Ladakh

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে, পূর্ব লাদাখ নিয়ে মন্তব্য চিনা সেনার

বেজিংয়ের দাবি, বৈঠকের পরে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন) সংক্রান্ত পদক্ষেপও শুরু হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ২০:১২
Share:

লাদাখে ভারতীয় সেনার কনভয়— ফাইল চিত্র।

পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-য় শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে বলে জানাল চিনা সেনা। চিনের প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র তথা পিপলস লিবারেশন আর্মির সিনিয়র কর্নেল রেন গুয়োকিয়াং বৃহস্পতিবার সে দেশের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘৬ নভেম্বরের কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকের পরে ভারত সীমান্তের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্থিতিশীল।’’

রেন জানিয়েছেন, ‘‘অষ্টম দফার বৈঠকের পরে লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চিনা সেনা ‘নিবিড় ভাবে সমন্বয় রক্ষা করে চলেছে’। ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন) সংক্রান্ত পদক্ষেপও শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৬ নভেম্বরের বৈঠকের পরে বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্রেও একই দাবি করা হয়েছিল।

এলএসি-র চুসুল লাগোয়া মলডোয় অষ্টম পর্যায়ের বৈঠকে প্রথম বার ভারতের হয়ে বৈঠকে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ১৪ নম্বর কোরের নতুন কমান্ডার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি জি কে মেনন। চিনের সঙ্গে এর আগের সাত বার হওয়া এই বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেননের পূর্বসূরি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিংহ।

Advertisement

গত ১৪ অক্টোবর সপ্তম দফার বৈঠকে হরেন্দ্রর সহকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেনন। এর কয়েকদিন পরেই হরেন্দ্রকে বদলি করা হয়। ওই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে অসামরিক আধিকারিক হিসেবে বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব নবীন শ্রীবাস্তব যোগ দিয়েছিলেন। সেনাবাহিনী ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস’-এর প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার আর ঘাই। পিএলএ-র প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল লিউ লিন।

আরও পড়ুন: শ্রীনগরের কাছেই জঙ্গি হামলা, গুলির লড়াইয়ে নিহত দুই সেনা জওয়ান

Advertisement

সেনার একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই বৈঠকে প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীরে ফিঙ্গার-৮ পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনী ফের টহলদারি করবে বলে জানিয়েছিলেন মেনন। এপ্রিল মাসের গোড়া পর্যন্ত এলএসি লাগোয়া ফিঙ্গার-৮ পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনী নিয়মিত টহল দিত। কিন্তু এর পর চিনা বাহিনী এলএসি পেয়িয়ে ফিঙ্গার-৪ পর্যন্ত ঢুকে আসে। সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পরে জুলাই মাসে কিছুটা পিছিয়ে হ্রদের তীরে ফিঙ্গার-৫-এ ঘাঁটি গাড়ে তারা। এলএসি থেকে ওই এলাকার দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার।

অষ্টম দফার বৈঠকে ফিঙ্গার-৮ পর্যন্ত সেনা পিছতে রাজি হলেও ওই এলাকায় ভারতীয় সেনার টহলদারি চিন মানতে চায়নি বলে সেনা সূত্রের খবর। শীতের লাদাখের প্রতিকূল পরিবেশে প্রায় ৫০ হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছে চিনা প্রতিরক্ষা দফতর।

আরও পড়ুন: প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফ্লিনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন