Madhyamik Exam

সময়ে রেজিস্ট্রেশন না করায় জরিমানার অঙ্ক কমাবে না পর্ষদ

৫০টি স্কুলের মধ্যে কলকাতারও বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে। ওই সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের দাবি, রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার পিছনে নানা কারণ ছিল, এটি স্কুলের গাফিলতি নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৫
Share:

পড়ুয়া পিছু পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

যে সব স্কুল আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করতে পারেনি, সেই সব স্কুলকে পড়ুয়া পিছু পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ওই জরিমানা কোনও ভাবেই কমানো হবে না। শনিবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

শনিবার রামানুজ বলেন, ‘‘রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বেশ কয়েক বার বিজ্ঞপ্তি জারি করে তারিখ বাড়ানো হয়েছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। যাদের রেজিস্ট্রেশন বাকি আছে, তাদের জন্য বার বার বলা সত্ত্বেও রাজ্যের ৫০টির মতো স্কুল তাদের সব পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন করেনি। তার পরে হাই কোর্টেরই নির্ধারণ করা নিয়ম অনুযায়ী পড়ুয়া পিছু ৫০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এই জরিমানা কমানো হবে না। পড়ুয়াদের নয়, জরিমানার টাকা দিতে হবে স্কুলকে।’’

ওই ৫০টি স্কুলের মধ্যে কলকাতারও বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে। ওই সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের দাবি, রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার পিছনে নানা কারণ ছিল, এটি স্কুলের গাফিলতি নয়। বরং স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের একাংশের দাবি, যে সব পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন বাকি ছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের রেজিস্ট্রেশন করার জন্য পর্ষদ অফিসে গেলে সহায়তা মেলেনি। তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন উল্টে জরিমানা নেওয়া হচ্ছে।

যে সব স্কুলে একাধিক পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়নি, তাদের জরিমানার টাকা কোথা থেকে পাবেন, প্রশ্ন তুলছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ‘অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেড মাস্টার্স অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘দক্ষিণ ২৪ পরগনা শেরপুর রামচন্দ্র হাই স্কুলের ২৬ জন পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়নি। এর দায় স্কুলের নয়। পড়ুয়া প্রতি ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হলে ওই স্কুলকে লক্ষাধিক টাকা দিতে হবে। এত টাকা স্কুল কোথায় পাবে? রাজ্যে এ রকম বহু স্কুল আছে, যেখানে একাধিক পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন হয়নি।’’

প্রধান শিক্ষকদের একাংশের মতে সরকারি স্কুলের বেতন ২৪০ টাকা করে। স্কুলগুলি তহবিলের অভাবে ভুগছে। কম্পোজিট গ্রান্ট ঠিক মতো মেলে না। পড়ুয়াদের এই জরিমানার টাকা কোথা থেকে আসবে? চন্দন জানান, জরিমানা মকুব করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা চিঠি লিখেছেন। নানা অছিলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্কুলগুলির থেকে টাকা তুলছে বলেও তাঁরা ওই চিঠিতে অভিযোগ জানিয়েছেন।

পর্ষদের বক্তব্য, এই বিষয়ে স্কুলগুলির প্রতি কড়া অবস্থান না নিলে পড়ুয়াদের আখেরে ক্ষতি হয়। মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন করতে হয় নবম শ্রেণিতে। এত দিন সময় পেরিয়ে যাবার পরেও রেজিস্ট্রেশন হয়নি কেন? আগামী বছর যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে, তাদের রেজিস্ট্রেশন না হলে অ্যাডমিট কার্ড আসবে না। প্রতি বার দেখা যায়, এই সব রেজিস্ট্রেশন না করা পরীক্ষার্থীরা মাধ্যমিকপরীক্ষার চার-পাঁচ দিন আগে পর্ষদ অফিসে এসে মরিয়া হয়ে অ্যাডমিট কার্ডের আবেদন করে। এতে তাদের সময় নষ্ট হয়। পরীক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা ভেবেই এই জরিমানা স্কুলগুলির থেকে নেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন