

• মার্সিং এবং পাশ্ববর্তী আইল্যান্ড

যাঁরা ওয়াটার অ্যাডভেঞ্চার ভালবাসেন, তাঁদের জন্য মার্সিং আইল্যান্ড একদম সঠিক জায়গা। যদিও পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো সেরকম কিছুই নেই মার্সিংয়ে। তাও এই জায়গাটি বিখ্যাত কারণ এখান থেকে ৯-১০টি আইল্যান্ডে যাওয়া যায়।

সৌজন্যে: http://smartouch.com.my

• পুলাও বেসার

জহর বাহরু থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই আইল্যান্ডটি। এই আইল্যান্ডটিকে ঘিরে রয়েছে আরও অনেকগুলি আইল্যান্ড। গোটা সৈকত জুড়ে যেন শান্তি আর শান্তি। এখানকার জল এতটাই স্বচ্ছ যে জলের তলার পাথরের স্তরও আপনার চোখে পড়বে। স্কুবা ডাইভিং, মাছ ধরা, বোটিং করা ছাড়াও এখানে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি আপনার চোখে পড়বে। এখান থেকে আপনি 'কেলং'-এও যেতে পারেন।

সৌজন্যে: https://media-cdn.tripadvisor.com

• পুলাও রাওয়া

পুলাও বেসার থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপটি। যদিও আকারে এই দ্বীপটি মালয়েশিয়ার অন্যান্য দ্বীপগুলি থেকে অনেকটাই ছোট এবং মূল সৈকতে মাত্র ২টি রিসর্ট রয়েছে। তবে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গেলে এই সৈকতটি একদম আদর্শ। এখানে এলে আপনি একটি ক্যানোয় ভাড়া করে নিন আর ঘুরে বেড়ান আইল্যান্ডের আশেপাশে।

সৌজন্যে: https://malaysiatravel.info

• পুলাও সিবু

সিঙ্গাপুর থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টা দূরে অবস্থিত এই আইল্যান্ড। ৪টি সমুদ্র সৈকত নিয়ে তৈরি হয়েছে এই আইল্যান্ডটি। ১৯৯৩ সালে এই আইল্যান্ডের সমগ্র এলাকা জুড়ে একটি মেরিন পার্ক গড়ে তোলা হয়। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য এই দ্বীপটি আদর্শ। সঙ্গে স্নোরকেলিং, ডাইভিং, বিচ ভলিবল এগুলো তো রয়েছেই।

সৌজন্যে: http://www.islandinmalaysia.com

এ ছাড়াও আপনি পুলাও টিঙ্গি, পুলাও পেমাংগিল, পুলাও আর - এর মতো দ্বীপগুলি থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
তাহলে কী ভাবছেন? এই নভেম্বরেই ঘুরে আসতে পারেন জহর বাহরু। আর এখন আপনার চিন্তাও নেই। কেন না কলকাতা থেকে এয়ার এশিয়ার বিমান এবার আপনাকে সোজা পৌঁছে দেবে জহর বাহরুতে।

আর এয়ার এশিয়ার অফার তো রয়েছেই। এখনই বুক করুন এয়ার এশিয়ার টিকিট। সঙ্গে এয়ার এশিয়ার বাস বুক করতে ভুলবেন না যেন! এই বাসটি আপনাকে নির্ঝঞ্ঝাটে পৌঁছে দেবে আপনার গন্তব্যস্থলে।
তাহলে আর দেরি কেন? ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দিন মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে। অফার কিন্তু সীমিত সময়ের জন্য।
যাত্রা শুভ হোক।

দেখুন ভিডিও

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

AirAsia Travel
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE