Supreme Court of India

পিএম কেয়ার্সে আপত্তি কেন, কোর্টে পাল্টা কেন্দ্র

তহবিলের বিষয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২০ ০৪:০৮
Share:

ফাইল চিত্র।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল বা এনডিআরএফ-এর অস্তিত্ব রয়েছে বলেই পিএম কেয়ার্স ফান্ড গড়া যাবে না— এমন যুক্তি অর্থহীন বলেই সুপ্রিম কোর্টে দাবি করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে, পিএম কেয়ার্সের অর্থ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে পাঠানো সম্ভব নয়।

Advertisement

করোনা মোকাবিলার বিষয়টিকে সামনে রেখে গঠন করা হয়েছে প্রাইম মিনিস্টার্স সিটিজেন অ্যাসিস্টেন্স অ্যান্ড রিলিফ ইন ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনস (পিএম কেয়ার্স) ফান্ড। এই তহবিলের বিষয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছে। শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়ে তারা বলেছে, পিএম কেয়ার্সের টাকা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে স্থানান্তরিত করা হোক। এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন মেনে অতিমারির বিরুদ্ধে লড়তে জাতীয় স্তরে একটি পরিকল্পনা করার জন্যও কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। আবেদনকারী সংস্থার অভিযোগ, পিএম কেয়ার্স তহবিলে কত টাকা মিলেছে, সেই তথ্যও দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার।

আজ এই মামলায় হলফনামা দিয়ে মোদী সরকার বলেছে, ত্রাণের কাজের জন্য অতীতে ও বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের তহবিল গঠন করা হয়েছে। পিএম কেয়ার্স জনগনের আর্থিক সাহায্য নিয়ে গড়ে তোলা এই ধরনেরই একটি তহবিল।

Advertisement

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা আইন মেনে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল রয়েছে ঠিকই, কিন্তু এর অস্তিত্ব পিএম কেয়ার্সের মতো স্বেচ্ছাদানের অন্য কোনও ত্রাণ তহবিল গঠনে বাধা হতে পারে না। পাশাপাশি, কেন্দ্র জানিয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল যে হেতু অন্য আইনের আওতায় গঠন করা হয়েছে, তাই পিএম কেয়ার্সের টাকা সেখানে পাঠানো সম্ভব নয়।

পিএম কেয়ার্স নিয়ে আগে থেকেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই তহবিল ব্যবহার করে নিম্নমানের ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে— এই ধরনের একটি সংবাদের উপর ভিত্তি করে মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন রাহুল গাঁধী। সিপিএমের দাবি, পিএম কেয়ার্স ফান্ডে দানের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন