Coronavirus Vaccine

জুনের মধ্যে দেশে তৈরি হবে কোভিড ভ্যাকসিন, দাবি বায়োকন অধিকর্তার

তৈরি হওয়ার পর বিপুল সংখ্যক ভারতবাসীর মধ্যে টিকা বিতরণ কতটা কঠিন সে বিষয়টিও উত্থাপন করেছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২০ ১৪:২০
Share:

সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই টিকার বিতরণ একটা গুরুত্ব প্রক্রিয়া বলে মনে করেন কিরণ।

কোভিড অতিমারি থেকে মুক্তি পেতে বিশ্ব জুড়েই করোনাভাইরাস টিকা তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। ভারতের বাজারে সেই টিকা আসার ব্যাপারে এ বার আশার কথা শোনালেন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োকন লিমিটেডের ডিরেক্টর কিরণ মজুমদার শ। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ২০২১-এর জুন মাসের মধ্যে ভারতে তৈরি হয়ে যাবে করোনা টিকা। তবে তৈরি হওয়ার পর বিপুল সংখ্যক ভারতবাসীর মধ্যে টিকা বিতরণ কতটা কঠিন সে বিষয়টিও উত্থাপন করেছেন।

Advertisement

ভারতের বাজারে পর্যাপ্ত টিকা আসার ব্যাপারে কিরণ বলেছেন, ‘‘আমার আশা দেশের প্রথম এমআরএনএ টিকা এই বছরের শেষে অনুমোদন পেয়ে যাবে। যদিও তখনই তা বাজারে পাওয়া যাবে না। হিমাঙ্কের ৮০ ডিগ্রির নীচে কোল্ড চেনের মধ্যে রাখতে হবে ভ্যাকসিন। যেটা এখানে সম্ভব নয়।’’ তবে সামনের বছর জানুয়ারির মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা টিকা অনুমোদন পেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আশা, ‘‘সেই টিকার ট্রায়াল ২-৩ মাসের মধ্যে শেষ করে ফেলত পারলে আগামী অর্থবর্ষের প্রথম কোয়ার্টারের মধ্যেই ভারত ও বিশ্বের বাজারে চলে আসবে করোনাভাইরাস টিকা।’’

তবে বাজারে টিকা এলেই তো সমস্যার সমাধান হবে না। সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই টিকার বিতরণ একটা গুরুত্ব প্রক্রিয়া বলে মনে করেন কিরণ। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘‘প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে এত বড়মাপের টিকাকরণ এর আগে হয়নি।’’ তাঁর মতে, পোলিয়োর মতো টিকা আশা কর্মীরা দিতে পারলেও করোনা টিকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন, “কোভিড টিকা ইন্ট্রা-মাসকুলার ইনজেকশন। সে জন্যই এই টিকা দেওয়ার জন্য চিকিৎসক, নার্স বা ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রয়োজন। এর পাশাপাশি সেই টিকা সংরক্ষণের জন্য কোল্ড চেন পরিকাঠামো দরকার।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ব্রাজিলে স্বেচ্ছাসেবকের মৃত্যু, তবে বন্ধ হচ্ছে না অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ট্রায়াল

এ ছাড়াও টিকা দেওয়া নিয়ে আরও কয়েকটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘এই টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় এক ব্যক্তিকে ১ মাসের ব্যবধানে ২ বার টিকা দিতে হবে। যা নিয়ে জটিলতা তৈরির অবকাশ রয়েছে।’’ ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমেই এই কাজ সুষ্ঠ ভাবে করা যাবে বলে মত তাঁর। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার মতে বড় মাত্রার এই কাজ মসৃণ ভাবে করার জন্য আধারকে ব্যবহার করা যেতে পারে।’’

আরও পড়ুন: ৩০ কোটিকে বিনা খরচে টিকার ভাবনা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন