নক্ষত্রমণ্ডল: এ ভাবেই দেখা যাবে পটারের চশমা। ছবি: এএফপি।
সপ্তর্ষিমণ্ডল, কালপুরুষ— নক্ষত্রমণ্ডলের নাম আর তাদের পিছনে লুকিয়ে থাকা নানা গল্প ছিল এক সময়ে রাতের আকাশে তারা দেখার আকর্ষণ। কিন্তু এখনকার খুদেদের এ সব গল্প আর তেমন টানে না। রাতের আকাশ দেখেই না তারা। তাই নয়া নয়া নক্ষত্রমণ্ডল খুঁজে বের করেছেন বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক। নামও দিয়েছেন এই প্রজন্মের আগ্রহের কথা ভেবে।
এই সব নক্ষত্রমণ্ডলের কোনওটা যেন অ্যাথলিট উসেইন বোল্টের জেতার পরের বিখ্যাত ভঙ্গি, কোনওটা সেরেনা উইলিয়ামসের হাতে থাকা র্যাকেট। আছে হ্যারি পটারের চশমা আর মালালা ইউসুফজাইয়ের বইও। এ ভাবে মালালা, পটার-কাহিনির লেখিকা জে কে রোওলিং, সেরেনার মতো ব্যক্তিত্বকে সম্মানও জানাচ্ছেন জ্যোতির্বিদেরা।
বর্তমানে ৮৮টি নক্ষত্রমণ্ডলকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দেয় আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ সংগঠন। নয়া নক্ষত্রমণ্ডলগুলি এখনও স্বীকৃতি না পেলেও খুদেদের রাতের আকাশে এগুলি খুঁজতে উৎসাহ দেওয়া হয়। ব্রিটেনে বিজ্ঞান বিষয়ক উৎসব ‘বিং ব্যাং ফেয়ার’-এর সময়েই এই নক্ষত্রমণ্ডলগুলির কথা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই উৎসবের অন্যতম কর্তা বেথ এলগুডের মতে, ‘‘রাতের আকাশে তারা দেখা মহাবিশ্ব সম্পর্কে শিশুদের মনে আগ্রহ জাগিয়ে তোলার খুব ভালো রাস্তা।’’
জ্যোতির্বিদেরা জানিয়েছেন, উসেইন বোল্টের পরিচিত ভঙ্গির মতো নক্ষত্রমণ্ডলটি স্পষ্ট দেখা যায় নভেম্বরে। তাতে ওরিওনিস, টাউ টাউরি ও আলডেবারানের মতো আটটি নক্ষত্র রয়েছে। সেরেনা উইলিয়ামসের র্যাকেট সবচেয়ে স্পষ্ট দেখা যায় এপ্রিলে। তাতে রয়েছে ফেরকাড, কোচাব ও থুবানের মতো নক্ষত্র। কোচাবের একটি গ্রহ রয়েছে।
প্রাচীন ভারতীয়, ব্যবলনীয় ও গ্রিক সভ্যতায় গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে চর্চার নজির পাওয়া যায়। জ্যোর্তিবিদদের আশা, উসেইনের ভঙ্গি, হ্যারি পটারের চশমা, সেরেনার র্যাকেট দেখতে ফের আকাশের দিকে তাকাবে শিশুরা। চিনতে শুরু করবে মহাবিশ্বকে।