China

মোদী-ডোভালের তথ্য বেহাত, সন্দেহ চিনা সংস্থাকে ঘিরে

সাইবার হানার পরে এনআইসি-র এক কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

অজানা আইডি থেকে ই-মেল পাঠিয়ে দেশের যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও নিরাপত্তার বিষয় দেখাশোনা করে যে সংস্থা, সেই ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিকস সেন্টার (এনআইসি)-এর কম্পিউটার থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সম্পর্কে নানা তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, চলতি মাসের গোড়ায় ঘটেছে এই সাইবার হানা। এনআইসি-র কম্পিউটারগুলিতে বহু সরকারি আধিকারিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল।

Advertisement

সাইবার হানার পরে এনআইসি-র এক কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। কেন্দ্রীয় সরকারের যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে এনআইসি। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে মেলটি পাঠানো হয়েছিল। সেই সংস্থাটিকে চিহ্নিত করেছে স্পেশাল সেল। এই ঘটনার পিছনে চিনা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা শেনহুয়া থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে সন্দেহ গোয়েন্দাদের।

সূত্রের খবর, এনআইসি-র কর্মীরা অজানা আইডি থেকে আসা ওই মেলটিতে ক্লিক করতেই সরকারি কম্পিউটারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ফাটল দেখা দেয়। শুরু হয় সাইবার হানা। কম্পিউটারে মজুত গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য লোপাট হয়ে যেতে থাকে। গোলমাল দেখা দেয় অন্য কম্পিউটারগুলিতেও। সূত্রের খবর, তদন্তে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর ওই সংস্থার প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে মেলটি পাঠানো হয়েছে আমেরিকা থেকে। এর পিছনে চিনা হ্যাকারদের হাত রয়েছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘ধার করে চলছে কেন্দ্রের সরকার’, বললেন নির্মলা

আরও পড়ুন: চাষিদের থেকে সরকার আর ধান-গম কিনবে না, এটা মনগড়া কাহিনি: মোদী

চিনা সংস্থা শেনহুয়া ডেটা ইনফরমেশন টেকনোলোজি কোম্পানি লিমিটেড-এর বিরুদ্ধে তথ্য চুরি করার অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। ইতিমধ্যেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান, কংগ্রেস সভানেত্রী-সহ অন্তত দশ হাজার প্রভাবশালী ভারতীয়ের সম্পর্কে গোপনে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। এই সাইবার নজরদারি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ন্যাশনাল সাইবার সিকিয়োরিটি কোঅর্ডিনেটরের নেতৃত্বাধীন কমিটি। ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে কমিটি রিপোর্ট দেবে বলে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব। বিষয়টি ভারতে চিনা রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। তাদের দেশের সংস্থার নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বেজিং আগেভাগে জানিয়ে দিয়েছে, বেসরকারি ওই সংস্থাটির সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন