অধিনায়কের শতরান। ছবি: এপি।
অশ্বিনের ছ’উইকেটের দাপটে গল টেস্টের প্রথম দিনেই ভাল জায়গায় ছিল ভারত। আর বৃহস্পতিবার সেই ‘ভাল জায়গা’কে পাকাপোক্ত করে একেবারে চালকের আসনে বসে পড়ল টিম ইন্ডিয়া। সৌজন্যে গব্বর-চিকুর সঙ্গে ঋদ্ধির ডাকাবুকো ব্যাটিং। যার সুবাদে প্রথম ইনিংসে ১৯২ রানে এগিয়ে গেল ভারত। সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসেও অশ্বিন-অমিতের স্পিনের যাদু।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়ে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ছ’উইকেট নেওয়া অশ্বিনের দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট নিতে সময় লাগল মাত্র পাঁচ বল। অশ্বিনের বিরুদ্ধে প্রথম চার বল দিমুথ করুণারত্নের খেলা দেখে করুণাই হচ্ছিল দর্শকদের। পঞ্চম বলে অবশেষে মুক্তি। বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন তিনি। এবং স্কোরারদের বিরক্ত না করেই। পরের ওভারে এলেন অমিত মিশ্র। এবং এ বারেও সেই ওভারের পঞ্চম বলেই গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন অন্য ওপেনার জয়ন্ত সিলভা। দিনের শেষে শ্রীলঙ্কার রান ২/২। পিছিয়ে ১৯০ রানে। এখন সঙ্গাকারা ম্যাজিকই একমাত্র ভরসা দ্বীপরাষ্ট্রটির।
সেঞ্চুরির পর শিখর ধবন। ছবি: রয়টার্স।
বুধবারের ১২৮/২ থেকে খেলতে নেমে প্রথম থেকেই সাবলীল ক্রিকেট খেলছিলেন দুই ব্যাটসম্যান। বাউন্ডারি না পেলেও স্ট্রাইক রোটেট করতে কোনও সমস্যাই হয়নি শিখরদের। শ্রীলঙ্কার বোলারদের দেখে মনেই হচ্ছিল না এই পিচেই অশ্বিনের ঘুর্ণী আর ইশান্তের আগুনে পেসে নাজেহাল হতে হয়েছে সঙ্গাকারা বাহিনীকে। খুব সহজেই নিজের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিটি করে ফেললেন শিখর। এবং বিদেশের মাঠে পর পর দু’টি টেস্ট সেঞ্চুরি করে গাওস্কর, দ্রাবিড়ের সঙ্গে ঢুকে পড়লেন একই তালিকায়। শতরান করলেন বিরাটও। সফরের আগে তাঁর ফর্ম নিয়ে চিন্তায় ছিল ক্রিকেটমহল। এ দিন কিন্তু দেখা গেল পুরনো বিরাটকেই। টানা ১২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের পর শতরান করলেন নতুন টেস্ট অধিনায়ক। কিন্তু সেঞ্চুরির পরই কৌশলের বলে আউট হন তিনি। রান পেলেন না রাহানেও। শেষ দিকে টেল এন্ডারদের নিয়ে কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি করে দ্বিতীয় দিনেই ভারতের জয়ের ভিত রীতিমতো মজবুত করলেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পর দ্বিতীয় ভারতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করলেন ঋদ্ধি।