Adwitiya

স্বপ্ন দেখার সাহস হারাবেন না, বলছেন ‘অদ্বিতীয়া’ বঙ্গকন্যা

বছর চব্বিশের তরুণী বলেই ফেললেন, ‘‘এ বার পাখির চোখ গ্র্যান্ড ফিনালে। স্বপ্ন দেখার জন্য মনের জোরটা আরও বেশি করে পাচ্ছি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৪৭
Share:

বিজয়ী: ‘অদ্বিতীয়া’র মঞ্চে (বাঁ দিক থেকে) পৃথা সাহা, তন্নিষ্ঠা ধর এবং শ্রবণা রায়চৌধুরী। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

চাই স্বপ্ন দেখার সাহস। তবেই এক দিন সত্যি হয় সেই স্বপ্ন। এমনটাই মনে করেন হুগলির শেওড়াফুলির তরুণী শ্রবণা রায়চৌধুরী। ‘পি সি চন্দ্র মুগ্ধা নিবেদিত আনন্দবাজার পত্রিকা অদ্বিতীয়া’ প্রতিযোগিতার কলকাতা অঞ্চলের ফাইনালে ‘সঙ্গীত’ বিভাগে নামার আগে তিনি আশা করেছিলেন, ভাল কিছু করবেন। কিন্তু সকলকে হারিয়ে যে একেবারে প্রথম স্থানাধিকারী হবেন, সেই আশা করেননি শ্রবণা। তাই ওই বিভাগে প্রথম হয়ে সরাসরি ‘গ্র্যান্ড ফিনালে’-তে উঠে বছর চব্বিশের তরুণী বলেই ফেললেন, ‘‘এ বার পাখির চোখ গ্র্যান্ড ফিনালে। স্বপ্ন দেখার জন্য মনের জোরটা আরও বেশি করে পাচ্ছি।’’

Advertisement

এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য সুপ্ত প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়া। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলার প্রতিযোগীদের নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি রোটারি সদনে অনুষ্ঠিত হয়েছে কলকাতা অঞ্চলের প্রতিযোগিতা। সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য— এই তিন বিভাগ ছিল তাতে। সেখানেই সঙ্গীতে প্রথম হন শ্রবণা। দ্বিতীয় হয়েছেন পৃথা সাহা ও তৃতীয় তন্নিষ্ঠা ধর। চূড়ান্ত পর্বে ওঠার জন্য তাঁরা দু’জনেই আর এক বার সুযোগ পাবেন।

প্রাণীবিদ্যায় স্নাতক শ্রবণা রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন। গত ১৬ তারিখ কলকাতা অঞ্চলের ফাইনালে সঙ্গীত বিভাগে তিনি গেয়েছেন রবীন্দ্রসঙ্গীতই। শ্রবণার কথায়, ‘‘সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তোলার জন্য এমন উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। ফাইনালে যাঁরা আমার সহপ্রতিযোগী ছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন প্রৌঢ়ত্বের দোরগোড়ায়। সংসারের চাপে গানের চর্চা তাঁদের ছিল না বহু দিন। তা সত্ত্বেও হাল ছাড়েননি তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হয়ে এত দূর পৌঁছেছেন। আমাদের সকলের মধ্যে স্বপ্ন দেখার সাহস জুগিয়েছে এই প্রতিযোগিতা।’’

Advertisement

শ্রবণা জানান, গান ভালবেসেই ভবিষ্যতে নিজেকে তুলে ধরতে চান তিনি। তাঁর আশা, প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ওঠা তাঁকে সাহায্য করবে গানের উপরে ভিত গড়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে। তিনি বলেন, ‘‘আগামী ২৯ ফ্রেবুয়ারি কলামন্দিরে গ্র্যান্ড ফিনালে। এখন থেকেই ওই দিনটার জন্য অনুশীলন শুরু করে দিয়েছি।’’

সঙ্গীত বিভাগে আধুনিক গান গেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন কেষ্টপুরের বাসিন্দা পৃথা। তিনি বেলুড়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সংস্কৃত নিয়ে পড়ছেন। হস্টেলে থেকেই চালাচ্ছেন লেখাপড়া। পৃথা বলেন, ‘‘হস্টেলে তো গান প্র্যাক্টিস করার সুযোগ তেমন পাই না। তাই যখন বাড়ি যাই, তখন বেশি করে অনুশীলন করি। খেয়াল রাখি, পড়ার চাপের মধ্যেও গানের চর্চা যেন হারিয়ে না যায়। অনেকের মধ্যেই এমন প্রতিভা লুকোনো থাকে। তাকে সামনে আনল এই প্রতিযোগিতা।’’ স্নাতক হওয়ার পরে অন্য কিছুতে নয়, গানের উপরেই পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে চান ওই ছাত্রী।

লোকসঙ্গীত গেয়ে প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হওয়া, বাগুইআটি দক্ষিণপাড়ার তন্নিষ্ঠার পড়াশোনার বিষয় গান। স্নাতক স্তরের ওই তরুণী বলেন, ‘‘এত বড় মাপের কোনও প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হওয়াও খুব গর্বের। আমার সামনে আর একটা সুযোগ আছে গ্র্যান্ড ফিনালে-তে ওঠার। তার জন্যই মনপ্রাণ ঢেলে তৈরি হচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন