Jair Bolsonaro

মাস্ক খুলে চাপে বোলসোনারো

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জ়াইর বোলসোনারোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার কথা ঘোষণা করল প্রেস অ্যাসোসিয়েশন।  

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ব্রাসিলিয়া শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২০ ০৫:৩৭
Share:

জাইর বলসোনারো। —ফাইল চিত্র

সকলকে চমকে দিয়ে মাস্ক পরেই সাংবাদিকদের সামনে এসেছিলেন। তার পর মাস্ক খুলে ফেলে জানান, তিনি করোনা-পজ়িটিভ!

Advertisement

গত মঙ্গলবারের এই ঘটনায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জ়াইর বোলসোনারোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার কথা ঘোষণা করল প্রেস অ্যাসোসিয়েশন।

উত্তরে ট্রাম্প, দক্ষিণে বোলসোনারো। করোনা-ত্রাস কার্যত হেলায় ‘উড়িয়েছেন’ দুই আমেরিকায় দুই রাষ্ট্রনেতা। জনসভা হোক বা প্রশাসনিক বৈঠক, মাস্ক পরা ও পারস্পরিক দূরত্ববিধির উপযোগিতা তাঁরা মানেন না। অথচ বিশ্বের সংক্রমণ তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তাঁদের দেশ। ৩১ লক্ষের উপরে সংক্রমিত আমেরিকায়। ব্রাজিলে আক্রান্ত ১৭ লক্ষ।

Advertisement

এ হেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এক প্রকার ‘বিস্ফোরণ’ ঘটেছিল বোলসোনারোর সাংবাদিক বৈঠকে। মাস্ক খুলে ফেলে কাঁধ ঝাঁকিয়ে জানান, তিনি করোনা-পজ়িটিভ। সামনে তখন ক্যামেরা-বুম হাতে দাঁড়িয়ে একাধিক দেশি-বিদেশি সংস্থার সাংবাদিকেরা। ঘটনায় স্তম্ভিত ব্রাজিলের প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ‘এবিআই’ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ঘোষণা করেছে। তাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তাবিধি না-মেনে বহু সাংবাদিককে বিপদের মুখে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট। প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পাওলো জেরোনিমো ডি সুজা বলেন, ‘‘এ ভাবে অপরিসীম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেখে যেতে পারে না দেশ। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা অপরাধ।’’ ব্রাজিল কংগ্রেসের এক সদস্য একই অভিযোগে বোলসোনারোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। শুধু তো সাংবাদিকরাই নন, প্রেসিডেন্টের দফতরের সকলে এখন করোনা–পরীক্ষায় ব্যস্ত।

একই রকম বেপরোয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর পরে এখন তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন। অথচ দেশে ১ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী। করোনা রুখতে টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু সেই দলের প্রধান অ্যান্টনি ফাউচি যা বলেন, তাঁর উল্টোটাই করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘হোয়াইট হাউস টাস্ক ফোর্স’, কিন্তু এর কোনও বৈঠকই হোয়াইট হাউসে হয় না। ট্রাম্প উপস্থিতও থাকেন না সেখানে। গত কালের বৈঠকটিও হয়েছে শিক্ষা ভবনে। ফাউচিকে আসতে দেওয়া হয়নি। ভিডিয়ো কলে যোগ দেন। একাংশের মতে, বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে যাতে আসতে না-পারেন ফাউচি, তাই ওই ব্যবস্থা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন