সুনীল ছেত্রী। ছবি: এআইএফএফ।
বয়স মাত্র তিন। তার মধ্যেই দুটো আই লিগ, একটি ফেডারেশন কাপ ইতিমধ্যেই ঘরে তুলেছে বেঙ্গালুরু এফসি। তিন বছরে তিনটি ট্রফি। এক কথায় সাফল্যের তুঙ্গেই রয়েছে শুরু থেকেই। মাঝে এক বছর আই লিগ রানার্স। দেশের সেরা দুই টুর্নামেন্ট জেতার পর খিদেটা যেন আরও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল নতুন এই দলের। তার ফলই কি এএফসি কাপের ফাইনাল?
এই প্রথম। কোনও ভারতীয় দল চলে গেল এএফসি কাপের ফাইনালে। এর আগে ইস্টবেঙ্গল ও ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাব পৌঁছেছিল সেমিফাইনালে। কিন্তু হেরেই শেষ করতে হয়েছিল। সেখানে এএফসি কাপের ফাইনালে পৌঁছে এ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সুনীল ছেত্রীরা। দোহা উড়ে যাওয়ার আগে ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী নিজেই দাবি করে গেলেন, এই সাফল্য আর কোনও ভারতীয় ক্লাবের নেই।
দোহায় খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সুনীল ছেত্রীর। তবে সেটা ২০১১তে। তার পর অনেকটাই বদলে গিয়েছে সেখানকাকর পরিবেশ। বদলে গিয়েছে প্রতিপক্ষ দলও। শুধু তাই নয় এ বার বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে মাঠে নামতে চলেছেন তিনি। নতুন দল। তাই লড়াইটাও নতুন। সুনীল বলছিলেন, ‘‘মাঝে পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। তার মধ্যে ফুটবল বদলেছে অনেকটা। শহর বদলায়নি কিন্তু মঞ্চটা বদলে গিয়েছে একদম।’’ ২০১১তে দেশের হয়ে দোহায় খেলতে গিয়েছিলেন। সেই সময় অনেক কিছু শিখেছিলেন বলে দাবি সুনীলের। বলেন, ‘‘ওই সময় ভারত যেখানেই শেষ করুক না কেন আমরা অনেক কিছু শিখেছি। ২০১৬র দোহা একদম আলাদা। আমাদের জন্য নতুন অধ্যায়। এ বার ক্লাবের হয়ে খেলতে নামব। আমরা আরও একটি ইতিহাস থেকে একটা ম্যাচ দূরে দাঁড়িয়ে। দুটো টুর্নামেন্টের মধ্যে কোনও তুলনাই হয় না। আমার বিশ্বাস দোহা থেকে আমরা ফিরব একরাশ আনন্দ নিয়ে।’’
সুনীলের সামনে বার বারই ফিরে আসছিল পাঁচ বছর আগেই সেই দিনের তুলনা। সুনীলের মতে, ‘‘সেই সময় আমরা খুব খোলা মনে খেলতে গিয়েছিলাম। আর এখন আমাদের নিয়ে অনেক প্রত্যাশা। আমরাও ইতিহাসের স্বপ্ন দেখছি।’’ তিনিই দেশের সব থেকে অভিজ্ঞ ফুটবলার। তাঁর দিকেই তাকিয়ে গোটা দল। দলের বাকিদের নানা উপদেশ দিয়ে সাহায্য করেন সব সময়। এত বড় মঞ্চে নামার আগে ঠিক কী কী বলছেন তিনি বাকি দলকে? প্রশ্নটা থাকছেই। সুনীল বলেন, ‘‘সবার জন্যই অেক বড় মঞ্চ। আত্মবিশ্বাসটাই আসল। আমাদের কোচ একটা কথা বলেন, মাঠে সাহস রাখতে হবে। এর থেকে বড় উপদেশ আর কিছু নেই।’’
এই ম্যাচের জন্য আলাদা করে কিছু ভাবছে না বেঙ্গালুরু এফসি। যে ভাবে নিয়মিত অনুশীলন করে, যে হার্ড ওয়ার্ক করে সেটাই করছে। যদিও অনেক বড় মঞ্চ। তার জন্য যা যা করার তাই করতে হবে। এখন বেঙ্গালুরু এফসির সামনে শুধু ৫ নভেম্বর।
আরও খবর
‘বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির আজীবন চুক্তি’