Coronavirus

আতঙ্কের এক মাস, ইটালিতে শোক পালন

বেলজিয়ামে করোনাভাইরাসের মারা গিয়েছে ১২ বছরের একটি মেয়ে। সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত কাল ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১১
Share:

প্রতীকী ছবি

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ হাজার ৫৯১ জন। তাঁদের জন্য মঙ্গলবার পতাকা অর্ধনমিত রেখে এক মিনিট নীরবতা পালন করল ইটালি। ৬ কোটি মানুষের দেশটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এত মৃত্যু আর দেখেনি। আজ সেই মৃত্যুমিছিল এক মাসে পা দিল। তাই আলাদা করে শোক পালন করল গোটা দেশ। ফেব্রুয়ারির একেবারে শেষে ইটালির উত্তরের শহর মিলানে প্রথম করোনা-আক্রান্ত রোগীর হদিস মিলেছিল। রোমের মেয়র ভার্জিনিয়া রাজ্জি আজ নীরবতা পালনের পরে বলেছেন, ‘‘ওই ভাইরাস গোটা দেশে যে ক্ষত তৈরি করেছে, তাতে কষ্ট পাচ্ছেন সবাই। আমরা সকলে মিলে এই সময়টা পেরিয়ে যাব।’’ এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশে লকডাউন বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বেলজিয়ামে করোনাভাইরাসের মারা গিয়েছে ১২ বছরের একটি মেয়ে। সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত কাল ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। এর বেশি কিছু জানাতে চায়নি মন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘একটা শিশুর জীবন যখন জড়িয়ে যায়, তখন বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর হয়ে যায়।’’

ক্রমশ জটিল হচ্ছে আমেরিকার পরিস্থিতি। একটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সেখানে স্বাস্থ্য সরঞ্জামের চাহিদা তুঙ্গে পৌঁছবে। মেরিল্যান্ডের গভর্নর ল্যারি হোগান জানিয়েছেন, বাড়িতে থাকার নির্দেশ অমান্য করলে জেলে পুরে দেওয়া হবে। তবে নিউ ইয়র্কে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যার হার ধীরে হলেও কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে গভর্নর আ্যান্ড্রু কুয়োমো। আক্রান্তের নিরিখে আমেরিকায় এখনও নিউ ইয়র্কই শীর্ষে। আজ নিউ ইয়র্ক পুলিশের দফতরে ১১৯৩ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কাজের দেখভাল করছেন যিনি, সেই চিকিৎসক ডেবোরা বার্ক্স বলছেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমেরিকায় প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাবে। তাঁরই দাবি, ১৫ এপ্রিলে পৌঁছে হাসপাতালে ২ লক্ষ ২৪ হাজার শয্যার প্রয়োজন হবে আমেরিকার। ধরে নেওয়া হচ্ছে, আগামী মে মাস পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অগস্ট পর্যন্ত ধরলে এখানে মৃতের সংখ্যা ছুঁতে পারে ৮২ হাজার। আপাতত আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৫ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। সারা বিশ্বে সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত এখন এখানেই। মারা গিয়েছেন ৩ হাজারের বেশি মানুষ। রোগীদের পরীক্ষা করার হার আরও বাড়াতে হবে বলে আজ দাবি তুলেছেন হাউস স্পিকার এবং ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি পেলোসি।

Advertisement

আপাত ভাবে শরীরে করোনার লক্ষণ নেই, অথচ সেই ভাইরাস শরীরে রয়েছে, এমন রোগীদের বুধবার থেকে খুঁজে বার করা চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। কারণ যাঁরা এই ভাইরাসের ‘ক্যারিয়ার’ অথচ যাঁদের কোনও লক্ষণ নেই, তাঁরা মারণ-ভাইরাসটি ছড়ানোর ক্ষেত্রে বেশি মারাত্মক। মনে করা হচ্ছে, চিনে নতুন করে যতটা সংক্রমণ ফের ছড়িয়েছে, সেটা এ ভাবে বাইরে থেকে আসা অনেকের মাধ্যমে হচ্ছে, যাঁদের শরীরে রোগের উপসর্গ বোঝা যাচ্ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন