‘হ্যাশট্যাগ নেক্সটপিএমবহেনজি’ (পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বহেনজি)— আজ সারাদিন ধরে টুইটারে এ ভাবেই প্রচার চালালেন বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) প্রধান মায়াবতীর অনুগামীরা। যা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের সরস মন্তব্য, গাছে কাঁঠাল ধরার সময় এখনও এল না, তার ঢের আগে
গোঁফে তেল দেওয়া শুরু করলেন বহেনজির ভক্তেরা!
অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (এসপি), আরএলডি-র সঙ্গে আসন রফা চূড়ান্ত করে ফেললেও এখনও তেমন ভাবে প্রচার শুরু করেননি মায়াবতী। প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা হয়নি। হিন্দি বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্যে এ বারের ত্রিমুখী লড়াই। মায়াবতীকে মুখোমুখি হতে হবে বিজেপি এবং কংগ্রেসের। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার রাজনীতিতে অভিষেকের পর উত্তরপ্রদেশে নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছে কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ওই অংশের মতে, সব মিলিয়ে দিল্লি অনেক দূর এবং সামনের রাস্তা বেশ কঠিন। এ কথা বিলক্ষণ জানেন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ
এই দলিত নেত্রী। কিন্তু সকলকে অবাক করে আজ সকাল থেকে বিএসপি নেতা-কর্মীরা ‘বহেনজি’কে প্রধানমন্ত্রী করার প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন টুইটারে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
টুইট-প্রচার সম্পর্কে বিএসপির একাংশের বক্তব্য, এটা একধরনের প্রচার কৌশল। এসপি-বিএসপি জোট কত আসন পাবে, আদৌ সার্বিক ভাবে বিজেপিকে হারানো সম্ভব হবে কি না, বিরোধীরা সম্মিলিত ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও নেতৃত্ব কার উপর বর্তাবে— এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। কিন্তু সাইবার প্রচারের মাধ্যমে মায়াবতী নিজেকে নেতৃত্বের প্রশ্নে প্রাসঙ্গিক করে রাখার বার্তা দিলেন বলে দাবি বিএসপির। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অখিলেশের সঙ্গে জোট গড়ার অনেক আগে, গত
বছরও এমন প্রচার শুরু করেছিল বিএসপি শিবির।