Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

বিয়ের পোশাক বেছে দিল সোশ্যাল মিডিয়া, চিন্তামুক্ত ৯৩ বছরের কনে

সদ্য কেনা ওই চারটি পোশাক পরে সিলভিয়া ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেন গত ২৮ মে। আসলে হবু কনে যে পোশাকের দোকানে গিয়েছিলেন, তারাই এই পুরো ব্যাপারটির দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেয়।

সিলভিয়া মার্টিন। ছবি: সংগৃহীত।

সিলভিয়া মার্টিন। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৭ ১৭:০৮
Share: Save:

মুখ জুড়ে হাজারও বলিরেখা। সারা শরীরে লোলচর্ম। যাতে লেখা ৯৩টি বসন্তের কাহিনি। তবু, সৌন্দর্য কমেনি এক ফোঁটাও!

চিরসবুজ মনটা ঠিক যৌবন বয়সের মতোই রয়ে গিয়েছে। আর সেই সতেজ মনকে সঙ্গী করেই এই বয়সে এসে বিয়ের বাঁধনে নিজেকে বাঁধছেন সিলভিয়া মার্টিন। ৯৩ বছরের মার্টিনের বিয়ে আগামী জুলাই মাসের শেষ দিকে। আপাতত তারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার এই বৃদ্ধা। বিয়ের জন্য কিনে ফেলেছেন চার-চারটি পোশাক।

তবে, একটা বিষয় তাঁকে বেশ ফাঁপরে ফেলেছিল। বয়স এত্তটা বেশি! এই বয়সে বিয়ে করলে লোকে কী বলবে? না! তা নিয়ে একটুও মাথাব্যথা ছিল না সিলভিয়ার। সেই বিশেষ দিনটিতে কোন পোশাকটি তিনি পরবেন, তা নিয়েই যত চিন্তা। তবে চিন্তা থাকলেও এক ফোঁটাও ঘাবড়াননি সিলভিয়া। সেই ভাবনা ছেড়ে দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে।

এমন ভাবেই চারটি পোশাকে সেজে ছবি পোস্ট করেছিলেন। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

কী রকম?

সদ্য কেনা ওই চারটি পোশাক পরে সিলভিয়া ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেন গত ২৮ মে। আসলে হবু কনে যে পোশাকের দোকানে গিয়েছিলেন, তারাই এই পুরো ব্যাপারটির দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেয়। তাদের কথা মতো, ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেন সিলভিয়া। সোশ্যাল-মত চাওয়া হয়। ওই পোস্টটিতে প্রায় চার হাজারের বেশি মানুষ তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বেশির ভাগই ‘সি’ নামাঙ্কিত পোশাকটিই বেছে নেন। আর সেই মতো বিয়ের দিন ওই পোশাকটিই পরবেন সিলভিয়া।

কার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে ওই ‘তরুণী’র?

আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের এই ৩ লক্ষণ সব মহিলার জেনে রাখা প্রয়োজন

পাত্রের নাম ফ্র্যাঙ্ক। তিনি আবার কনের থেকে পাঁচ বছরের ছোট। ফ্র্যাঙ্কের সঙ্গে মার্টিনের সম্পর্কের শুরু আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগে। তখন মার্টিন স্বামীহারা। ফ্র্যাঙ্ক তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু, বিয়ে করতে চাননি সিলভিয়া। তাঁর ভাবনা ছিল, ফ্র্যাঙ্ককে বিয়ে করলে মৃত স্বামীকে অসম্মান করা হবে। বিয়ে করলে পদবি পরিবর্তন হয়ে যাবে। প্রয়াত স্বামীর পদবিকে নিজের নাম থেকে সরাতে চাননি তিনি। অন্য দিকে, বয়সের ভারে নুয়ে পড়া ফ্র্যাঙ্কও ছিলেন নাছোড়বান্দা। তিনি সিলভিয়াকে রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। শেষে পদবির বিষয়টা মেনে নিতেই ফ্র্যাঙ্ককে হবু বর হিসাবে মেনে নেন ৯৩ বছরের এই কনে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE