প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাস ঠেকানোর অন্যতম অবলম্বন ভিড় ঠেকানো। কিন্তু রাজ্যের বেশির ভাগ কারাগারে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি রয়েছেন। সেই জন্য আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী জামিন ও প্যারোলে কিছু বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়ায় মুক্তির ক্ষেত্রে শর্তের সরলীকরণ হতে চলেছে। তাতে আরও বেশি বন্দির মুক্তির সম্ভাবনা বাড়বে বলেই কারাকর্তাদের অভিমত।
মুক্তির শর্ত সরলীকরণের সুবাদে ৬০ বছরের বেশি বয়সি বন্দিরা বিবেচনায় আসতে চলেছেন বলে কারা সূত্রের খবর। ১৪ বছর বা তার বেশি জেল খেটেছেন, এমন বন্দিদের কথাও ভাবা হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেল থেকে প্রতিদিন ১০০ জন করে বন্দির রিপোর্ট আদালতে পৌঁছে দেবে কারা দফতর। সেই রিপোর্ট বিবেচনা করেই বিভিন্ন বন্দির মুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে আদালত।
বন্দি মুক্তি নিয়ে রাজ্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি ২৭ মার্চ বৈঠকে বসেছিল। ওই কমিটির নেতৃত্বে আছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির (সালসা) এগ্জ়িকিউটিভ চেয়ারম্যান দীপঙ্কর দত্ত। সেই কমিটি ৩০৭৬ জন দণ্ডিত এবং বিচারাধীন বন্দির মুক্তির সুপারিশ করে। সেই অনুযায়ী অন্তত দেড় হাজার বন্দি ইতিমধ্যে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তবে সেই সংখ্যা খুব একটা বাড়বে না বলেই মনে করছেন কারা দফতরের কর্তারা।
আরও পড়ুন: ব্যাঘ্র প্রকল্পে কড়া নজরদারি, বর্মবস্ত্র চিড়িয়াখানাতেও
তিন হাজার বন্দির মুক্তির ক্ষেত্রে কোথায় সমস্যা হচ্ছে? কারা দফতর সূত্রের খবর, প্রাথমিক তালিকার পরে বন্দিদের খুঁটিনাটি তথ্য ঘাঁটতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, কোনও কোনও বন্দির বিরুদ্ধে এমন কিছু মামলা রয়েছে, যা মুক্তির অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রাথমিক তালিকায় থাকা বন্দিদের সম্পর্কে কারা দফতরের তরফে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে আদালতে। এ ক্ষেত্রে গোটা প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে ডিস্ট্রিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির (ডালসা) মাধ্যমে। দণ্ডিত বন্দিরা সাধারণ ভাবে তিন মাসের জন্য প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন। একই সময়ের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জেলের বিচারাধীন বন্দিদের।
কারা দফতর সূত্রের খবর, মামলা সংক্রান্ত যে-এগারোটি কারণে মুক্তি দেওয়া যাবে না বলে স্থির হয়েছিল, সেই শর্তে অবশ্য এখনও কোনও বদল হয়নি। তবে বয়স, দীর্ঘদিন জেল খাটা, তুলনায় লঘু অভিযোগ— বন্দি মুক্তির ক্ষেত্রে এই সব শর্ত নতুন করে যুক্ত ও বিবেচিত হতে চলেছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)