প্রতীকী ছবি।
ধরি মাছ না ছুঁই পানি! রাষ্ট্রীয় শোকের জন্য অনুষ্ঠান বাতিল। অথচ উৎসবের সূচনা করে ইলিশ-চিংড়ি ভোজ চলল দেদার!
বিধাননগরের নলবনে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল ‘ইলিশ চিংড়ি উৎসব’। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোকের কারণে সরকারি সব উৎসব এবং অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে এ দিন থেকেই। অথচ তার মধ্যেই নলবনের উৎসব শুরু হয়ে ইলিশ-চিংড়ির নানা পদ খাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যা দেখে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ নিজেই ফিতে কেটে উৎসবের সূচনা করেছেন। তবে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘রাষ্ট্রীয় শোকের জন্য আমরা অনুষ্ঠান বাতিল করেছি। কিন্তু অন্য রাজ্য-সহ নানা জায়গা থেকে মাছ আনা হয়ে গিয়েছিল। সেগুলো নষ্ট হয়ে যেত বলে স্টল থেকে মাছ বিক্রি শুরু করে দেওয়া হয়েছে।’’ মৎস্য দফতরের আধিকারিকেরাও বলছেন, উৎসব শুরু হচ্ছে জেনে মানুষ স্টলে এসেছেন। তাঁদের পাতে মাছ তুলে দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় শোকের মধ্যে ‘নির্মল ব্লক উৎসব’ করে বিতর্কে জড়িয়েছে বাঁকুড়ার প্রশাসনও। বিষ্ণুপুর ব্লক অফিস থেকে এ দিন প্রথমে একটি শোভাযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং স্কুল-পড়ুয়ারা। লালগড় প্রকৃতি উদ্যানে আয়োজন করা অনুষ্ঠানের। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, ‘নির্মল বাংলা’ সংক্রান্ত একটি নাটকে অভিনয় করেছেন ব্লক অফিসের কর্মীরা। বেজেছে সাউন্ডবক্স। বাঁকুড়া জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস অবশ্য বলেন, ‘‘আগে থেকে ঘোষণা করা ছিল। তাই এ দিন নির্মল ব্লক হিসাবে ঘোষণাটুকু হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়নি।’’