—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভোডাফোন আইডিয়ার (ভি) গ্রাহকদের সংস্থার আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা পুরোপুরি কাটছে না। সূত্রের খবর, ভি-র বকেয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে সরকারি স্তরে নড়াচড়া বেড়েছে ঠিকই। সংস্থাকে সুরাহা দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। তবে সম্পূর্ণ বকেয়া মকুব করার ভাবনা নেই কেন্দ্রের। কতটা সর্বোচ্চ বকেয়া ছাড় দিয়ে তাদের ভার কমানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে সরকারের শীর্ষস্তরে। একাংশের দাবি, কতটা বকেয়া মকুব করলে ভি বিপদমুক্ত হবে, সেটাই আসল প্রশ্ন।
সোমবার সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইন্ডিগোর সমস্যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রী এ দিন দেশে অন্তত পাঁচটি বড় উড়ান সংস্থা প্রয়োজন বলে যে মন্তব্য করেছেন, তা টেলিকমের জন্যও সরকারের মাথায় রাখা দরকার। কারণ, তাতে প্রতিযোগিতা বহাল থাকবে। যা গ্রাহকের ভোগান্তি কমাবে। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএএলের কলকাতা সার্কলের এক প্রাক্তন কর্তা বলেন, ‘‘বর্তমানে দেশে সাকুল্যে চারটি টেলিকম সংস্থা। তার মধ্যে যদি একটি বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে প্রতিযোগিতা আর থাকবে না। তাই নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে ভোডাফোনকে বাঁচিয়ে রাখা সরকারেরই অন্যতম গুরুদায়িত্ব। অন্যথায় মাত্র তিনটি সংস্থার হাতে দেশের টেলি শিল্পের গোটা বাজার চলে যাবে। আখেরে ধাক্কা খাবেন আমজনতা।’’
সরকারি সূত্রের দাবি, ভি নিয়ে টেলিকম বিভাগ, আইন মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় কথা চলছে। বকেয়ার একাংশ মকুব হবে, ধরেই নেওয়া যায়। কিন্তু কতটা, তা নির্ভর করছে অনেকগুলি বিষয়ের উপর। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার ভি-এর কাছে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা পায়। সংস্থা বলেছিল, সরকার পাশে না দাঁড়ালে পরিষেবা বন্ধ করতে হবে। তার পরেই প্রমাদ গোনে ভি-র ২০ কোটি গ্রাহক। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, গ্রাহক স্বার্থে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিক টেলিকম দফতর।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে