ছবি: সংগৃহীত
চিনে আটকে থাকা ভারতীয়দের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে টানা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস। আজ সকালে টুইট করে সে কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছেন, কোনও ভারতীয় এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। চিনে শহরবন্দি হয়ে পড়লেও তাঁদের কাছে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে। তবে চিনে আজ করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ হয়েছে।
গত কালই দিল্লি বেজিংকে অনুরোধ করেছে, ভাইরাসের উৎসস্থল বলে চিহ্নিত উহান শহরে আটকে থাকা ২৫০ ভারতীয় পড়ুয়াকে দেশে ফিরতে দেওয়া হোক। ভয়ার্ত পরিবারগুলিকে আশ্বস্ত করতে আজ জয়শঙ্কর টুইটারে লিখেছেন, ‘‘বেজিংয়ে আমাদের দূতাবাস টানা ভারতীয়
পড়ুয়াদের শরীর-স্বাস্থ্য, হাল-হকিকতের খোঁজ রাখছে।’’ দু’টি হটলাইন খোলা হয়েছিল (+৮৬১৮৬১২০৮৩৬২৯ এবং +৮৬১৮৬১২০৮৩৬১৭) কাল। আজ তৃতীয় আর একটি হটলাইন খোলা হয়, +৮৬১৮৬১০৯৫২৯০৩।
আরও পড়ুন: বেকারপঞ্জি নিয়ে আন্দোলনে রাহুল
উহান-সহ হুবেই প্রদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন অন্তত ৭০০ ভারতীয় পড়ুয়া। এক এক করে শহরগুলোকে ‘তালাবন্ধ’ ঘোষণা করার আগেই বহু পড়ুয়া দেশে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু এখনও ২৫০ থেকে ৩০০ পড়ুয়া আটকে রয়েছেন। জাপান, হংকং, ম্যাকাউ, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, তাইল্যান্ড, আমেরিকা, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুরেও ছড়িয়েছে ভাইরাস। আজ কানাডাতেও একটি সংক্রমণের ঘটনা শোনা গিয়েছে। জাপান ও আমেরিকাও তাদের দেশের লোকেদের চিন থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ভাইরাসটির উৎস বলে সন্দেহ করা হচ্ছে সি-ফুড ও মাছমাংসের বাজারকে। আজ থেকে সাময়িক ভাবে মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।