—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শহরের একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে এক দম্পতির কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল। কিন্তু, তার পরেও মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে না পারায় একবালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন ওই ব্যক্তি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে টাকা ফেরত না দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন তিনি। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে একবালপুর থানা।
অভিযোগকারী যুবক জাজেস কোর্ট রোডের বাসিন্দা। তিনি পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, গত বছরের শেষ দিকে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ওই মহিলা অভিযোগকারীর মেয়েকে একবালপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। পরে তিনি আরও কয়েক জনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় করান বলে দাবি অভিযোগকারীর। অভিযুক্তেরা ওই ব্যক্তির মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে দফায় দফায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নেয় বলে অভিযোগ। কখনও নগদে, কখনও ইউপিআইয়ের মাধ্যমে এই টাকা নেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগকারী যুবকের দাবি, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে কয়েক দফায় অভিযুক্তেরা প্রায় দু’লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও অভিযোগকারী যুবকের মেয়েকে স্কুলে ভর্তির কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। মেয়ে স্কুলে ভর্তি না হওয়ায় পরে সেই টাকা অভিযুক্তদের থেকে ফেরত চান যুবক। তাঁর দাবি, প্রথমে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, উল্টে নানা ভাবে যুবককে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এর পরেই তিনি একবালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
যার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তেরা কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, দেখছেন তদন্তকারীরা। এর পিছনে স্কুলের কেউ যুক্ত কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।
চলতি বছরের অগস্টে শহরের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তির নামে একটি প্রতারণা চক্রের হদিস পেয়েছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। একবালপুরের এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে শীলা স্বামী ওরফে মার্গারেট জ়েভিয়াকে কসবা থেকে গ্রেফতার করেছিলেন তাঁরা। অভিযোগকারীর কাছ থেকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তির নাম করে ১২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই চক্রের সঙ্গে এই অভিযুক্তদের কোনও যোগ আছে কিনা, তা দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে