Civic Volunteer

লটারিতে কোটিপতি সিভিক ভলান্টিয়ার, দুই সংসার স্বপ্ন বুনছে ভবিষ্যতের

রবিবার আচমকাই বদলে গেল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিককর্মী ফিরোজ আলমের।

Advertisement

বাপি মজুমদার

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২০ ১০:৩০
Share:

উৎফুল্ল: থানায় টিকিট হাতে সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ। নিজস্ব চিত্র

বাবার স্বপ্ন ছিল পাকা বাড়ি করার। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ২০১২ সালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান শেখ মুসলিমউদ্দিন। তিন বছর পরে মারা যান দাদাও। দাদার পরিবারের দায়িত্বও তাঁর উপরে এসে পড়ে। সিভিক কর্মীর চাকরির সামান্য আয়ে নিজের ও দাদার সংসার টানতেই হিমসিম হচ্ছিলেন তিনি।

Advertisement

রবিবার আচমকাই বদলে গেল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিককর্মী ফিরোজ আলমের। এ দিন সকালে কাজে যাওয়ার সময় এক বন্ধুকে লটারির টিকিট কাটতে দেখে তিনিও একটি টিকিট কেটেছিলেন। কয়েক ঘণ্টা পরে সেই বন্ধুর ফোনে জানতে পারলেন, তাঁর টিকিটে মিলেছে পুরস্কার। কিন্তু সেটা যে ১ কোটি টাকার তা স্বপ্নেও ভাবেননি ফিরোজ। পরে টিকিট থানায় জমা দিয়ে নিশ্চিন্ত হন। তার পর থেকেই বাবার শেষ স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি নিজের মেয়ে, দাদার মেয়েকেও ভাল ভাবে পড়াশোনা করানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তিনি। ফিরোজ ১ কোটি টাকা জেতায় খুশি তাঁর পরিজন, সহকর্মীরা।

ফিরোজ জানান, তাঁর বাড়ি আলিপুর গ্রামে। তাঁর আয়ে ছ’জনের সংসার চলে। এ দিন সকালে বাড়ি থেকে থানায় যান। তুলসীহাটায় কাজ পড়েছে জেনে সে দিকে রওনা দেন। থানা থেকে কিছুটা এগিয়েই একটি লটারির দোকানে এক বন্ধুকে টিকিট কাটতে দেখে এগিয়ে যান। দেড়শো টাকার টিকিট কাটেন। তার পরে কাজে চলে যান।

Advertisement

লটারির টাকা পেয়ে খুশি ফিরোজ বলেন, ‘‘কী ভাবে টিকিট মেলাতে হয় জানতাম না। বন্ধুর ফোন পেয়ে টিকিট মিলিয়ে জানতে পারি ১ কোটি টাকা পেয়েছি। বাবার ইচ্ছা ছিল একটা পাকা বাড়ি করার। ওই টাকা দিয়ে আগে বাবার স্বপ্নপূরণ করব। আর নিজের মেয়ে, দাদার মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তা-ও এ বার দূর হল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন