কলকাতার সঙ্গে সল্টলেক, বলেও সরলেন মুখ্যমন্ত্রী

সরকারের অন্দরে আলোচনা ছিলই। এ বার তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। পাশাপাশি, এ-ও বললেন, “এখনও আইনগত কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের কিছু আইনের সংশোধন করতে হবে। আমরা ওটা পরে করব।” বিষয়: কলকাতা পুরসভার সঙ্গে বিধাননগরের সংযুক্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৪ ০২:১১
Share:

সরকারের অন্দরে আলোচনা ছিলই। এ বার তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। পাশাপাশি, এ-ও বললেন, “এখনও আইনগত কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের কিছু আইনের সংশোধন করতে হবে। আমরা ওটা পরে করব।”

Advertisement

বিষয়: কলকাতা পুরসভার সঙ্গে বিধাননগরের সংযুক্তি।

এর প্রধান লক্ষ্য, কলকাতার সঙ্গে বিধাননগরকে যুক্ত করে ‘মেগা সিটি’ তৈরি করা। যাতে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের আর্থিক সুফল ঘরে তুলতে পারে বিধাননগরও। রাজ্য সরকারের শীর্ষ কর্তারা মনে করেন, কলকাতা পুরসভার সঙ্গে বিধাননগরের সংযুক্তি হলে বিভিন্ন উন্নয়নের কাজও অনেক সুসংহত করা যাবে। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীও এ প্রসঙ্গে বলেন, “কলকাতার মধ্যে না-থাকায় বিধাননগরের মানুষ ঠিকমতো পরিষেবা পান না। জলও কলকাতাকেই দিতে হয়।”

Advertisement

তা সত্ত্বেও এ দিন কলকাতা পুরসভার সঙ্গে বিধাননগরের সংযুক্তির কথা ঘোষণা করেও পিছিয়ে আসতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। নবান্ন সূত্রে এর প্রধান কারণ হিসেবে যে বিষয়টি উঠে আসছে সেটি হল: কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং আইনের সঙ্গে বিধাননগরের বাস্তব পরিস্থিতির তফাত। সল্টলেকের বাড়িগুলি লিজ সম্পত্তি। বাসিন্দারা কেউই বাড়ি বিক্রি করতে পারেন না। কলকাতার ক্ষেত্রে তা নয়। তা ছাড়া, বিধাননগর পুর-এলাকায় কর সংক্রান্ত বিষয় আদালতের বিচারাধীন।

বিধাননগরের বাসিন্দাদের সংগঠন সল্টলেক ওয়েলফেয়ার অ্যাসেসিয়েশন-এর সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, “আমরা এখানে জমির মালিক নই। লিজ চুক্তিতে থাকি। কলকাতার সঙ্গে এটা একটা বড় পার্থক্য। পাশাপাশি, কর কাঠামো কলকাতার থেকে আলাদা। এই দু’টি প্রশ্নে আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে।” তিনি জানান, সল্টলেকের জমির চরিত্রও কলকাতার মতো নয়। একইসঙ্গে বিধাননগর কলকাতার মধ্যে এলে পরিষেবার মান কমতে বাড়ে বলেও আশঙ্কা রয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, “পুরসভা পরিষেবা দেয়। তাদের প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করলে পরিষেবা আরও বেশি পাওয়া যাবে। কিন্তু বৃহত্তর কলকাতা হিসেবে সল্টলেককে যুক্ত করলে পরিষেবা একই রকম পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে সরকারের পরিকল্পনা দেখার পরে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”

নবান্ন সূত্রের খবর, প্রথমে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা, নিউ টাউন এবং বিধাননগর এই তিনটি এলাকা নিয়ে একটি পৃথক কর্পোরেশন তৈরির পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তার পরে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে রাজারহাট-গোপালপুরকে বারাসতের সঙ্গে যুক্ত করে সল্টলেককে কলকাতার মধ্যে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement