শুনানি নিয়ে বেলাগাম ট্রাম্প

ট্রাম্প বলেছেন— তিনি আশা করেন না, ইমপিচড হবেন। অভূতপূর্ব সমর্থন পাচ্ছে রিপাবলিকান পার্টি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০১:০৬
Share:

ছবি :এপি।

তাঁর ইমপিচমেন্ট নিয়ে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে গত পাঁচ দিনের শুনানিকে বললেন ‘পুরোপুরি ছাইপাঁশ’। এ-ও বললেন, ইউক্রেনের উপরে তাঁর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন মার্কিন কূটনীতিকের সাক্ষ্য শোনার সময়ে হাউসের ডেমোক্র্যাটদের ‘নির্বোধের মতো’ দেখাচ্ছিল। স্পষ্টতই, নিজের ইমপিচমেন্ট-শুনানি নিয়ে মুখের লাগাম হারিয়ে ফেললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টেলিফোনে একটি চ্যানেলকে দেওয়া ৫৭ মিনিটের সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বললেন, ‘‘ধাপ্পায় ভরা একটা দুর্দান্ত সপ্তাহ কাটল।’’

Advertisement

ট্রাম্প বলেছেন— তিনি আশা করেন না, ইমপিচড হবেন। অভূতপূর্ব সমর্থন পাচ্ছে রিপাবলিকান পার্টি। কিন্তু ডেমোক্র্যাট-অধ্যুষিত হাউসে যদি ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পাশ হয়, তা হলে উচ্চকক্ষ সেনেটে শুনানির মুখে পড়তেও তাঁর কোনও অসুবিধে নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই আপাত স্বস্তির একটা কারণ অবশ্যই সেনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা। প্রেসিডেন্টের অপসারণেও দুই-তৃতীয়াংশ সেনেটরের সম্মতি দরকার। সে সবের আগে ট্রাম্প চাইছেন ডেমোক্র্যাটদের ঘরে চ্যালেঞ্জটা পৌঁছে দিতে। হাউসের তদন্ত বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তথা ডেমোক্র্যাট সদস্য অ্যাডাম শিফের নাম করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘আমি তো চাই, এ বার রিপাবলিকানরা ওঁকে একটু প্রশ্ন করুন। শিফ ভুয়ো হুইসলব্লোয়ার সম্পর্কে বলুন।’’ হুইসলব্লোয়ারের অভিযোগের ভিত্তিতেই ইমপিচমেন্ট তদন্ত শুরু। শিফ ওই ব্যক্তির আসল পরিচয় জানেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তবে রিপাবলিকান সেনেটরেরা শিফের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীকে সাক্ষীর কাঠগড়ায় তুলে জেরা করতে চাইবেন কি না, প্রশ্ন থাকছে তা নিয়ে।

Advertisement

হুইসলব্লোয়ারের দাবি, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম পদপ্রার্থী জো বাইডেন এবং তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরুর জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও সব উড়িয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘কারও বিরুদ্ধে কিচ্ছুটি বলার না-থাকলে ইমপিচ করাটা খুব শক্ত।’’

চর্চা চলছে, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নাক গলিয়েছিল ইউক্রেন। যা নিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন কর্তা ফিয়োনা হিল গত কাল বলেন, ‘‘রুশ নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এ সব গল্প বানায়।’’ ট্রাম্প কিন্তু ষড়যন্ত্রের তত্ত্বই আউড়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ওই বছর ইউক্রেনীয়রা ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির নেটওয়ার্ক হ্যাক করে থাকতে পারে। হয়তো রাশিয়ার ঘাড়ে সেই দোষ চাপিয়েছিল তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন