ফাইল চিত্র।
করোনার জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের বামফ্রন্ট নেতৃত্বের সঙ্গে আজ, মঙ্গলবার কথা বলতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নানা জায়গা থেকে যে সব সমস্যার অভিযোগ আসছে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সময় চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতির কথা নবান্নের তরফে সোমবার বাম নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার রেশন দেওয়ার জন্য নানা ঘোষণা করলেও সর্বত্র তা বাস্তবে পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ। আবার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে থাকা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই-সহ সুরক্ষা সরঞ্জাম গোটা দেশেই অপ্রতুল। করোনায় মৃত্যুর জন্য কোনও ভাবেই রাজ্য সরকারকে কেউ দায়ী না করলেও মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে কেন সরকারি স্তরে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে, এই নিয়েও প্রশ্ন আছে বাম নেতৃত্বের। সে সবের প্রেক্ষিতেই বামফ্রন্টে আলোচনা করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন বিমানবাবু। নবান্নে আজ বিকালে ৯ জনের বাম প্রতিনিধিদল যাবেন বলে ঠিক হয়েছে এবং সেই তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
লকডাউন শুরুর ঠিক আগে নবান্নে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার এ দিন দাবি করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ফের সর্বদল বৈঠক হওয়া উচিত। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এক একটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি থার্মাল স্ক্রিনিং-এর প্রাথমিক ব্যবস্থা এবং যাঁদের হাতে কিছু টাকা আছে, তাঁদের একসঙ্গে বেশি জিনিস কিনে নেওয়া ঠেকাতে আবেদন, সরকারের তরফে এই জোড়া পদক্ষেপের দাবিও তুলেছেন তিনি। এসইউসি-র রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্যও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদন জানিয়েছেন। চণ্ডীদাসবাবুদের বক্তব্য, খেটে খাওয়া গরিব মানুষের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও প্রশাসনের একাংশের ‘গাফিলতি’র জন্য তা যে সর্বস্তরে পৌঁছচ্ছে না, বা পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা— এ সব নিয়ে আলোচনা চান তাঁরা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)