UN

‘তিন কোটি মানুষ অভুক্ত, সাহায্য চাই বেজোসদের’

‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’ (ডব্লিউএফও)-র পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশ্বের ২৭ কোটি মানুষ খাদ্যসঙ্কটের মুখে পড়তে চলছেন।

Advertisement

 সংবাদ সংস্থা

জেনিভা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৪৮
Share:

জেফ বেজোস।—ফাইল চিত্র।

ভ্যাকসিন কবে আসবে, তার ঠিক নেই। আবিষ্কার হলেও ধনী-দরিদ্রের মধ্যে সেই টিকার সমবণ্টন নিয়ে চিন্তায় রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু একই সঙ্গে দুশ্চিন্তা ঘনাচ্ছে করোনা-পরিস্থিতিতে ‘কোয়রান্টিন’-এ চলে যাওয়া ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে। রাষ্ট্রপুঞ্জের আশঙ্কা, অবিলম্বে সাহায্যের হাত না-বাড়ালে অন্তত ৩ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে স্রেফ না খেতে পেয়ে।

Advertisement

‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’ (ডব্লিউএফও)-র পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশ্বের ২৭ কোটি মানুষ খাদ্যসঙ্কটের মুখে পড়তে চলছেন। এ ভাবে চললে এই বছরের শেষেই ১৩ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ খাদ্যাভাবের কবলে পড়বেন। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য বিভাগের প্রধান ডেভিড বিসলি আজ ধনকুবেরদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের অভাবে মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়ে থাকা ওই ৩ কোটি মানুষকে বাঁচাতে বছরে অন্তত ৪৯০ কোটি ডলার সাহায্য প্রয়োজন।’’ তিনি জানান, বিশ্বে অন্তত দু’হাজার বিলিয়নেয়ার (অন্তত একশো কোটি ডলারের মালিক) রয়েছেন। তাঁদের মোট ধনসম্পদ, বার্ষিক আয় যোগ করলে ৮ লক্ষ কোটি ডলারেরও বেশি। বিসলির বক্তব্য, ‘‘এই অতিমারি পরিস্থিতিতেও অনেকে কোটি কোটি ডলার কামিয়েছেন। কেউ বিপুল অর্থ উপার্জন করতেই পারেন। তাতে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু মানব সভ্যতা এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে। এমন পরিস্থিতি আমরা অনেকেই জীবদ্দশায় দেখিনি।’’

রাষ্ট্রপুঞ্জের এই কর্তার দাবি খুব ভুল নয়। গত জুন মাসে ‘ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজ়’-এর রিপোর্টে লেখা হয়েছে, অতিমারি পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পরে মার্কিন কোটিপতিদের মোট ধনসম্পদ অন্তত ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে (৫০ হাজার কোটি ডলার)। আমাজ়ন-মালিক জেফ বেজোসের কথাই ধরা যাক। রিপোর্ট বলছে, ১৮ মার্চ আমেরিকায় লকডাউন শুরু হওয়ার ১১ সপ্তাহের মধ্যে বেজোসের ৩৬২০ কোটি ডলার ধনসম্পদ বৃদ্ধি পায়। ফেসবুক-স্রষ্টা মার্ক জ়াকারবার্গেরও সম্পত্তি বেড়েছে ৩০১০ কোটি ডলার। টেসলার সিইও এলন মাস্কের ১৪১০ কোটি ডলারের সম্পদ-বৃদ্ধি হয়েছে। বিসলি বলেন, ‘‘যাঁদের কাছে অগাধ আছে, এটাই সময়, তাঁদের এগিয়ে আসার। এই মুহূর্তে আপনাদের প্রয়োজন। সঠিক কাজ করে দেখানোর এটাই সময়।’’

Advertisement

ও দিকে, রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো আজ জানিয়েছেন, তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ৩০০ জনকে ‘স্পুটনিক-ভি’ টিকা দেওয়া হয়েছে। গড়ে সাত জনের মধ্যে এক জনেরই দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তবে তা বড়সড় কিছু নয়। ২৪ ঘণ্টা পেশিতে যন্ত্রণা থাকা কিংবা মাঝেমধ্যে জ্বর আসা। এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রুশ মন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন