প্রতীকী ছবি
করোনা আক্রান্ত কারও মৃত্যুর পরে তাঁকে শ্মশানে অথবা কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার সময়ে স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম মেনে আলাদা গাড়িতে যেতে পারবেন মৃতের পরিবারের ছ’জন আত্মীয়। সোমবার এই কথা জানিয়েছেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে পুরসভায় যে নির্দেশিকা এসেছে সেখানে বলা হয়েছে, সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে করোনায় মৃতদের পরিজনেরা শ্মশান বা কবরস্থানের প্রবেশপথ পর্যন্ত যেতে পারবেন।’’
করোনায় যাঁরা সরকারি হাসপাতালে মারা যাচ্ছেন, তাঁদের মরদেহ নিয়ে যাচ্ছে পুরসভা। সে ক্ষেত্রে মৃতের আত্মীয়েরা পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করলে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁদেরও যাওয়ার অনুমতি মিলবে। একই ভাবে বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় মৃতদের দেহ নিয়ে যেতে বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে। মৃতের পরিবারের তরফে তাদের জানালে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফেও পরিজনেদের নিয়ে যাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, করোনায় মৃতদের বাড়ির লোককে দেহ দেখার অনুমতি দেওয়া হলেও এত দিন কেউ শ্মশানে যেতে পারতেন না। অনেকেই এই নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার পরেই স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেন পুর কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মৃতের যে আত্মীয়েরা শ্মশানে বা কবরস্থানে যাবেন তাঁদের দূরত্ব-বিধি মেনে দাঁড়াতে হবে। বাধ্যতামূলক ভাবে পরতে হবে মাস্ক। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ধাপা ছাড়া নিমতলা এবং গার্ডেনরিচের বিরজুনালা শ্মশানে করোনায় মৃতদের সৎকার করা হচ্ছে। অন্য দিকে, বাগমারি কবরস্থানে তাঁদের কবর দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। ধাপায় মৃতদেহের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্যই এই দুই শ্মশানের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। ফলে মৃতদেহ সৎকারের চাপ অনেকটাই কমেছে বলে পুর স্বাস্থ্য দফতরের দাবি।