USA

নির্জন দ্বীপে তিন দিন আটকে থাকা তিন নাবিকের প্রাণ বাঁচিয়ে দিল তিনটি অক্ষর

পিকেলট দ্বীপের কাছে গিয়ে তাঁদের নৌকার জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। তাঁরা আটকে পড়েন ওই দ্বীপে। কারও সঙ্গে যোগযোগ করারও কোনও উপায় ছিল না তাঁদের কাছে। এই অবস্থায় কেটে যায় তিন দিন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ক্যানবেরা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২০ ২০:৫৩
Share:

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া ছবি।

বিচ্ছিন্ন, জনমানবহীন একটি দ্বীপ, আর তাতেই আটকে পড়েছিলেন তিন নাবিক। সেখান থেকে তাঁদের ঘরে ফেরা কোনও ভাবেই সম্ভব ছিল না। কিন্তু বালিতে বিশাল বিশাল তিনটি অক্ষর শেষ পর্যন্ত তাঁদের প্রাণ বাঁচিয়ে দিল। না হলে তাঁদের ওই নির্জন দ্বীপেই আটকে থাকতে হত।

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক দ্বীপ নিয়ে গঠিত মাইক্রোনেশিয়া দেশ। সেই দেশেরই তিন নাবিক বেরিয়েছিলেন নৌকা নিয়ে। কিন্তু নির্জন পিকেলট দ্বীপের কাছে গিয়ে তাঁদের নৌকার জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। তাঁরা আটকে পড়েন ওই দ্বীপে। কারও সঙ্গে যোগযোগ করারও কোনও উপায় ছিল না তাঁদের কাছে। এই অবস্থায় কেটে যায় তিন দিন।

তিন নাবিক যখন বুঝতে পারেন, বাইরে থেকে কোনও সাহায্য না পেলে তাঁদের উদ্ধার হওয়া অসম্ভব। তাঁরা দ্বীপের চরে বালিতে গর্ত করে ইংরেজিতে বিশাল বিশাল তিনটি অক্ষর দিয়ে ‘এস ও এস’ (সেভ আওয়ার সোলস) বার্তা ফুটিয়ে তোলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ছেলেকে জেল থেকে বার করতে ৩৫ ফুটের সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ফেললেন মহিলা

তিন দিন আগে তাঁরা যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন, সেখান থেকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার দূরে আটকে থাকায় তাঁদের কোনও খোঁজ না পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপরই গুয়ামের প্যাসিফিক রেসকিউ অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন সেন্টার সতর্কতা জারি করে। শুরু হয় অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার সামরিক বিমানের মাধ্যমে তল্লাশি। তারাই বালির মধ্যে এসওএস বার্তা দেখতে পায়। খবর যায় অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে। ক্যানবেরা থেকে হেলিকপ্টার গিয়ে ওই তিন নাবিককে উদ্ধার করে আনে।

আরও পড়ুন: জলে ডুবে রুবিক'স কিউব সলভ করার নতুন বিশ্বরেকর্ড চেন্নাইয়ের যুবকের

দেখুন উদ্ধার হওয়ার সেই ভিডিয়ো:

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন