Eoin Morgan

২২ বলে ৫৭, মর্গ্যান-তাণ্ডবে জয় ইংল্যান্ডের

এ বছর কেকেআর তাদের শক্তি বাড়িয়েছে। ব্যাটিং বিভাগে রয়েছেন অইন মর্গ্যান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:২৪
Share:

নায়ক: ইংল্যান্ডকে সিরিজ উপহার মর্গ্যানের। রবিবার। এএফপি

আইপিএল-এর সূচি প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ ৩১ মার্চ, প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। বিরাট কোহালির দলের বিরুদ্ধে পরীক্ষা দীনেশ কার্তিকদের।

Advertisement

এ বছর কেকেআর তাদের শক্তি বাড়িয়েছে। ব্যাটিং বিভাগে রয়েছেন অইন মর্গ্যান। বোলিংয়ে প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলীয় পেসার প্রমাণ করে দিয়েছেন, কেন তাঁকে সর্বোচ্চ মূল্যে নিয়েছে নাইটরা। ইংল্যান্ড অধিনায়ক মর্গ্যানও রবিবার সেঞ্চুরিয়নে বিধ্বংসী ইনিংস খেলে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি তৈরি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে ২২ বলে অপরাজিত ৫৭ রান করেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক।

এই ইনিংস গড়তে একটিও চার মারেননি। সাতটি ছয় মেরে বিপক্ষের মনোবল নষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ২২২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে পাঁচ বল বাকি থাকতে ২২৬ রান তুলে দেয় ইংল্যান্ড। পাঁচ উইকেটে জেতে তারা। মর্গ্যানের পাশাপাশি বড় রান করেন জনি বেয়ারস্টো ও জস বাটলার। ৩৪ বলে ৬৪ রান করেন বেয়ারস্টো। ২৯ বলে ৫৭ রান বাটলারের। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে ইংল্যান্ড।

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩৩ বলে ৬৬ রান করে বিপক্ষকে বড় রানের লক্ষ্য দিতে সাহায্য করেন হেনরিখ ক্লাসেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ক্লাসেন, মিলারদের দাপটে ভেঙে পড়েননি মর্গ্যানরা। ম্যাচ শেষে সিরিজ সেরা ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলছিলেন, ‘‘ভয়ঙ্কর ক্রিকেট ম্যাচের উদাহরণ হয়ে থাকল। বোলারদের জন্য সব চেয়ে খারাপ লেগেছে। ওদের টেম্বা ও ডিককের বিধ্বংসী ওপেনিং জুটির বিরুদ্ধে আমাদের বোলারদের অসহায় দেখিয়েছে। তেমনই ওদের বোলিং আক্রমণও আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেনি। এটাই তো টি-টোয়েন্টি। এ ধরনের ম্যাচ দেখার জন্যই সমর্থকেরা ভিড় করেন।’’ আরও বলেন, ‘‘যে কোনও দলের বিরুদ্ধেই ২২০ রান তাড়া করা কঠিন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আগেও বড় রান তাড়া করার অভিজ্ঞতা ছিল। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুম্বইয়ে ২৩০ রান তাড়া করে জিতেছিলাম। সেই আত্মবিশ্বাসই কাজে লাগিয়েছি এই ম্যাচে।’’

বিপক্ষ অধিনায়ক কুইন্টন ডিকক হতাশ। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘শুরু থেকেই বুঝতে পেরেছি, হাই স্কোরিং ম্যাচ হবে। কিন্তু হারব ভাবিনি। প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত পারল না। সেটাই খারাপ লাগছে। যদিও এই হার দ্রুত ভুলে যেতে চাই।’’

বিষণ্ণ হেনরিখ ক্লাসেন বলেন, ‘‘উইকেট একেবারে ব্যাটিং সহায়ক। কংক্রিটের মতো অনুভূতি হচ্ছে। প্রথম বল থেকেই স্ট্রোক নেওয়া যাচ্ছে।’’ যোগ করেন, ‘‘প্রথম দু’টি টি-টোয়েন্টির ফল ছিল ১-১। মরণ-বাঁচন ম্যাচে দলের হয়ে রান করতে পেরে ভাল লাগছে। তবে আমরা সিরিজ জিততে পারলাম না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন