কাকদ্বীপ মহকুমার কিছু এলাকাতেও বেআইনি অটো চলে বলে অভিযোগ আছে। ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগে থাকে। দিন কয়েক আগেই নামখানা-হরিপুর রুটের একটি অটো বেসামাল হয়ে বাঁশ বাগানে গিয়ে ধাক্কা মারে। জখম হয়েছিলেন চন্দনপিড়ির বাসিন্দা শিবশঙ্কর বেরা। এখনও তাঁর কোমরে, মাথায় চোট রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ইচ্ছেমতো লোক তুলে বেপরোয়া ভাবে চলে অটোগুলি। সবে চালাতে শিখেছে, লাইসেন্স নেই, এ রকম চালকের হাতেও তুলে দেওয়া হয় স্টিয়ারিং। তাতেই বাড়ছে দুর্ঘটনা।’’ স্থানীয় মানুষজন জানালেন, অনেক ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয় না থানায়। ধরপাকড়ও শিথিল। পুরনো অটো কিনে সেগুলির ইঞ্জিন-বডি বদলে ফেলে বড়সড় করে নেওয়া হয়। তাতে আবার দূষণের মাত্রাও বাড়ে। ঢোলাহাটের তৃণমূল নেতা প্রভঞ্জন প্রামাণিক বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় অটোই পরিবহণের একমাত্র মাধ্যম। তাই অনেক সময়ই বাধ্য হয়েই এগুলি চালাতে দিতে হয়। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে, এগুলিকে একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসার।’’ কাকদ্বীপের এসডিপিও অশেষ বিক্রম দস্তিদার অবশ্য বলেন, ‘‘প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে, এ রকম কোনও খবর নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’