Coronavirus

ঠিকা শ্রমিকদের ভাতা: কেন্দ্রকে আর্জি সনিয়ার

সনিয়ার পরামর্শ, ১৯৯৬ সালে নির্মাণশ্রমিকদের কল্যাণে তৈরি আইনে রাজ্যগুলিতে ওয়েলফেয়ার বোর্ড এবং তহবিল গঠন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২০ ০৪:০১
Share:

ছবি পিটিআই।

করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্যের শ্রমিকরা আতান্তরে পড়েছেন। দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানার আনন্দবিহার বাস ডিপোতে যেমন আটকে রয়েছেন একদল ঠিকা শ্রমিক। বিহারে নিজেদের গ্রামে ফিরতে চাইছেন তাঁরা। কাজ বন্ধ, লক ডাউনের কারণে বাড়ি ফেরার যানবাহনও পাচ্ছেন না। আলিগড়, বদায়ুঁ, বুলন্দশহরের মতো জায়গা থেকেও শ্রমিকেরা এখন পায়ে হেঁটে আনন্দবিহারে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। দিল্লির সীমানা পেরিয়ে গেলে যদি গাড়ি পাওয়া যায়!

Advertisement

দিল্লি-সহ বহু জায়গায় ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের এলাকা ছাড়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। মহারাষ্ট্র থেকেও বহু শ্রমিককে এ ভাবেই ফেরত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তখন পরিবহণ চালু ছিল। এখন সেটাও নেই বহু জায়গাতেই। ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে। দেশ জুড়েই ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের এই দুর্দশার সময়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এ দিন আসরে নামলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। এক দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে এই শ্রমিকদের আর্থিক অনিশ্চয়তার প্রতিকারে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে পঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্তীসগড়ের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীদেরও চিঠি দিয়ে সহায়তার হাত বাড়াতে বলেছেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও আজ জানান, ‘‘একটি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি আমরা।’’

সনিয়ার পরামর্শ, ১৯৯৬ সালে নির্মাণশ্রমিকদের কল্যাণে তৈরি আইনে রাজ্যগুলিতে ওয়েলফেয়ার বোর্ড এবং তহবিল গঠন করা হয়। গত বছরের মার্চ পর্যন্ত ওই তহবিলে ৪৯,৬৮৮.০৭ কোটি টাকা সেস জমা পড়েছে। খরচ হয়েছে ১৯,৩৭৯.৯২২ কোটি টাকা। সেখান থেকে ভাতা দিয়ে যেন শ্রমিকদের সাহায্য করা হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন