GST

ঋণ নিতে চাপ মোদী সরকারের

অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রথম প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। তারা জিএসটি থেকে আয়ের ঘাটতি বাজার থেকে ধার করতে তৈরি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

ধার করতে না চাইলে জিএসটি ক্ষতিপূরণ পেতে ২০২২-এর জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী রাজ্যগুলিকে ধার নিতে রাজি করাতে মোদী সরকারের অর্থ মন্ত্রক এ ভাবেই চাপ তৈরি করতে চাইছে।

Advertisement

জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাতে পারবেন না বলে জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রাজ্যগুলিকে দু’টি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এক, লকডাউনের ফলে জিএসটি খাতে রাজ্যগুলির যে পরিমাণ আয় কমেছে, সেই ৯৭ হাজার কোটি টাকা রাজ্যগুলি বাজার থেকে ধার করে নিক। দুই, রাজ্যগুলির রাজস্ব থেকে মোট যে পরিমাণ আয় কমেছে, সেই ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিক। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রথম প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। তারা জিএসটি থেকে আয়ের ঘাটতি বাজার থেকে ধার করতে তৈরি।

এখনও পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়নি। এই রাজ্যগুলি অবশ্য কেন্দ্রের দুই প্রস্তাবই খারিজ করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রীরা কেন্দ্রকে চিঠি লিখে তা জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, কেন্দ্র ধার করে ক্ষতিপূরণ মেটাক। অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের বক্তব্য, ‘‘যে সব রাজ্য কোনও বিকল্পেই রাজি হবে না, তাদের ২০২২-এর জুন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’’ ২০১৭-র ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু হয়। প্রথম পাঁচ বছর রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে জিএসটি অতিরিক্ত সেস আদায়ের কথা। এখন জিএসটি থেকে আয়ের অভাব মেটাতে রাজ্যগুলি ধার করলে তা শোধ করার জন্য আরও বেশি সময় ধরে সেস আদায় হবে কি না, তা তখনই ঠিক হবে। যে সব রাজ্য ধার করবে না, তাদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টিও তখনই ঠিক হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: জোড়া কৃষি বিল নিয়ে তুলকালাম বিরোধীদের, রণক্ষেত্র রাজ্যসভা

আরও পড়ুন: করোনায় সুস্থতার নিরিখে বিশ্বে প্রথম ভারত

আগামী ৫ অক্টোবর জিএসটি পরিষদের বৈঠক। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ-সহ রাজ্যগুলি আপত্তি জানালেও সিদ্ধান্ত আটকে থাকবে-না বলেই কেন্দ্রের যুক্তি। কারণ জিএসটি পরিষদে ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোট হলেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কোনও সিদ্ধান্ত পাশ করানো যায়। কিন্তু বিরোধী রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত একটি ক্ষেত্র বাদ দিলে জিএসটি পরিষদের যাবতীয় সিদ্ধান্ত ঐকমত্যের ভিত্তিতে হয়ে এসেছে। এখন কেন্দ্র সংখ্যার জোরে সিদ্ধান্ত পাস করাতে চাইলে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কে ফাটল আরও বাড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন