লোকালের বিস্ফোরণে এনআইএ চাইছে না সিআইডি

কেন্দ্রীয় সরকারই তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-কে। কিন্তু টিটাগড়ে লোকাল ট্রেনে বিস্ফোরণের তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দিতে চাইছে না সিআইডি। বৃহস্পতিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে এই মর্মে সিআইডি-র পক্ষ থেকে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৬
Share:

কেন্দ্রীয় সরকারই তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-কে। কিন্তু টিটাগড়ে লোকাল ট্রেনে বিস্ফোরণের তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দিতে চাইছে না সিআইডি। বৃহস্পতিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে এই মর্মে সিআইডি-র পক্ষ থেকে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

রাজ্য পুলিশের একাংশের ধারণা, খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ কাণ্ডের মতো লোকাল ট্রেনে ওই বিস্ফোরণের তদন্ত নিয়েও কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে যেতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন।

১২ মে ওই বিস্ফোরণে মারা যান বিএসএফের এক জওয়ান। জখম হন ১৪ জন। রেল ও বিএসএফের আবেদনের ভিত্তিতেই বিস্ফোরণের তদন্ত করার জন্য এনআইএ-কে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু সিআইডি-র আইনজীবী এ দিন কলকাতার নগর দায়রা আদালতে জানান, তাঁরা যে ওই তদন্তভার এনআইএ-কে দিতে রাজি নন, কলকাতা হাইকোর্টে পৃথক আবেদনে অবিলম্বে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা গত মঙ্গলবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে আবেদন জানায়, বিস্ফোরণের তদন্তভার তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আদালত নির্দেশ দিক। বিচারক সিআইডি-কে নির্দেশ দেন, মামলার সব নথি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিতে হবে। সিআইডি সূত্রের খবর, কলকাতার নগর দায়রা আদালতের সেই নির্দেশ হাতে নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হবে।

সিআইডি কেন এনআইএ-র হাতে তদন্তের দায়িত্ব ছাড়তে চায় না?

সিআইডি সূত্রের খবর, তারা ওই বিস্ফোরণের তদন্ত প্রায় গুটিয়ে এনেছে। তা ছাড়া ওই বিস্ফোরণের পিছনে সন্ত্রাসবাদীদের হাত রয়েছে বলেও মনে করছেন না তদন্তকারীরা।

যদিও ওই বিস্ফোরণে জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলে অন্যান্য শিবিরের সন্দেহ। এনআইএ-র দল অকুস্থল ঘুরেও গিয়েছে। তবে একটি সূত্রের খবর, জঙ্গি-যোগ আছে কি না, তার চেয়েও এনআইএ জোর দিচ্ছে এক জওয়ানের প্রাণহানির বিষয়টিকে। ঠিক কোন পরিস্থিতিতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, সেটাই বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখতে চাইছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্মী-আধিকারিকেরা। এই অবস্থাতেই তাদের দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে বেঁকে বসেছে সিআইডি। এবং তার পিছনে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতে যাওয়ার ইচ্ছেটাই প্রকট হয়ে উঠছে বলে পুলিশেরই একাংশের ধারণা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement