বস্তাবন্দি। প্লাস্টিকে মোড়া কাটা পা। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী বারবার নির্দেশ দিয়েছিলেন, মুমূর্ষুকে ফেরানো যাবে না হাসপাতাল থেকে। বিশেষ করে দুর্ঘটনায় আহত রোগীকে যে কোনও অবস্থায় পরিষেবা দিতে হবে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালকে। না হলে সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ফের এক মরণাপন্ন রোগীকে ফেরানোর অভিযোগ উঠল শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
কুলতলির বাসিন্দা সুনীল পাত্র (৪২) বুধবার বিকেলে লরির ধাক্কায় আহত হন। তাঁর একটি পা বাদ যায়। সেই অবস্থায় পাটি একটি প্লাস্টিকে মুড়ে রক্তাক্ত সুনীলবাবুকে নিয়ে একাধিক হাসপাতালে ঘুরে বেড়ান আত্মীয়েরা। অভিযোগ, সল্টলেকের ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিক এবং ইকবালপুরের ক্যালকাটা মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট রোগীকে ভর্তি না-নিয়ে ফিরিয়ে দেয়। ভর্তির জন্য সিএমআরআই কর্তৃপক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে বলেছিলেন বলেও তাঁদের অভিযোগ। রাতে শেষ পর্যন্ত পিজিতে ভর্তির ব্যবস্থা হয়।
সুনীলবাবুর প্রতিবেশী সনাতন জানা বলেন, ‘‘সল্টলেকের হাসপাতাল আমাদের সিএমআরআই যেতে বলে। আর সিএমআরআই যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে। তারা বলে, প্রথমে ৫০ হাজার টাকা ও পরের দিন ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। আমরা ২৫ হাজার পর্যন্ত দিতে চেয়েছিলাম। ওঁরা রাজি হননি।’’ সল্টলেকের হাসপাতালের বক্তব্য, ‘‘কাটা পা জোড়া লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা নেই। ব্লাডব্যাঙ্কও নেই। রোগীর স্বার্থেই রেফার করেছি।’’ সিএমআরআই কর্তৃপক্ষ জানান, ওই রোগীকে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিধি অনুযায়ী তদন্ত করা হবে।