পুজোর আবেগ পরিচালক অরিন্দম শীলের মধ্যে সারাক্ষণ। ফাইল চিত্র।
পুজোর বাজারে তাঁর জন্যই গোয়েন্দার হাওয়া। বাঙালিকে পুজোতে ব্যোমকেশের রহস্যে মজিয়ে দিলেও তিনি নিজে এ বার পুজোয় চলছেন অন্য পথে। পরিচালক অরিন্দম শীল। পুজোতে কেবল দুর্গাই তাঁর সহায়। ছবির প্রোমোশনের সঙ্গে সঙ্গে পুজোর চার দিনের মেনু ঠিক করছেন তিনি।
‘আরবানা’-তে এ বার দুর্গাপুজো জমজমাট! আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে রাতের ডিনারের মেনু ঠিক করে ফেলেছি। ধরুন সকালটা ফুলকো লুচি, সাদা আলুর তরকারি ঠিক আছে, কিন্তু দুপুর থেকে আমরা বিষয়টাকে সম্পূর্ণ আমিষে নিয়ে যাই,’’ উত্তেজিত অরিন্দম।
যৌথ পরিবারের ছেলে তাই পুজো তাঁর কাছে অনেক স্মৃতি নিয়ে আসে। ‘‘নবমী শেষ হতে না হতেই মা, ঠাকুমারা দেখতাম সারা দিন ধরে নানা রকম নাড়ু তৈরি করছেন। তিলের নাড়ু, নারকেল নাড়ু, নিমকি! সে সবের স্বাদই আলাদা, মিস করি খুব।’’
আরও পড়ুন: হ্যান্ডসাম ছেলে দেখার জন্য ম্যাডক্স স্কোয়ার যেতাম...
আরও পড়ুন: মায়ের গন্ধ মাখা পুজোর চারটে দিন: যিশু সেনগুপ্ত
ঠাকুরদালানের আড্ডা, ধুনুচি নাচ, শুধু চেয়ে থাকার প্রেম অরিন্দমের দুর্গাপুজোর স্মৃতি ঘিরে।
‘‘আসলে দুর্গাপুজোয় আমাদের তখনকার প্রেম ছিল একটু চেয়ে থাকা। তার পর দূরে চলে যাওয়া। আবার হয়তো অঞ্জলিতে ফুল হাতে নিয়ে পাশে দাঁড়ানো, একটু ছোঁয়া। এই রোমাঞ্চের কোনও তুলনা হয়?’’
পুজোর আবেগ তাঁর মধ্যে সারাক্ষণ। আজও নতুন জামা আর খাবারের তালিকা নিয়ে উত্তেজিত তিনি। পুজোর চার দিন তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের পুজোয় সবচেয়ে উদ্যোগী। নাহ্, তখন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির বিখ্যাত পরিচালক নন তিনি, যেন শুধুই যৌথ পরিবারের পুজো আঁকড়ে আনন্দ খুঁজে নেওয়া এক যুবক!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy