‘সব চক্রান্ত, আমি নির্দোষ’, ২ ঘণ্টায় ১২৩ টুইট ট্রাম্পের

যেগুলির মূল বক্তব্য একটিই, ‘‘কোনও ভুল না-করা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে ডেমোক্র্যাটরা যে ভাবে আমাকে ইমপিচ করতে উঠে পড়ে লেগেছে, সেটা অন্যায়। ভয়ঙ্কর এই দলটা আসলে দেশেরই ভাল চায় না।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিটংটন শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৮
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।

এত দিন তবু রয়েসয়ে বলছিলেন। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের বিচার বিভাগীয় কমিটি গত কাল তাঁর ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের দু’টি ধারায় সবুজ সঙ্কেত দিতেই মেজাজ হারালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিরোধী ডেমোক্র্যাট আর সংবাদমাধ্যমের একাংশের ‘ষড়যন্ত্র’ নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে নয়া রেকর্ডও গড়ে ফেললেন টুইটারে। ২ ঘণ্টায় টুইট করলেন মোট ১২৩টি! যেগুলির মূল বক্তব্য একটিই, ‘‘কোনও ভুল না-করা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে ডেমোক্র্যাটরা যে ভাবে আমাকে ইমপিচ করতে উঠে পড়ে লেগেছে, সেটা অন্যায়। ভয়ঙ্কর এই দলটা আসলে দেশেরই ভাল চায় না।’’
ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, ২০২০-র ভোটে ফায়দা তুলতেই তাদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করাতে ইউক্রেনকে চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এখান থেকেই ইমপিচ-পর্বের সূত্রপাত। বৃহস্পতিবার টানা ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন বিতর্ক হঠাৎ মাঝপথে থামিয়ে দেন কমিটির চেয়ারম্যান জেরি ন্যাডলার। পিছিয়ে দেন ভোটও। ভোট হয় শুক্রবার।
ওই ভোটে যে ‘সুখবর’ আসছে না, তা আগেভাগেই আন্দাজ করে নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। সেই মতো দিনের শুরু থেকেই তিনি বলতে শুরু করেন, ‘‘কোনও অন্যায় করিনি। বরং প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশকে সবচেয়ে পোক্ত অর্থনীতি দিয়েছি, ঢেলে সাজিয়েছি সেনাকে, চাকরি-চাকরি আর শুধু চাকরির বন্দোবস্ত করেছি সবার জন্য। তার পরেও ইমপিচমেন্টের নামে এই ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র!’’

Advertisement

কাদের ষড়যন্ত্র? ভোটের ফল ঘোষণা হতেই শুরু হল ট্রাম্পের টুইট-বান। নাম ধরে-ধরে বিঁধলেন সংবাদমাধ্যমকেও। হুমকি দিয়ে রাখলেন, ‘‘খুব ভাল কথা। আগামী দিনে আসুন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট। হাউসের দখল তখন থাকবে রিপাবলিকানদের হাতে। তখন বুঝবেন, কত ধানে কত চাল! শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নিতে ইমপিচ করতে চাইলে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবেই।’’

ইমপিচমেন্টই কি তা হলে ভবিতব্য ট্রাম্পের? বিশেষজ্ঞরাই বলছেন, অঙ্কটা ততটাও সরল নয়। কারণ, বিচার বিভাগীয় কমিটির এই সিদ্ধান্ত প্রথমে হাউসের ফ্লোর টেস্টে যাবে। ডেমোক্র্যাটরা যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ। ট্রাম্প সেখানে ফের ধাক্কা খেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর পরে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব যাবে সেনেটে। শেষ কথা বলবে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ এই সেনেটই। আগেভাগে রক্ষণ সামলাতে তাই মাঠে নেমেছে হোয়াইট হাউসও। তাদের অন্তত দু’জন আইন বিষয়ক কর্তা গত বৃহস্পতিবার থেকেই সেনেটে যাওয়া-আসা করছেন বলে সূত্রের খবর। সেনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমাখার অবশ্য আজও বলেছেন, ‘‘ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব সেনেটে এলে তা নিয়ে নিরপেক্ষ রায় দিতে আমরা প্রত্যেক সেনেটরই বদ্ধপরিকর। গোটা দেশ সেনেটেরই মুখ চেয়ে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন