East Bengal

ইস্টবেঙ্গলে কোচিং করাতে আগ্রহী বিখ্যাত স্পেনীয় কোচ, পাঠালেন জীবনপঞ্জী

স্পেনের ফুটবলমহলে রিস্তো ভিদাকোভিচ বেশ পরিচিত নাম। কোচ হিসেবে সেরেস নেগ্রোসকে এনে দেন একের পর এক সাফল্য।

Advertisement

কৃশানু মজুমদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:৪৩
Share:

ইস্টবেঙ্গলে কোচিং করাতে চান ভিদাকোভিচ। -নিজস্ব চিত্র।

আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস, কিবু ভিকুনার দেশের কোচ জীবনপঞ্জী পাঠালেন ইস্টবেঙ্গলে। ফিলিপিন্সের ক্লাব সেরেস নেগ্রোসকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেওয়া কোচ লাল-হলুদে এসে সোনা ফলাতে চান।

Advertisement

কে তিনি? তিনি রিস্তো ভিদাকোভিচ। স্পেনের ফুটবলমহলে তিনি বেশ পরিচিত নাম। একাধিক ক্লাবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্পেনীয় কোচ দায়িত্ব পেয়ে সেরেস নেগ্রোসের ভোল বদলে দেন। এনে দেন একের পর এক সাফল্য। তাঁর কথায়, ‘‘একেবারে শূন্য থেকে সেরেসকে এশিয়ার সেরা ক্লাবের তালিকায় তিরিশে পৌঁছে দিয়েছিলাম।’’

হরিমোহন বাঙ্গুরের সংস্থা শ্রী সিমেন্টকে বিনিয়োগকারী হিসেবে পেয়ে গিয়েছে এই বছরই একশো পেরনো ক্লাব। আইএসএল-এর দরপত্রও তোলা হয়েছে। এ বার দেশের এক নম্বর লিগ খেলবে ইস্টবেঙ্গল, তা ধরে নিয়েই ঘর গোছানোর কাজ শুরু হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত ভিদাকোভিচ বলছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় ক্লাবকে কোচিং করানো রীতিমতো সম্মানের ব্যাপার হবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:ব্যাটিং পিচের ভাবনা, থাকছে শিশিরের ভয়ও

ভিদাকোভিচের ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে এখন বসেছেন লাল-হলুদের প্রাক্তন কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। আর ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তদানীন্তন যুগোস্লাভিয়ার হয়ে খেলা ভিদাকোভিচ পরিবারের সঙ্গে এখন ছুটি কাটাচ্ছেন মাদ্রিদে। কোচ হিসেবে তাঁর যেমন সুনাম রয়েছে, ফুটবলার হিসেবেও তিনি ছিলেন বিখ্যাত। রেড স্টার বেলগ্রেড, ওসাসুনা-সহ একাধিক ক্লাবের হয়ে খেললেও স্পেনের রিয়াল বেটিসে জীবনের সেরা সময় কাটিয়েছেন। ১২০টার কাছাকাছি ম্যাচ খেলেছেন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার পজিশনে খেলা ভিদাকোভিচ। যুগোস্লাভিয়ার হয়ে খেলার সময়ে পাশে পেয়েছিলেন ড্রাগন স্তোয়কোভিচ, স্যাভিসেভিচের মতো তারকাদের। তবে ফুটবলারের থেকে কোচিং জীবনেই ভিদাকোভিচ ফুল ফুটিয়েছেন বেশি।

অর্ধেক মরসুম অতিক্রান্ত হওয়ার পরে সেরেসের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ভিদাকোভিচ। ২০১৬ সালের ফিলিপিন্স লিগে রানার্স হিসেবে শেষ করে তাঁর দল। সিঙ্গাপুর কাপে ফিলিপিন্সের প্রথম দল হিসেবে তৃতীয় স্থান পায় সেরেস। ২০১৭ সালে প্রথম দল হিসেবে এএফসি আসিয়ান কাপ জেতে এবং এএফসি কাপ ইন্টার জোনের সেমিফাইনালে পৌঁছয় ফিলিপিন্সের ক্লাবটি। সেই বছরই ফিলিপিন্স লিগ জেতে সেরেস এবং পরের বছর এএফসি আশিয়ান কাপের ফাইনালে পৌঁছয়। ২০১৮ সালে সেরেসকে ফের ফিলিপিন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন করেন ভিদাকোভিচ। সেই বছরই এএফসি আসিয়ানের ফাইনালিস্ট সেরেস। ২০১৯ সালে অপরাজিত থেকে ফিলিপিন্স লিগ জেতার অনন্য নজির গড়ে সেরেস। এই সাফল্যের প্রতিফলন পড়ে আসিয়ান ক্লাব র‌্যাঙ্কিংয়ে। পঞ্চাশ বছর বয়সি কোচের হাতে পড়ে আসিয়ান ক্লাব র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর ক্লাবের সম্মান পায় সেরেস।এশিয়ার সেরা ক্লাবগুলোর তালিকায় তিরিশের মধ্যে জায়গা করে নেয় ফিলিপিন্সের ক্লাবটি। সেই একই লক্ষ্য নিয়ে এ দেশের ফুটবলে কোচিং করাতে আগ্রহী ভিদাকোভিচ।

আইএসএলের হাত ধরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে এ দেশের ফুটবল। দেশের মেগা টুর্নামেন্ট খেলার পথে ইস্টবেঙ্গলও। ভিদাকোভিচ বলছেন, ‘‘দায়িত্ব পেলে সেরেসের থেকেও ভাল জায়গায় পৌঁছে দিতে পারি ইস্টবেঙ্গলকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন