TMC

সরকারি প্রকল্পে ‘অস্বচ্ছতা’ দূর করতে তৎপর তৃণমূল

কাটমানি আর তোলাবাজির কারণে সরকারি প্রকল্পের উদ্দেশ্য ধাক্কা খায়। তাই বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগে সরকারি সব প্রকল্পকে এই ধরনের দুর্নীতিমুক্ত করতে কঠোর মনোভাব নিচ্ছে শাসক শিবির।

Advertisement

রবিশঙ্কর দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:২৮
Share:

ফাইল চিত্র।

সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ কি পুরোপুরি পান? মাঝ পথে তা যাতে অন্য কেউ নিয়ে নিতে না-পারে তা নিশ্চিত করতে কোমর বাঁধছে তৃণমূল। সরকারি প্রকল্পগুলির উপরে এ বার থেকে সরাসরি নজর রাখবেন শাসক দলের শীর্ষনেতৃত্ব।

Advertisement

কাটমানি আর তোলাবাজির কারণে সরকারি প্রকল্পের উদ্দেশ্য ধাক্কা খায়। তাই বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগে সরকারি সব প্রকল্পকে এই ধরনের দুর্নীতিমুক্ত করতে কঠোর মনোভাব নিচ্ছে শাসক শিবির। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সরকারি আমলা বা
আধিকারিকরা তো বটেই, দলের জনপ্রতিনিধিরাও এই নজরদারির আওতায় থাকবেন। এমনকি প্রকল্প রূপায়ণে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা খর্ব করার কথাও ভাবা হচ্ছে। সেই ইঙ্গিত দিয়েই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার দল নির্বিশেষে মানুষের জন্য একের পর এক প্রকল্প তৈরি করছে। ১০০ ভাগ কার্যকর করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাই তার সরকার আর প্রাপকের মাঝখানে কেউ থাকবে না।’’

পুর নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাও প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে। তাদের পরামর্শ, আগামী ভোটে এনআরসি, এনপিআর তৃণমূলকে সাহায্য করবে। আর সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল তাদের সাফল্য নিশ্চিত করবে। তা মেনে নিয়েই উন্নয়নের কাজে বিশেষ নজর দেওয়ার ভাবনা শাসক দলের। দলের এক মন্ত্রীর কথায়, ‘‘প্রান্তিক মানুষকে রিলিফ দেওয়ার কথা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকার টাকা খরচ করবে। তার সদ্ব্যবহার করতে না-পারলে মানুষ কথায় ভুলবে না। আমাদের প্রত্যাখ্যান করবে।’’

Advertisement

প্রথম ও দ্বিতীয় তৃণমূল সরকার এমন একাধিক প্রকল্প নিয়েছিল যাতে মানুষ ব্যক্তিগত স্তরে উপকৃত হন। কিন্তু তার বহু ক্ষেত্রে সুবিধা প্রাপক বাছাইয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য ব্যক্তিদেরও শাসক ও প্রশাসনকে ‘খুশি’ করে সরকারি এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হয়েছে। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য থেকেই এ রকম ভূরিভূরি অভিযোগ পেয়েছে তৃণমূল। দলের তরফে বিভিন্ন স্তরে জনমত বুঝতে নেমে একই অভিজ্ঞতা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থারও।

এ বারের বাজেটেও পিছিয়ে থাকা অংশের জন্য একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের জন্য পেনশন, চা-শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, বিদ্যুতে ছাড় দিয়ে একটা বড় অংশকে কাছে টানতে চেয়েছেন মমতা। জঙ্গলমহলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তৃণমূলের এক শীর্ষনেতা বলেন, ‘‘এই যে পেনশন প্রকল্প, তা স্বচ্ছতা, সততার সঙ্গে করতে না-পারলে উল্টো ফল হবে। এখানে যাতে কোনও ভাবে অনৈতিক কাজ না-হয়, তা আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন