সনিয়া গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদল নিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ড বৈঠকে বসল। কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী ফের রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় হলেন। শনিবার সন্ধ্যায় দশ জনপথে সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে কর্নাটকের পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক হয়। তাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, রাহুল গান্ধী ও সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পরে বেণুগোপাল বলেন, কর্নাটকের বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ফের বৈঠক হবে।
কর্নাটকে কংগ্রেস সরকারের আড়াই বছর কেটে যাওয়ার পরে উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারচাইছেন, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ বার তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছেড়ে দিন। কিন্তু সিদ্দারামাইয়া তাতে রাজি নন। হাইকমান্ডের নির্দেশে দুই নেতার দু’দফায় প্রাতঃরাশ বৈঠক হলেও সমস্যা যে মেটেনি, এ দিনের শীর্ষবেঠকে তার প্রমাণ মিলেছে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের মতে, এ নিয়ে সংশয় জিইয়ে না রেখে দ্রুত সমাধান নেওয়া উচিত।
এরই মধ্যে দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ শাখা ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় শিবকুমার ও তাঁর ভাইকে সমন পাঠিয়েছে। কংগ্রেসের একাংশ মনে করছে, শিবকুমারের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে ও তাঁর উপরে তদন্তকারী সংস্থার উপরে চাপ তৈরি করে বিজেপি তাঁকে ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
অন্য দিকে রাহুল গান্ধীর আস্থাভাজন বলে পরিচিত কংগ্রেসের ডেটা অ্যানালিটিক্স শাখা ও প্রফেশনাল’স কংগ্রেসের চেয়ারম্যান প্রবীণ চক্রবর্তীর উপরে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব ক্ষুব্ধ বলে সূত্রের খবর। তিনি তামিলনাডুর ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য ডিএমকে-কংগ্রেসের আসন সমঝোতায় বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছিলেন বলে সূত্রের খবর। তিনি রাহুলকে ভুল পরিসংখ্যান দিচ্ছিলেন। কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে প্রবীণ দল ছেড়ে অভিনেতা বিজয়ের রাজনৈতিক দল টিভিকে-তে যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে