প্রতীকী ছবি।
এ রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১০ জনের খবর পাওয়া গেল। মঙ্গলবার বেশি রাতে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া ওই খবর অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ওই সূত্রের দাবি, হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে এ দিন রাতে মৃত্যু হয়েছে ১ করোনা আক্রান্তের। তাঁর পরিবারের আরও চার জন এই মুহূর্তে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ওই ব্যক্তি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য এখনও জানা যায়নি।
অন্য দিকে, কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে এ দিন এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনিও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তবে সেই রিপোর্ট আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে রিপোর্ট এলে জানা যায়, তাঁর দেহেও করোনা-সংক্রমণ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৪০০, মৃত্যু ৩৫ জনের
আরও পড়ুন: এ বার বেলঘরিয়ার প্রৌঢ় করোনায় আক্রান্ত, নিয়ে যাওয়া হল আইডি-তে
নাইসেড সূত্রে খবর, সেনা হাসপাতালের কর্নেল পদমর্যাদার যে চিকিৎসক করোনা-আক্রান্ত তাঁর পরিবারের তিন জন (স্ত্রী, ছেলে,মেয়ে)-এর লালারসের নমুনা এ দিন পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তাঁরাও ভর্তি সেনা হাসপাতালে।
আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর নমুনাও এ দিন পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে বলে নাইসেড সূত্রে খবর।
দমদমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক প্রৌঢ়া ভর্তি রয়েছেন। তাঁর দেহেও মিলেছে কোভিড-১৯-এর উপস্থিতি। জানা গিয়েছে, তিনি সম্প্রতি ইটালি গিয়েছিলেন। তাঁর স্বামীও হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
অন্য দিকে, হুগলির শ্রীরামপুরে ওয়ালশ হাসপাতালে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি দু’জনের দেহেও সংক্রমণের হদিশ মিলেছে।
পঞ্চসায়রের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি নয়াবাদের করোনা-আক্রান্ত বৃদ্ধের যোগসূত্রে এগরায় যাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে আরও এক জনের রিপোর্ট এ দিন পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তিনি এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বলা হয়েছিল ২৭। মৃতের সংখ্যা ছিল ৩। তার পর বেশি রাতে এই রিপোর্ট এসেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে সরকারি ভাবে এই রিপোর্ট এখনও ঘোষণা করেনি তারা।