ঝড়-বৃষ্টিতে ত্বকের অ্যালার্জি ঠেকান কিছু নিয়ম মেনে। ছবি: শাটারস্টক।
প্রাকৃতির বিপর্যয় কেবল জনজীবনকে বিপর্যয়ের মুখে এমনই নয়। শরীরেও তার প্রভাব রেখে যায়। সাইক্লোন ফণীর মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল রাজ্য। যদিও তার ভয়াল কোনও প্রভাব এ রাজ্যে পড়েনি, তবু আচমকা ঝড়-বৃষ্টিতে কিছু শারীরিক সমস্যা হানা দেয় বইকি।
ত্বকে সংক্রমণ এর মধ্যে অন্যতম। শুধু তা-ই নয়, ঝড়ের ধুলো বা বৃষ্টি থেকেও ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, বা অ্যালার্জি হয়। ত্বক বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ঘোষের মতে, ‘‘কোনও সাইক্লোনের সময়ে ও সাইক্লোনের পরে বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ধুলো ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিকের কণা ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন জিনিসপত্র বা পুরনো বাড়ি ইত্যাদি ভেঙে তার গুঁড়ো বাতাসের ধুলোর সঙ্গে মিশে মানুষের ত্বকের সংর্স্পশে এলে অ্যালার্জি হয়। সংক্রমণ ঘটে। হাওয়ার সঙ্গে ভেসে আসা রাসায়নিকের জেরে যে অ্যালার্জি হয় তাকে এয়ার বর্ন অ্যালাজি বলা হয়। বৃষ্টির জমা জল ত্বকের সমস্যার অন্যতম কারণ। নোংরা জমা জল পায়ে লাগলে ইনফেকশন র্পযন্ত হতে পারে। সেনসিটিভ ত্বক যাদের তাদের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।’’
এ ছাড়া ঝড়ে গাছপালাও ভেঙে পড়ে। বিভিন্ন গাছের পাতা, ফুল ও ডালের অংশ ত্বকের সংর্স্পশে এলে তার থেকেও অনেকের ত্বকে নানা সমস্যা হতে পারে। ডায়াবিটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে আরও কিছু নিয়ম। কিন্তু ত্বকের সমস্যা এড়াতে আপনাকে নিজেকেই সচেতন হতে হবে। জানেন কি, চিকিৎসক কী পরার্মশ দিচ্ছেন?
আরও পড়ুন: চোখে বড় সমস্যা হতে পারে সূর্যের আলোয়, কী ভাবে এড়াবেন
শরীর ও ত্বক সুস্থ রাখতে এই গরমে লিচু খান
ধুলো এড়াতে মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঝড়ের মধ্যে রাস্তায় না বেরনোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। কারণ এই সময়ে ধুলোর নাকে-মুখে লেগে বিভিন্ন অ্যালার্জি হতে পারে। আর ঝড়ের পরেও যতটা সম্ভব ঢাকা পোশাক পরতে হবে। নাকে প্রয়োজনে মাস্ক পরে বেরতে হবে। আশেপাশে গাছপালা বা বাড়ি ভেঙে পড়লে তার সংর্স্পশে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। এর থেকেও ত্বকে সমস্যা হতে পারে। ত্বকের সংক্রমণ দেখা দিলে ঝড় মিটলেও জানলা-দরজা বন্ধ করে রাখুন যাতে ধুলো না ঢুকতে পারে। অনেক সময় বাতাসে ঝড়ের জীবাণু থেকেই যায়। পায়ে নোংরা জল বা কাদা লাগলে গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন। নখের ভিতরে নোংরা জমছে কি না দেখে ভাল করে পরিষ্কার করুন।
কখনও নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ খাবেন না, চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কখনও কোনও মলমও ব্যবহার করবেন না। অনেক মলম ও ওষুধে স্টেরয়েড থাকে। সে সব এড়িয়ে চলুন।