গরু মরছে, প্লাস্টিক নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দিলীপের

গত বুধবার মেদিনীপুরে সঙ্কল্প যাত্রার সূচনা করে দিলীপ বলেছিলেন, ‘‘গাঁধীজি যা বলেছেন, মোদীজি তাই করে দেখাচ্ছেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযান থেকে অহিংসার প্রচার তারই অঙ্গ।’’ তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০২
Share:

বেলিয়াবেড়ার রান্টুয়া-য়। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

বেলিয়াবেড়া ও কেশিয়াড়ি: পরিবেশ ও অহিংসার প্রশ্নে গাঁধীজির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জুড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার গাঁধীজির সূত্র ধরেই তিনি তুললেন জঙ্গলমহলের নেশামুক্তির প্রসঙ্গ। পরিবেশ সচেতনতার বিষয়ে টেনে আনলেন গরুর মৃত্যুর কথা।

Advertisement

গত বুধবার মেদিনীপুরে সঙ্কল্প যাত্রার সূচনা করে দিলীপ বলেছিলেন, ‘‘গাঁধীজি যা বলেছেন, মোদীজি তাই করে দেখাচ্ছেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযান থেকে অহিংসার প্রচার তারই অঙ্গ।’’ তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এরই মধ্যে সোমবার নিজের খাসতালুক গোপীবল্লভপুরে গিয়ে দিলীপ বললেন, ‘‘আমাদের ভুলেই আনাজের খোসা ভর্তি প্লাস্টিকের ব্যাগ খেয়ে গরুর মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। এ জন্য গো-হত্যার পাপ হচ্ছে।’’ তৃণমূলের অভিযোগ, পরিবেশের নাম করে এ রাজ্যে গো-রাজনীতি আমদানি করতে চাইছেন দিলীপ। তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি বিরবাহা সরেন বলেন, ‘‘দিলীপবাবু নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী প্লাস্টিক দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব বলতে গিয়ে গো-হত্যার প্রসঙ্গ টেনেছেন। এতদিনে দিলীপবাবুদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট বোঝা গেল।’’ গাঁধীজির প্রসঙ্গ এ দিনও তুলেছেন দিলীপ তিনি বলেন, ‘‘গাঁধীজি নেশামুক্তির কথা বলেছেন। জঙ্গলমহলের মানুষ কেউ শখ করে নেশা করেন, কেউ নেশাগ্রস্ত হয়ে নেশা করেন। মনে রাখতে হবে নেশা করবেন না, নেশা করতেও দেবেন না।’’

এ দিন সকালে বিজেপি-র গোপীবল্লভপুর-২ মণ্ডলের উদ্যোগে গাঁধী সঙ্কল্প যাত্রায় যোগ দিতে রান্টুয়ায় আসেন দিলীপ। রান্টুয়াচকে এক পথসভায় বক্তৃতা করেন দিলীপ। সভাস্থল থেকে দিলীপের আদি বাড়ি কুলিয়ানা গ্রামের দূরত্ব মেরেকেটে তিন কিলোমিটার। সাধারণত যে কোনও সভার শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে দেখা যায় দিলীপকে। এ দিন কিন্তু তেমনটা দেখা যায়নি। রান্টুয়া চকে পথসভা দিলীপ শুরু করেন পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি, গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা দিয়ে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলকে আক্রমণ করেন দিলীপ। রান্টুয়া থেকে তপসিয়া পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। পরে বেলিয়াবেড়াতেও পদযাত্রা করেন। সাঁকরাইলের রগড়া ও রোহিনীতেও পদযাত্রা করেন তিনি।

Advertisement

এ দিন বিকেলে কেশিয়াড়ির মুড়াকাটা থেকে যাত্রা শুরু হয়। কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ে সুর চড়ান দিলীপ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের জেতা বোর্ড গঠন করতে দেওয়ার ক্ষমতা পুলিশের নেই। আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন স্থগিত রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন