যাত্রা-শুরু: সিকিমের পথে বাইক আরোহীরা। নিজস্ব চিত্র
জাতীয় সড়ক হোক বা রাজ্য সড়ক, অথবা আশপাশের যে কোনও রাস্তা— দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে আকছার। কিন্তু পর পর দুর্ঘটনাতেও সচেতন হচ্ছেন না পথচারী ও চালকেরা। তাঁদের সচেতন করতে এ বার পথে নামলেন আট যুবক। ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’-এর বার্তা নিয়ে সোমবার কাটোয়া থেকে মোটরবাইকে সিকিমের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তাঁরা। গোটা রাস্তায় পথচারী ও গাড়িচালকদের পথ নিরাপত্তার পাঠ দেবেন ওই যুবকেরা।
অজয় পল্লি, সুবোধস্মৃতি রোড ও মেঝিয়ারির এই আট যুবক সোমনাথ ঘোষ, পিনাকী দাস, নির্মল সাহা, অমিত দাস, খোকন দাস, বাপন দাস, অভীক সাহা ও সুবীর দাস। এঁদের কেউ গৃহশিক্ষক তো কেউ ছোট ব্যবসায়ী। দু’চাকায় চেপে দূরদূরান্তে ঘুরে বেড়ানোই নেশা সকলের। বাইক আর ব্যাগপত্র নিয়ে কখনও লাদাখ তো কখনও ভুটান পাড়ি দিয়েছেন তাঁরা। সম্প্রতি দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের রথতলা মোড়ে পিচের ট্যাঙ্ক উল্টে একই পরিবারের সাত জনের মৃত্যুর পরেই পথনিরাপত্তার পাঠ দেওয়ার কথা মাথায় আসে বলে জানালেন এই যুবকেরা। জানালেন, পুলিশ-প্রশাসনের হাজার চেষ্টার পরেও মানুষ সচেতন হচ্ছেন কোথায়! তাই মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্য নিয়ে পথে নামলাম আমরা। গন্তব্য সিকিমের গুরুদংমার লেক ও সিল্ক রুট। সাতটি বাইকে ১৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছেন তাঁরা।
দিন সাতেকের এই যাত্রায় তাঁরা সঙ্গে নিয়েছেন ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’-এর ব্যানার। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পথচারী থকে শুরু করে বাস বা গাড়িচালকদের দাঁড় করিয়ে সচেতনতার বার্তা দেবেন ওই যুবকেরা। হেলমেট ও সিটবেল্ট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে চালকদের বোঝানো হবে। এই কর্মসূচীর প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। খোকন, অভীক, পিনাকীরা জানালেন, অর্থসাহায্য পাইনি। তবে ফিরে এসে ফের পথনিরাপত্তা-সহ গঙ্গাদূষণ, পরিবেশ দূষণ-সহ একাধিক সামাজিক বিষয় নিয়ে ফের বাইক অভিযানে বেরোবো। তাঁদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মহকুমাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি।