জেটলির অভাব বোঝা যাচ্ছে, খেদ বেঙ্কাইয়ার

দল ও সরকারের অবস্থান বোঝাতে অরুণ জেটলির মতো বাগ্মী নেতার অভাব টের পাচ্ছেন বিজেপি নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১৬
Share:

ছবি: পিটিআই।

নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে গোটা দেশ তোলপাড়। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিপরীত কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সময় দল ও সরকারের অবস্থান বোঝাতে অরুণ জেটলির মতো বাগ্মী নেতার অভাব টের পাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। আজ সে কথাই উঠে এল উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুর মুখে।

Advertisement

শনিবার প্রয়াত জেটলির জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে নায়ডুর আক্ষেপ, ‘‘আজ দেশের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ, বৃহত্তর বিষয় রয়েছে, তা নিয়ে আলোকদীপ্ত বিতর্কের প্রয়োজন। সেখানেই আমরা অরুণ জেটলির অভাব অনুভব করছি।’’ সরাসরি সিএএ-এনআরসি-র কথা না বলেও হিংসার বদলে আলোচনা-বিতর্কের কথা বলেছেন নায়ডু। তাঁর মতে, ‘‘প্রতিটি বিষয়ই উঠবে। তার চুলচেরা আলোচনা করতে হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, শান্তিপূর্ণ আবহে, স্পষ্ট ভাবে নিজের অবস্থান বোঝাতে হবে। এখন মাঝে মাঝে তার অভাব হয়। সেই সময়ই আমরা জনজীবনে জেটলির অভাব অনুভব করি।’’ এ প্রসঙ্গে বিরোধীদের সঙ্গে জেটলির ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। বিজেপি নেতাদের আক্ষেপ, এখন সরকারের শীর্ষ স্তরের কোনও নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গেই বিরোধীদের তেমন সখ্য বা বন্ধুত্ব নেই। শরিকদের ক্ষেত্রেও সেই সমস্যা হচ্ছে। এনআরসি নিয়ে শরিকরাও ইদানীং‌ প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

আরও পড়ুন: সততার মূল্য দিতেই হয়, লিখলেন লাভাসা

Advertisement

গোটা দেশে এনআরসি হবে বলে এত দিন অমিত নিজে হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছেন। কিন্তু বিক্ষোভ শুরু হতেই প্রধানমন্ত্রী বলছেন, এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। এনপিআর-এর জন্য অর্থ বরাদ্দের পর অমিত বলেছেন, এর সঙ্গে এনআরসি-র যোগাযোগ নেই। অথচ অতীতে তাঁর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকই সংসদে বলেছে, এনপিআর হল এনআরসি-র প্রথম ধাপ। বিজেপির প্রবীণ নেতাদের মতে, মোদী সরকারের প্রথম পাঁচ বছরে সরকারের অবস্থান সুচারু ভাবে তুলে ধরার কাজটিই জেটলি করতেন। আজ উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘আপনার যুক্তি, দর্শনে জোর থাকলে তা স্পষ্ট ভাবে বলতে হবে। অন্য পক্ষও বলবে। তার পরে তা বিচারের জন্য মানুষের উপরে ছেড়ে দিতে হবে।’’

আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, অর্থ মন্ত্রক অরুণ জেটলি স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম বছর এই অনুষ্ঠান হবে ২০২০-র ২০ মার্চ। পরের দিন অর্থনীতিবিদদের কনক্লেভ বসবে। এটি প্রধানমন্ত্রীরই ভাবনা বলে জানিয়েছেন নির্মলা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন