ব্যাট-বলের দুনিয়ায় তিনি পরিচিত ‘মিস্টার ক্রিকেট’ নামে। অস্ট্রেলিয়ার সেই মাইকেল হাসি এখন আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং কোচ। সেই তিনিই বেছে নিলেন আইপিএলের সেরা একাদশ। নাম দিলেন ‘ফিয়ারসম ইলেভেন’। দলে আইপিএলে সফলতম অধিনায়ক রোহিত শর্মার উপস্থিতি সত্ত্বেও হাসি নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। দেখে নেওয়া যাক হাসির সর্বকালের সেরা আইপিএলের দল।
রোহিত শর্মা: আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হিসেবে চার বার ট্রফি জিতেছেন হিটম্যান। আইপিএলে ১৮৩ ইনিংসে ৩১.৬০ গড়ে ৪৮৯৮ রান রয়েছে রোহিতের। শতরান একটি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৯। স্ট্রাইক রেট ১৩০.৮২।
ডেভিড ওয়ার্নার: আইপিএলের সফলতম ওপেনার তিনি। ওপেনার হিসেবেই করেছেন ৪৭০৬ রান। ১২৬ ম্যাচে যা এসেছে ৪৩.১৭ গড়ে। স্ট্রাইক রেট ১৪২.৩৯। চার বার একশোর গণ্ডি পেরিয়েছেন তিনি। সর্বাধিক ১২৬। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক হিসেবে ২০১৬ সালে ট্রফি জেতেন তিনি।
বিরাট কোহালি: তিনে চেজমাস্টার। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তিনি। ১৭৭ ম্যাচে ১৬৯ ইনিংসে ৫৪১২ রান করেছেন তিনি। যা এসেছে ৩৭.৮৪ গড়ে। স্ট্রাইক রেট ১৩১.৬১। সেঞ্চুরির সংখ্যা পাঁচ। সর্বোচ্চ ১১৩। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক তিনি।
এবি ডি’ ভিলিয়ার্স: শুরু থেকেই বোলারদের চাপে ফেলা তাঁর বৈশিষ্ট। উইকেটের চার দিকেই শট নিতে পারেন। তিনি ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান। আইপিএলে ১৪২ ইনিংসে ৩৯.৯৫ গড়ে ৪৩৯৫ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৫১.২৩। সেঞ্চুরির সংখ্যা তিন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩৩।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: বিশ্বের সেরা ফিনিশার। চেন্নাইয়ের হয়ে তিন বার ট্রফি জেতা এমএসডি-ই দলের অধিনায়ক। উইকেটকিপার, ফিনিশার ও ক্যাপ্টেন, থ্রি-ডি ক্রিকেটার তিনি। ১৭০ ইনিংসে ৪২.২০ গড়ে ৪৪৩২ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১৩৭.৮৫। কোনও সেঞ্চুরি না পেলেও হাফ-সেঞ্চুরির সংখ্যা ২৩। সর্বাধিক অপরাজিত ৮৪।
হার্দিক পাণ্ড্য: এর পর অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন বডোদরার এই ক্রিকেটার। জোরে শট মারতে পারেন। ছয় মারার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। ফলে দ্রুত রানের জন্য ব্যাট চালাতে পারবেন। পাশাপাশি, পেস বোলিংয়েও ভরসা দিতে পারেন।
আন্দ্রে রাসেল: দলের তৃতীয় বিদেশি এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। বিস্ফোরক রাসেল একাই ম্যাচের ধারা বদলাতে পারেন পাওয়ার হিটিংয়ে। অবিশ্বাস্য শক্তি তাঁর। ৩৩.৩৩ গড়ে ১৪০০ রান এসেছে তাঁর ব্যাটে। স্ট্রাইক রেট চোখ কপালে তোলার মতোই, ১৮৬.৪১। সঙ্গে রয়েছে ৫৫ উইকেট।
রশিদ খান: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে লেগস্পিনের ভেলকিতে আইপিএলেই শুধু নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। হাতে গুগলি-ফ্লিপারের বৈচিত্রও রয়েছে। পাশাপাশি, ব্যাট হাতে ডেথ ওভারে বড় শট নিতে পারেন। তিনি দলের চতুর্থ বিদেশি। আইপিএলে নিয়েছেন ৫৫ উইকেট।
ভুবনেশ্বর কুমার: পেস বোলিংয়ের দায়িত্বে তিনি। সুইংয়ের পাশাপাশি গতির হেরফেরে তিনি বিপজ্জনক। হাতে রয়েছে নাকল বল। ডেথ ওভারে ভুবিকে মারা খুব কঠিন। আর ব্যাট হাতেও তিনি কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে নির্ভরতা দিতে পারেন। আইপিএলে ২৩.৭ গড়ে ১৩৩ উইকেট রয়েছে তাঁর
যুজভেন্দ্র চহাল: আইপিএলে রীতিমতো সফল তিনি। লেগস্পিনার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সিতে সাড়া ফেলেছেন এই প্রতিযোগিতায়। ২৩.১৮ গড়ে নিয়েছেন ১০০ উইকেট। স্ট্রাইক রেট ১৭.৮৭। তাঁকে আক্রমণাত্মক বোলার হিসেবে ব্যবহার করেন নেতা কোহালি।
জশপ্রীত বুমরা: তিনিই দলের এক নম্বর বোলার। শুরুতে ও শেষে, দুই ভাবে ব্যবহার করা যায় তাঁকে। বুমরার ইয়র্কার ব্যাটসম্যানদের কাছে হয়ে উঠেছে আতঙ্ক। ডেথ ওভারে তাঁকে মারা প্রায় অসম্ভব। আইপিএলে ৮২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
লোকেশ রাহুল: দলের দ্বাদশ ক্রিকেটার তিনি। এখন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অধিনায়ক রাহুল। আইপিএলে ৫৮ ইনিংসে ৪২.০৬ গড়ে ১৯৭৭ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৩৮.১৫। রয়েছে একটি সেঞ্চুরি। সর্বাধিক অপরাজিত ১০০। প্রয়োজনে উইকেটকিপিংও করেন তিনি